somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নির্বাচনপরবর্তী চাওয়া

০৫ ই জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার এবং প্রতিক্ষার পরে অনেক জল্পনা কল্পনার পর অবশেষে নির্বাচনটা হয়েই গেল। এবং বলা চলে খুব স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে,এবং জনগণ ও তাই রায় দিয়েছে। নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ব্যপকভাবে বিজয়ী হয়েছে।এই নির্বাচনের রায় থেকে এটাই প্রমানিত হয়েছে যে জনগণ সব সমই পরিবর্তন চাই, সুশাসন চাই, সৎ মানুষ চাই, যোগ্য নেতৃত্ব চাই,গণতন্ত্র চাই, স্বাধীণ ভাবে বাঁচতে চাই এবং সর্বপরী সবকিছু ভালো চাই। জনগণ কোন সময়ই বেশি ভুল করে না। ভুল আসলে রাজনীতি বিদরাই করে। তারা নির্বাচনের আগে এক কথা বলে নির্বাচনের পর আর এক কথা বলে। ভুলে যায় সব ওয়াদা। পাল্টে ফেলে তাদের চেহারা। নতুন রুপে তারা আর্বিভুত হয়। তাদের হিংস্র, অগ্নি রুপ নির্বাচনের পর দেখা যায়। দুরত্ব বেড়ে যায় সরকার ও জনগণের মধ্যে। এবারও জনগণ পরিবর্তন চেয়েছে। ফলও পেয়েছে । জনগণ চাই নির্বাচিত সরকার তাদের দেওয়া ওয়াদা পূরণ করুক।কিন্তু এর পূর্বেও আওয়ামী লিগ জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে ক্ষমতায় এসেছিল,বিনিময়ে আওয়ামী লীগ দেশবাসীকে কি উপহার দিয়েছিল তা হয়তো সবারই মনে আছে।সেই জয়নাল হাজারী, শামিম ওসমান, দলীয়এমপি,এবং দলীয় নেতা কর্মীরা দেশের মধ্যে কিসের রাজ্যত্ব করেছিল তা সবার কি মনে আছে? এমন কি দলীয় নেত্রী পর্যন্ত সরকারী গণভবন দখল করে নিয়েছিল। তখন তাদের অত্যাচারে মানুষ শান্তিমত ঘুমাতে পারে নাই, পথ চলতে পারে নাই। সর্বত্রই ছিল দখলদারিত্বের দখলে।মানুষ তখন সেই কষ্টের কথা জানাতে পেরেছিল ২০০১ সালের নির্বাচনে। ফলে আজকের মতই সেদিন বিএনপি সরকার ক্ষমতায এসেছিল।আজ গণমানুষের যে দাবি সেই একই দাবি ছিল ২০০১ সালে। কিন্ত হাই সবই হল অন্তঃসার শুন্য।বিএনপি সরকারের সেই লুটেরা -সন্ত্রাসী কার্যক্রম, সরকারের মধ্যে আলাদা মিনি সরকার গড়ে তোলা ,হাওয়া ভবনের সন্ত্রাসী তৎপরতা , গডফাদার, সর্বক্ষেত্রে কমিশন খাওয়া , দলীয় এমপিদের স্বেচ্ছাতারিতা ,নানা কর্মকান্ড মনে রেখে জনগণ সেই একই রায়এবারও দিয়েছে। দলগুলো এবারও বিভিন্ন টোপ জনগণের সামনে ফেলেছিল। স্বাধীনতার ৩৭ বছর পর আমরা কি বার বার সেই একই লোভের টোপ গিলে যাব? রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের কি কোনদিনই হুস হবে না? মাঝেমাঝে খু্বই অবাক লাগে ,সরকার রাজনৈতিক দল,এবং নির্বাচন কমিশনের কথা শুনে। যেমন উনারা বার বারই বলে থাকেন যে,এবার গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হল, জনগণ উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট দিয়েছে। কিন্ত আমরা বলতে চাই, জনগণ তো ঠিকই উৎসব মুখর পরিবেশে বার বার ভোট দেয় শান্তির জন্য, দেশে স্থিতিশিলতার জন্য, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত থাকার জন্য।দেশ তিমিরে রাখার জন্য কেও ভোট দেয় না।আর প্রতি পাঁচ বৎসর পর পরই যদি গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয় তবে তা বিকশিত হয়ে ফুল ফল দেবে কবে? রাজনীতিবীদরা কোন বারই উৎসবমুখর পরিবেশে দেশ চালান না । বরং প্রতিবারই আমরা জ্বালাও-পোড়াও ,হরতাল, হত্যা, স্কুল-কলেজ,সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,মিলখারখানা বন্ধ, মানুষকে গৃহবন্দীরাখা, এবং লাশের রাজনীতি পাই। তাই নির্বচিত সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যশা, শুধু নির্বাচনের মধ্যে জনগণকে সিমাবদ্ধ না রেখে দেশকে সমৃদ্ধশালী,উন্নত করতে যা যা করার প্রয়োজন তাই করুন।।গণতন্ত্রকে শুধুই যেন নির্বাচনের মধ্যে বেধে ফেলা না হয়। নেত্রীরা যেন দল থেকে মুক্ত হয়ে দেশের কল্যাণে বিরাট অবদান রাখতে পারেন।নিজের বিবেককে যেন রাজনীতি বিদরা বির্সজন না দেন।অন্যায়ের কাছে যেন পরাজয় বরণ না করেন। জনগণের যা প্রত্যশা তা যেন উনারা পূরণ করতে পারে। আমরা চাই ন্যায়ের শাসন,সন্ত্রাস মুক্ত ,দূর্নীতিমুক্ত এবং জবাব দিহিতা মূলক শাসন ব্যবস্থা।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:০৭
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×