somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নীল মনি
ভীষণ কঠিন পোড়ামাটিকে আবার সেই কাদামাটিতে ফিরিয়ে আনা,ভীষণ কঠিন আঘাত দেয়া শব্দমালা গুলো ফিরিয়ে নেয়া।ভীষণ কঠিন নিজের সম্পর্কে কিছু বলা।যে চোখ দেখিনি সে চোখ কেমন করে বিশ্বাস করবে জানি না।যে কখনো রাখিনি হৃদয়ের উপর হৃদয়;সে কেমন করে বুঝবে আমায়!

ব্লগ নিয়ে একান্ত ভাবনা ও ব্লগীয় সমস্যা

২৫ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দেখতে দেখতে বছর পার হয়ে গেছে আরো বছর খানেক আগে। কিন্তু ব্লগে উপস্থিতির হার ছিল কম। কেন ছিলাম না সে প্রসঙ্গে পরে আসছি।
কিছু অভিযোগ কিংবা প্রতিবাদ জানাতে মূলত পোস্টটি লেখা। কারো কারো ভালো লাগার চেয়ে খারাপ লাগাটা বেশি হতে পারে।হোক সমস্যা নেই।

ব্লগে সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য কি'না জানি না অশ্লীল পোস্ট অনুমোদন হচ্ছে।ধরে নিলাম হতেই পারে। কিন্তু প্রথম পাতায় এ ধরণের পোস্ট ছেলেদের খারাপ না লাগলেও মেয়েদের খারাপ লাগার কথা।অনেকেই তাতে বাহবা দিচ্ছে? সুন্দর হয়েছে,দারুণ লিখেছেন।গল্প,কবিতা যাই লিখুন আপনার শব্দ চয়নে খেয়াল রাখুন। সাহিত্য কখনো অশ্লীল হতে পারে না ! আপনার লেখার ধরণ, শব্দ চয়ন একটা পর্দার মধ্যে রেখেও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যায়।
আপনি গভীর প্রেমকে কত সাবলীলভাবে উপস্থাপন করছেন সেটা দেখার বিষয়।কিছু রাখ ঢাক অবশ্যই প্রয়োজন মনে করি।একই সাথে মনে করি যারা এমন মন্তব্য করে উৎসাহ দিচ্ছেন তারা এবার থামুন।সত্যিটা বলুন।সাময়িক শিরশিরে অনুভূতির জন্য অশ্লীলতাকে প্রশয় দিবেন না। সবাই মিলে বলুন। যে পোস্টে একটা মেয়ে কমেন্ট করতে গিয়ে ফিরে চলে আসে সেটা আর যাই হোক ভালো পোস্ট নয়।

এরপর আসি অন্য প্রসঙ্গে।প্রত্যেক ব্লগারকে আমি খুব শ্রদ্ধার সাথে দেখি।তাদের প্রতিটা মন্তব্য আমি শ্রদ্ধার সাথে উপলব্ধি করি। এমন কি কেউ যদি আমার লেখায় এসে বলে ভালো হয়নি তখন আমি ভাবি আমাকে ভালো করে লিখতে হবে। আমি সেটা পজেটিভলি নিই।
অনেককেই দেখছি তারা যেন একে অন্যের কথা মাটিতে পড়ার আগেই মজা করে হোক আর সরাসরি হোক আঘাত করে কথা বলতে দ্বিধা করছে না। কেন আমরা না শিক্ষিত মানুষ! দাবি তো করছি শিক্ষিত। তা হলে কেন আমাদের এমন আক্রমণাত্মক আচরণ! ছোট বেলায় ছোট ভাইয়ের সাথে শুধু মারামারি হত। আম্মু বিরক্ত হয়ে বলত "উঁকুন হলে মনে হয় ভাইটাকে মেরে ফেলতিস"। আপনাদের ভেতর ঠিক তেমনি
দেখছি। সুযোগ পেলে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলেন না। আচ্ছা একজন আরেকজনকে ভালোবাসলে কী খুব দাম দিতে হবে। শুধু তো সামান্য কথাই ;তাও তো শুনতে হয়। শুধু দেখতে হয়। নাকি ব্লগের মজা এটাই একজন আরেকজনকে হেয় করবে?

তারপর দেখছি নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তিকে নিয়ে লেখা।ভাবুন তো এভাবে দুটো ভাগে বিভক্ত হওয়ার খুব বেশি কি দরকার? সবাই একটা দেহ হয়ে থাকলে কী ক্ষতি হয়? আমি সত্যি বুঝি না অনেক কিছু। আমি বুঝি কাউকে আঘাত করে কথা বলা অন্যায়। গ্লাসভর্তি জল মাটিতে পড়ে গেলে তা আর যেমন পুনরায় গ্লাসে ভরা যায় না তেমনি কথা একবার বলে ফেললে তা আর ফেরত নেয়া যায় না।

একজন আরেকজন মনের মধ্যে রাগ পুষে এড়িয়ে যাওয়া ঠিক না। ব্লগ কিংবা পৃথিবীতে কেউ স্থায়ী নই। তাহলে অচেনা মানুষগুলোকে কেন এত কষ্ট দেয়া?

আমি কম বুঝি তাই ব্লগে কম আসতাম। ভবিষ্যতে এমন রেষারেষি থাকলে আমি চলে যাব। আমার যাওয়ায় কারো ক্ষতি হবে না তবে এখানে থাকলে ক্ষতি হবে আমার। আমি চাই না আমিও শিখে যাই কেমন করে অন্যকে হেয় করতে হয়,কেমন করে আঘাত করে কথা বলতে হয়, কেমন করে দলাদলি করতে হয়।

আমার পৃথিবীটা সুন্দর। মানুষকে দেখি আমি ভালোবেসে, কথা বলি পরম আন্তরিকতায়। শিশুরা যে চোখ নিয়ে তার পৃথিবী দেখে আমিও সেভাবে দেখি।


সম্মানিত ব্লগারগণ আন্তরিকভাবে দু:খিত আমি আমি করেছি। সবাই ভালোবাসার চাদর দিয়ে নিজেদের মধ্য বন্ধন গড়ে তুলুন।
কথাগুলো জানিয়েছি অনেক ব্যথা নিয়ে।কারো ভালো না লাগলেও আমাকে বকবেন না। আমি ছোট মানুষ।
সবার সুস্থতা কামনা করিছি।

হ্যাপি ব্লগিং


©রুবাইদা গুলশান
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৯
২৬টি মন্তব্য ২৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×