জনগনের যানবাহন সমস্যা বিষয়ক কিছু পরামর্শঃ
রাজধানীর পরিবহন সেবার মান দিন দিন নিচের দিকে নামছে। অব্যবস্থাপনায় পরিবহন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়েছে। বাস কর্মচারীদের নিকট সাধারন ও নিরীহ যাত্রীরা জিম্মি হয়ে পড়েছে। তারা নিজেদের ইচ্ছামত ভাড়া নির্ধারন করছে। নির্ধারিত বাস স্টপেজ ছাড়াও যেখানে সেখানে বাস থামাচ্ছে এবং যাত্রী উঠা-নামা করাচ্ছে।যাত্রী নামাবার বেলায় চলন্ত অবস্থাতেই যাত্রী নামাচ্ছে আবার উঠাচ্ছে।প্রতি রুটে সরকারী বিআরটিসি বাসের সংখ্যা অতি নগন্য। যাও দুয়েকটা আছে কোনো মনিটরিং সিস্টেম নাই।টোটাল মনিটরিং সিস্টেমই কলাপ্স করেছে বলে মনে হয়।
এমতাবস্থায় রাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষের নিকট রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে আমার পরামর্শ সমূহ তুলে ধরলাম, সেই সাথে এই ব্লগের ব্লগারদের সাথেও আমার চিন্তা ভাবনা শেয়ার করলাম। বলাতো যায়না এমনও তো হতে পারে যে, এই ব্লগেরই কোন এক ব্লগার হয়তো রাষ্ট্র কাঠামোতে রয়েছে বা তার পিতা রয়েছে বা তার কোন আত্মীয় রয়েছে বা তার নিজেরই ভবিষ্যতে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। যদি এমন হয় তাহলে আমি আমার এই পরামর্শসমূহ বিশেষ বিবেচনায় রাখার জন্য অনুরোধ করছি।
১। কিলোমিটার অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারন করা পাশাপাশি তা প্রতি বছর সমন্বয় সাধন করা এবং তা জাতীয় ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা ও মোবাইল অ্যাপ তৈরী করে বিনামুল্যে প্রদান করা।
২। সাধারন যাত্রী পরিষদ বা এধরনের কিছু সংগঠন করা যেতে পারে সাধারন যাত্রীদের নিয়ে। সরকার পরিবহনের লোকজন এবং এধরনের সংগঠনের লোকদের সাথে বসে প্রতি বছর ভাড়া সমন্বয় করতে পারেন।
৩। লোকালয় ভিত্তিক জনবসতির কথা খেয়াল রেখে সকল রুটে পর্যাপ্ত পরিমান সরকারী গাড়ি(বিআরটিসি বাস) প্রদান করা। যাতে করে বিভিন্ন কোম্পানীর বাসগুলো বিভিন্ন সময় ধর্মঘট করলেও জনগনের যাতায়াতে কোন সমস্যা না হয়।
৪। লোকাল গাড়িগুলো যেনো কোনভাবেই সিটিং না করতে পারে তার ব্যবস্থা করা। প্রয়োজনে লোকাল এবং সিটিং গাড়ির জন্য কালার কোডের ব্যবস্থা করা।
৫। একইভাবে সিটিং গাড়িগুলো কোনভাবেই যেন লোকাল না করতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহন করা এবং এর অন্যথা ঘটলে গাড়ির মালিকের পরিবহন ব্যবসার লাইসেন্স নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য বাতিল করা।একই সাথে ড্রাইভার এবং হেলপারের জামিন অযোগ্য কয়েক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের ব্যবস্থা করা।
৬। ড্রাইভার এবং হেলপারের শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে এস.এস.সি/এইচ.এস.সি পাশ নির্ধারন করা।
৭। এইচ.এস.সি পর্যন্ত সকল ছাত্র/ছাত্রীর বাসের ভাড়া সম্পূর্ণভাবে ছাড় করা। সেক্ষেত্রে লোকাল/সিটিং ছোট বাসে ৫ জন এবং বড় বাসে ১০ জন করে ছাত্র/ছাত্রী নেয়ার ব্যবস্থা করা।দরকার হলে ছাত্র/ছাত্রীরা দাড়িয়ে যাবে। এক্ষেত্রে ছাত্র/ছাত্রীর অবশ্যই বৈধ আইডি কার্ড প্রদর্শন করতে হবে।
৮। রাস্তায় নিয়মিত সার্জেন্ট এগুলো তদারকি করবে এবং বাধ্যতামূলকভাবে মাসে অন্তত ছয়বার সড়ক পরিবহন এবং যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রি/প্রতিমন্ত্রি/সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা রেন্ডমলি লোকাল বা সিটিং বাসে চড়ে অফিস করবে।
আপাতত এটুকুই যথেষ্ট মনে হচ্ছে। আপনাদের সুচিন্তিত মতামত একান্ত কাম্য।
(বানান ভুল জাতিয় ত্রুটিগুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশাকরি।)
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:১৭