ভাষ্কর্য অপসারণ বিতর্ক- ২
হেফাজতের কাছে সরকারের নতিস্বীকার
নাহ! শাহরিয়ার সাহেবদের আর তর সয় না। কারো সামান্য সাফল্য দেখলেই হলো, অমনি গলা টিপে ধরবেন- এটা তাদের নীতি। এর
বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললেই সে জঙ্গি। সাম্প্রদায়িক। পাকিস্তানি রাজাকার।
আচ্ছা! এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ সেমিতে গেছে শুনে তো তিনি খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু ফাইনালে শেষ হাসিটা হাসল যখন
পাকিস্তান, তখন তার মরা মলিনমুখটা দেখার বোধ হয় কেউ ছিল না। থাকার কথাও না।
কারণ, নিজ দেশের অন্যতম একজন ধর্মীয় নেতাকে যিনি এভাবে টক শোতে গালমন্দ করতে পারেন, তার আর যাই হোক, নুন্যতম
সৌজন্যতাবোধটুকু নেই। এ অভিমত দেশের আপামর জনসাধারণের।
পাঠ্যপুস্তক পরিবর্তন, লালনের ভাষ্কর্য অপসারণ, কওমী সনদের স্বীকৃতি আর আজকের থেমিসের অপসারণ- এগুলোর প্রত্যেকটা নিয়ে কথা আছে, থাকবে।
কিন্তু এই সেকুলাররা যখন বলে, হেফাজতের কাছে সরকারের নতিস্বীকার- তখন তো মেজাজটা বিগড়ে যায়।
এমনিতেই সরকার আমাদের ওপর খেঁপা। ১১ এপ্রিল গণভবনে শ’খানেক আলেমদের সামনে প্রধাণমন্ত্রীর কথাবার্তার ভাষাভঙ্গিটা কেমন
ছিল? তিনি কি সেদিন খুব আন্তরিক হয়ে কথাগুলো বলেছিলেন? অথচ উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং আল্লামা আহমদ শফি দা.বা.। তো এর ওপর
যদি এসব বলে সরকারকে আরো খেঁপানো হয়, ব্যাপারটা কেমন দাঁড়াবে?- আল্লাহ্ই সহায়।
হেফাজতের কাছে আবার সরকারের নতিস্বীকার হতে যাবে কোত্থেকে? স্বয়ং হেফাজতেরই তো সেটার দরকার নেই। কেউ চাইলে তাঁদের মূলনীতিসপ্তক পড়ে দেখুক। সেখানে কী লেখা!
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৫