১#
আত্মহত্যা দিয়ে শুরু, এরপর, ঘুম দেখেনি চোখদুটো, কোনদিন,
পুরনো কবিতার খাতা বিক্রি করে দিয়েছে, নির্লজ্জ অসভ্যতা,
আহত এক কবি পথে হাঁটেন, মদ্যপের ভঙ্গিতে, মানুষ চেয়ে দেখে, বলে,
"এ যে পাড় মাতাল", ঈশ্বর জানেন, কবিকে একটুও মাদকতায় ধরেনি,
ছায়াপথে নামে, পরাজিত শৈশব, দেয়ালে নগ্নবক্ষা নারীর তেলচিত্র,
শ্বাপদের রাজ্যে ভালোবাসা আশ্রয় নেয়, মাংশাসী পুরুষের বেডরুমে,
জীবন যেখানে কাম লালসায় নিষ্প্রাণ, অর্থহীন, যৌনতাকেন্দ্রিক,
কবিদের কবিতাগুলোও সেখানে চাহিদামূল্যে শারীরিক হয়ে ওঠে।
২#
তুমি আবার নতুন করে,আমাকেই ভালোবাসবে বলে,
মৃত্যুকে আমি ফিরে যেতে বলেছিলাম, সেদিন।
তাচ্ছিল্যভরা দৃষ্টিতে মৃতদের দেবদূত আমাকে বলেছিলেন,
"বড় ভুল করছো, বোকা বালক, কেউ কথা রাখেনি,
মায়াজালে আবদ্ধ হয়ে পড়েছ, যখন মৃত্যুকে দরকার হবে,
সেদিন কাউকে চারপাশে পাবেনা।" আজ অস্তিত্বশূন্য আমি,
কথাটির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে শিখে গেছি, বুঝে গেছি,
সেদিন তোমার জন্যে, মৃত্যুকে ফিরিয়ে দেয়া কতটা ভুল ছিল।
আজ প্রতি মুহূর্তে যখন মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে চাই,
মৃতদের দেবদূত উপর থেকে বোধকরি আনন্দিত হন,
মৃত্যুকে বারবার ফিরিয়ে দিয়ে, বারবার বুঝিয়ে দিতে চান,
"কেউ কারো নয়, কেউ কারো জন্যে নয়", এটাই চিরন্তন সত্য।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২০