কোন নির্ঘুম রাতে জোছনার কারাগারে
বুকের ভেতরে চিনচিনে ব্যথা ঘুরে ,
সফেন সমেত সাগরের জলে
ভালোবাসা আততায়ী হয়ে হামলে পরে ।
কোন মেঘবিধুর জলে রাতের ভেলায় মিশে যাই
দু’হাত ছুঁয়ে নিয়ন আলো ছুটে আসে ,
বিষন্ন পায়ে হেঁটে সময় ছুটে
নিজেকে অপরাধী বলতে ইচ্ছে হয় ।
এরকম কোন এক মুহূর্তে আমাকে হত্যা করেছো তুমি
যতবার দেখেছো আমার দিকে তুমি ,
একবারো ভুলিনি সেই মুহূর্ত ।
আমার নির্জনতার রাতে হৃদমাঝারে শুন্যতা খেলে
আমি তখন নিশ্চুপ অনুতপ্ত যুবক ,
আমি তখন তোমাকে আঁকি
আধো ফোটা জোছনায় ঘাসের ওপর ।
ঠিক এরকম গভীর আঁধার রাতে হঠাৎ দু-একটা জোনাক দেখা দেয়
যদিও সেটা বেমানান এ শহরে ,
তখন তোমার কথা বিষন্ন স্বপ্নকে ভেঙে দেয়
একাকী গুচ্ছ গুচ্ছ বেদনাকে হত্যা করে ।
আবার শুন্য রাতে অনুধাবনীয় মনে
কষ্টের শঙ্খচিল যদি উড়ে আসে
তোমার পায়ের শব্দ যদি স্পষ্ট হয়ে উঠে নক্ষত্রের ইশারায়,
তখন আমি কষ্টগুলো আঁকড়ে রাখি ।
ঠিক পাতা ঝরা রাতের মতন নিঃশব্দে অপেক্ষা করি
মনের ঢেউয়ের জলে ভাসি ,
ভস্মীভূত দাবাদহে পুড়ে যাই
হিম শুকনো সমীরণের জালে ।
আমি নির্জনতার রাতে একাকীত্ব বেছে নিয়েছি
অন্ধকারে ব্যথাগুলো পোষে বেড়াবো বলে ,
শিশিরে ভেজা পথে নিজেকে কাঁদাবো বলে
জেগে থেকেছি রাতের গভীর স্নিগ্ধ মায়া মেখে ।
এরকম নিঃশেষিত রাতে বুকের গভীরে
অনুভূতির ঢেউ উঠে নামে ,
অন্ধকার জড়ায়ে যায় ভীষণ
আধো ফোটা জোছনা শিশির জলে ।
তাই আমি এরকম রাতে দু’হাতে হত্যা করেছি তোমার স্পর্শ
বুকের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছি ।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩২