সবাই সব কিছুই জানে! তারপরও কিছু কথা তো থেকেই যায়!
আমাদের দেশের অভিভাবকরা সাধারণত সন্তানরা স্কুল থেকে আসলে প্রথমেই জিজ্ঞেস করে, "তুমি সব কিছু পারছ তো?" অর্থাৎ শিক্ষক যা কিছু জিজ্ঞেস করেছেন তার সব সঠিক উত্তর দিতে পেরেছে কিনা! অথচ এই প্রশ্নটা করা হয় না যে সে নতুন কিছু শিখেছে কিনা!
প্রমথ চৌধুরী অনেক আগেই এই শিক্ষাব্যবস্থাটাকে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেলেন এই ভাবে, "আমাদের স্কুল কলেজের শিক্ষার পদ্ধতি ঠিক উলটো। সেখানে ছেলেদের বিদ্যে গেলানো হয়, তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর নাই পারুক।"
আমরা স্কুল কলেজে যাই শিক্ষা গ্রহণ করতে, হোক সেটা নৈতিকতা অথবা অন্য কিছু! কিন্তু আমাদের শেখানো হয় কিভাবে পরীক্ষায় নাম্বার বেশি পাওয়া যাবে! তাদেরকে তখন বলতে ইচ্ছা করে এটা শিক্ষা ব্যবস্থা, নাম্বার পাওয়ার ব্যবস্থা না! পারি নি, ছোটবেলা থেকেই একটা বেড়াজালে আটকে ফেলা হয়েছে আমাদের!
অনেক স্কুল কলেজ তো আরেক কাঠি সরেস! এদের কান্ডকারখানা দেখে মনে হয় এদের শিক্ষার্থী দরকার নেই, একটা ফলাফল দরকার, শিক্ষার্থী জাহান্নামে যাক!
আমরা এই শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে কি করব যেখানে স্নাতক পর্যায়ে ভর্তি হবারই সামর্থ্য নেই, অথচ আমরা তাদের গোল্ডেন এ প্লাসধারী নামেই অভিহিত করি!
এই শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আমরা কি করে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি? উত্তরটা অজানা! তারপরও বলব আমরা স্বপ্নবাজ মানুষ, স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি। স্বপ্ন দেখাটা দোষের কিছু না, কারণ সবকিছুর শুরুতে একটা স্বপ্নই থাকে। আমার বিশ্বাস একদিন তো আসবেই যেদিন শিক্ষার্থীরা স্কুল কলেজে যাবে শিক্ষা গ্রহণ করতে, এ প্লাস পেতে নয়! সেদিন তো ডিজিটাল বাংলাদেশ কেউ আটকে রাখতে পারবে না!
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:২২