প্রথম চলচ্চিত্রটি অভিনেতা টম হ্যাংকস'র এবং দ্বিতীয়টি লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও'র ।
_________________________________________
বছরের শেষদিকে এসে হলিউডের দুই মহারথী তারকার দুই চলচ্চিত্র । একটি মুক্তি পেয়েছে এবং আরেকটি চলচ্চিত্র মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে । দুই চলচ্চিত্রের প্রধান আকর্ষণ অভিনেতা টম হ্যাংকস এবং অভিনেতা লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও ।এই দুইজন বাদেও এই চলচ্চিত্রগুলো আলোচনায় আশার মতন আরও অনেককিছু কারণ রয়েছে । চলচ্চিত্র দুইটির পরিচালক , গল্প , পেছনের সব কারিগররা কম বিখ্যাত নয় । অস্কার দৌড়েও ছবিগুলো প্রতিযোগিতা করবে তেমন ভাব পাওয়াই যাচ্ছে । দুই জন অভিনেতাই পছন্দের , এখন
দেখা যাক ওনারা অস্কার পাবেন নাকি আবার অন্য কেউ এসে অস্কার নিয়ে যাবে লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও'র যদিও অস্কার এর স্বাদ এখনো পাওয়া হয় নি ।
_____________________________________________________
গল্পটা স্নায়ু যুদ্ধের - Bridge of Spies (২০১৫)
পরিচালক- স্টিভেন স্পিলবার্গ
_____________________________________________
গল্পটা স্নায়ু যুদ্ধের , সোভিয়েত ইউনিয়ন ও আমেরিকার মধ্যে তখন একপ্রকার শীতল সম্পর্ক বিরাজমান । একদিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন সমাজতন্ত্র নিয়ে অগ্রসর অপরদিকে আমেরিকা পুঁজিবাদ নিয়ে । ঠিক এরকম পরিস্থিতিতে নিজেদের আকাশ সীমানায় গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহে রুশ প্রতিরক্ষা বাহিনী মার্কিন গোয়েন্দা বিমান ইউ - ২'কে মিসাইল দিয়ে ভূপাতিত করে মাটিতে নামায় । বেঁচে যাওয়া পাইলট ফ্রান্সিস গ্যারি পাওয়ারস বন্দী হন রুশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাছে । সেই পাইলটকে মুক্ত করার জন্যে একজন আইনজ্ঞ নিয়োগ করে সিআইএ । মূলত সমঝোতার মাধ্যমে পাইলট ফ্রান্সিস গ্যারি ওয়ারস'কে মুক্ত করবে সেই আইনবিদ । আর সেই আইনবিদ জেমস বি ডোনোভ্যান চরিত্রে দেখা মিলবে টম হ্যাংকস'কে । আর সেই স্নায়ুযুদ্ধের গল্প নিয়ে বছরের শেষভাগে এসে হলিউড বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা স্টিভেন স্পিলবার্গ এর নতুন ছবি Bridge of Spies মুক্তি পায় ১৬ অক্টোবর ।
নির্মাতা যখন স্পিলবার্গ তখন এই মুভির নির্মাণ কেমন হবে বুঝাই যাচ্ছে । গল্পটাও খারাপ না, খুব স্পর্শ করার মতন বিষয় নিয়েই ছবির
গল্প তিনি তৈরি করেছেন । ছবির তৈরির জন্যে যথারীতি অস্কার তারও ঝুলিতে আছে । চমৎকার কাজ করা এই পরিচালকের কাজ সেভাবে মনে রাখার মতন । আর চলচ্চিত্রের নির্মাণশৈলী সম্পর্কেও আগে থেকে বুঝা যায় স্পিলবার্গ এর স্পর্শ মানে চমৎকার একটি চলচ্চিত্র ।
________________________________________________
আমেরিকান বায়োগ্রাফিকাল ওয়েস্টার্ন চলচ্চিত্র ‘The Revenant’(২০১৫)
পরিচালক - আলজেন্দ্র গনজালেস ইনারেটু
___________________________________________________
আমেরিকান বায়োগ্রাফিকাল ওয়েস্টার্ন চলচ্চিত্র ‘The Revenant’ । ১৮২৩ সালের দিকের গল্প ,ডাকোটা অঞ্চলে শিকার করতে গিয়ে ‘হিউজ গ্লাস’ ভাল্লুক দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পরে , তাকে রেখে তার সাথের সব লোক তাকে ডাকাতি করে চলে যায় । যাওয়ার সময় তার ছেলেকেও হত্যা করে যায় । তাকে মৃত ভেবে রেখে যায় বনের গহিনে । কিন্তু এই হিউজ গ্লাস নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার এক আপ্রাণ চেষ্টায় মেতে ওঠে এবং প্রায় ২০০ মাইল পথ অতিক্রম করে প্রতিশোধ নিতে লোকালয়ে যায় । এই ‘ হিউজ গ্লাস’ কেন্দ্রীয় চরিত্রে লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও’কে দেখা পাওয়া যাবে , তাকে ঘিরেই কাহিনী এবং যে তার ছেলেকে হত্যা করে সেই চরিত্রে অভিনয়ে আছে টম হার্ডি । বার্ডম্যানখ্যাত অস্কারজয়ী নির্মাতা আলজেন্দ্র গনজালেস ইনারেটু ‘The Revenant’ এর পরিচালনায় রয়েছেন । আরেকটি নতুন মাস্টারপিস ছবির দারুণ সম্ভাবনা নিয়ে বছরের শেষ প্রান্তে এসে ২৫ ডিসেম্বর এ ছবি রিলিজ পাবে।
ছবিটির পিছনের গল্পেও রয়েছে গল্পকথা । মিশেল পুনক এর লেখা একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত এই চলচ্চিত্রে সীমান্তঘেঁষা এলাকায় থাকা অধিবাসী ‘হিউজ গ্লাস’কে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে । ২০০১ সালে আকিবা গোল্ডসম্যান পাণ্ডুলিপি কিনে নেয় ছবির প্রযোজনার জন্যে । ক্রিস্টিয়ান বেল এর কাজ করার কথা থাকলেও পরবর্তীতে একাধিক পরিচালক পরিবর্তনে ছবির কাজ পিছিয়ে পরে । ২০১১ সালে ছবিটির পরিচালনার কাজে চুক্তিবদ্ধ হন নির্মাতা আলজেন্দ্র গনজালেস ইনারেটু । এরপর চলচ্চিত্রটির কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালে এবং ২০১৫ এর আগস্টে এর কাজ সম্পূর্ণ হয়ে এখন মুক্তির অপেক্ষায়।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৪৯