somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সামু, তোমারে বানাইলাম আমার মামু।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পারসোনার ঘটনার ৩দিন পরের কথা। বেলা ১১টা কি সাড়ে ১১টার দিকে আমি আমার লেপুতে বইয়া সামুর সাগরে সাতার দিতাছি ঠিক এই সময়ে আমার দুলাভাই তার বউরে কল দিল। কথা কইতে কইতে হঠাৎ আমার বইন “তাই নাকি!!!” কইয়া সামান্য উত্তেজিত হইয়া গেল। তার এই হঠাৎ আতকাইয়া উঠা শুইন্না আমি আমার মনোযোগরে সামু থেইকা ৮০% কর্তন দিয়া কর্তিত অংশ আমার বইনে কি কয় হেই দিকে বরাদ্দ দিলাম। “তোমাকে কে বলল? ......ও আল্লাহ এ কি অবস্থা... কই আমরা তো কিছুই শুনলাম না...” আমার বইনের কথাগুলা আমার কানে আইল। আসল কথা হইল আমার দুলাভাই তিনদিন পর পারসোনার খবর তার বন্ধু থেইকা শুইন্না আমার বইনরে কইতাছিল। এরপর ঘরে এ নিয়া আলোচনা শুরু হইল। আর আমি সামু থেইকা পাওয়া তথ্যগুলান জাবর কাটন শুরু করলাম।“ এটা তিনদিন আগের খবর, যে মহিলা ক্যামেরা দেখছে সে হল ডাক্তার, তার জামাই ইতোমধ্যে পারসোনাতে গিয়া বিগ ফাইট খেইলা আইছে। সেই ফাইট এর ভিডিও ও বের হইছে।” “তাই নাকি। তুই এতকিছু জানলি কেমনে।” আমি কইলাম আমি এখন সামু নামক এক ব্লগ সাইট এর নিয়মিত কাস্টমার। ওইখান থেইকাই জানছি। এরপর ঘরের সবারে লইয়া সেই বিগ ফাইটের ভিডিও দেখলাম। সেই কিছু সময়ে সামুর কল্যাণে আমি হইয়া গেলাম বক্তা বাকিরা হইল শ্রোতা :)

এবার আসি আমার বাংলা টাইপ শিখনের গোঁড়ার দিকের কথায়। চাহিদা বা অভাবই হল আমাদের কার্যকলাপের হেতু । আমি প্রথম সামুর কথা শুনি আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে। সামুতে এন্ট্রি মারনের কয়েক দিনের মধ্যেই আমি সামুর ভক্ত হইয়া যাই। নানা জনের নানা ব্লগ পড়ি আর যত পড়ি তত বেশি বেশি কইরা ব্লগগুলাতে মন্তব্য করার ইচ্ছা বাড়তে থাকে। আমার সেই ইচ্ছা একসময় চাহিদায় পরিণত হয়। এবার সামুতে আইডি না খুললেই নয়। খুললাম আইডি। বাংলা তো লিখতে পারিনা/:)। যাই হোক। অভ্র নামায় লইলাম। এফবি তে মাঝে মাঝে বাংলা লেখা শুরু করলাম। আর ব্লগ পড়া তো চলছেই। আর এভাবে একসময় দেখলাম বাংলা আমি ভালই লিখছি। ইতোমধ্যে আমি কয়েকখানা ব্লগও লিইক্ষা ফেলছি। আর এখন ইংলিশ লিখতেই ইচ্ছা করেনা। যাই হোক আমাকে বাংলা লিখতে হবে সেই চাহিদা আমি অনুভব করি সামুর কল্যাণেই। তাই আজ আমি বাংলা লিখি, লিখতে পারি তার নেপথ্য নায়ক হল সামু:)

এবার এই বাংলা টাইপ নিয়া একখান ঘটনা কই। একদিন সামু এবং এফবি উভয় একাউন্ট খুইল্লা ব্লগ পরতাছি। এই সময়ে আমার সদ্য কিছুদিন আগে এফবি বন্ধু হওয়া ভার্সিটির বন্ধু আমারে চ্যাট এ কড়া নাড়ল। ব্লগে মন্তব্য দিতাছিলাম দেইক্ষা আমি এফবিতেও তারে বাংলায় উত্তর দিলাম। আমার উত্তরের বেশ কিছু সময়ের পর হেও আমারে ভুল বানানে বাংলায় উত্তর দিল। হের বাংলা লেহনের নমুনা দেইখা তারে জিগাইলাম কিরে বাংলা লিখতারছনা। হে কইল না আমিত অনেক আগে থেকেই বাংলা লিখি। যাই হোক এর পরের দিন ভার্সিটি যাওয়ার সময় আমার অন্য দুই বন্ধুসহ সেই চ্যাট করা বন্ধুর লগে গল্প দেওনের সময় আমার সেই বন্ধু হঠাৎ অন্য দুই জনরে কইল শুননা, ইতা মনে হয় বাংলা নতুন শিখছে X((। কালকে আমারে কয় বাংলা লিখতে পারি নাকি? তখন ঐ দুইজনের একজন কইল তুই জানস হে ব্লগ লেহে। বহুত আগের তে বাংলা লেখতারে। তুই পারলে হেরতে বাংলা লেহা শিখ গিয়া;)। এই সরাসরি বোল্ডের চোটে আমার সেই বন্ধু সেই বিষয়ে একেবারে তার জবান বন দিল:((। আমি মনে মনে কইলাম যাক সামুর কল্যাণে চামে চামে আমি আবারো হিট। বাংলা তো আমি শিখছি সামুর লাইগাই।

আইজকাল আমি সামু আর গুগল এর মধ্যে পার্থক্য দেহি না। ওইদিন আমার ভাই এর চাকরির একটা এপ্লিকেশন ফরম এর লগে এর ৩০কেবির একটা ছবি দিতে হইব। কিন্তু আমাগো লেপুতে আমার ভাইয়ের সবচেয়ে ছোট সাইজ এর যে ছবিখানা পাওয়া গেল তার সাইজ ও হইল ২.৩ এমবি। কি আর করা সফটওয়্যার লাগবই। কিন্তু লেপুতে এই টাইপ কোন সফট নাই। গুগল করতে নামলাম। হাজারটা সফট আহে। কোনটা নামামু বুঝতাছিনা। হঠাৎ আমার সামুর কথা মনে আইল। সামুতে আইয়া সার্চ টাইপ এ কন্টেন্ট সিলেক্ট কইরা “ছবি রিসাইজ ” লিখে দিলাম সার্চ। অনেকগুলা ব্লগ আইল। এর মধ্যে থেকে কয়েকটা পইরা FRresizer নামায় লইলাম। ওমা সেকি!! মুহূর্তেই কাম শেষ। আমার ভাইয়ের ছবিটারে ২৩ কেবি বানায়া প্যাকেট কইরা দিলাম। আহ!!

কয়দিন আগে কিউবি এর ইউসেজ হেক করা নিয়া একটা পোষ্ট আইছিল। ভাবলাম একটা চেষ্টা নিয়া দেখি। তয় হের লাইগা আবার আইডিএম লাগব। এখন আইডিএম পাই কই। আবার আইয়া পরলাম সামু সার্চ এ। বাহ! বাহ!! রাফি মাহমুদ যেন আমার লাইগাই ব্লগটা লিখছিল। নিলাম ক্র্যাক সহ নামায়া। আইডিএম হজম। কিন্তু যেটার জন্য নামাইলাম হেই কাম আর হইল না। যাই হোক এই উসিলায় আইডিএম তো নামায় লইলাম।
এখন এভাবে আমার যখনই কোন কিছুর দরকার পরে তখন গুগল মামুরে বঞ্চিত কইরা আগে সামুতে আইয়া পরি। সামু আবার যাই রাখে সব রেডিমেট। রেডিমেট হইলে আবার অন্য জায়গায় খুচাখুচির দরকার কি? আগে নেট মানেই এফবি এবং মাঝে মাঝে গানটান নামানো বুঝতাম আর এখন নেট মানে সামু আর মাঝে মাঝে ফেবু।

সবশেষে, আইজকাল সবাই মামু হইয়া যাইতাছে;)। রিকশাওয়ালা থেইকা শুরু কইরা ওয়েবসাইট ( ফেবু, গুগল) সবাই আমাগো মামু লাগে। তয় এই মুহূর্তে আমার মামুর কামডা কিন্তু করতাছে সামু। যেকোনো কিছুর প্রয়োজনে আমরা সামুর শরণাপন্ন। কয়দিন পরে এমন পোষ্ট ও দেখা যাইতে পারে "ভাই আমি রাস্তার এই পাশে থাকি আর আমার ভার্সিটি রাস্তার ওইপাশে। সবচেয়ে কম খরচে এবং কম সময়ে আমি কিভাবে ভার্সিটি যেতে পারব? "আর সামুর জ্ঞানী ব্লগারদের ব্লগ পইড়া যে কত কিছু জাননের আছে তা আর কি কমু। আমি হয়ত তার অনেকগুলিই বুঝিনা বা ধারন করতে পারিনা কিন্তু কিছু কিছু তো পারি। এই মূর্খের এর চাইতে বেশীই বা কি দরকার। তাই শেষ করি এমতে
সামু, তোমারে বানাইলাম আমার মামু। ;);)

( এই ব্লগটিতে আমরা বন্ধু বান্ধবের সাথে মজা করে যেভাবে কথা বলি আমি সেই ভাষা ব্যবহার করেছি শুধুমাত্র এটা এভাবে পড়তে হয়ত মজা লাগবে সেটা চিন্তা করে। কারও যদি এটি গ্রহণযোগ্য মনে না হয় জানাবেন। প্রয়োজনে আমি এটি এডিট করে নিব বা পোস্টটি মুছে ফেলব)
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৫০
১৯টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×