আলো নামে না ধীরে
ঠিক সে যেন আসে চুপিসারে
কোনো অচেনা শব্দের নিচে চাপা পড়ে,
জানালার কাঁচে কাঁপে অস্থির পাতার মতো!
আলো আসে-হলুদের আলতো মায়ায়
কখনো ধুলো মাখা দুপুরে,
কখনো ক্লান্ত ভোরে,
কখনো বা কোনো জানালায় দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের চোখে।
আমি তাকাই না।
আমি ভিতরে ডুবে থাকি
সেই ঘরে, যেখানে কেউ কখনো আলো জ্বালে না।
অন্ধকার আমায় চেনে।
আমি তার হাঁটুর কাছে বসে থাকি
সে আমার মাথায় হাত রাখে
বলে-ভয় পেয়ো না
তোর মতো অনেকেই হারায় এই শহরে।
আমি তাকিয়ে থাকি না আর,
তবু দেখি-
আলো ধুলো মুছে যেতে চায় ভেতরের দেওয়াল থেকে।
সেই দেয়াল, যেখানে প্রতিদিন লিখি
“আমি আছি, অথচ নেই।”
অন্ধকার আসে এক রকম শুশ্রূষা নিয়ে
তার মৃদু স্পর্শে ঘুম আসে,
কিন্তু ঘুমের নিচে লুকিয়ে থাকে বহুদিনের কান্না।
আমার রাজকীয় অভ্যর্থনার অসুখ!
আমি জানি না, আমি মানব না দানব।
এই প্রশ্ন আর তেমন করে জাগে না এখন,
একটা দ্বিধা প্রতিদিন চুপিচুপি জন্ম নেয়,
আর আমি তাকে নাম দিই অন্তরাত্মা।
আমি দানব কিংবা মানবের হিসাব বুঝি না
মেলাতে পারিনি কোনদিন কোন অংক!
আলো ডাকলেও ফিরি না,
কারণ আমি জানি - প্রকৃত মানব জানে
অন্ধকার যত গভীরই হোক,
তওবা তার আলো ছুঁয়ে থাকে!
সে আলো কারো চোখে নয়
ভীড় করুক আমার ঘরে!
রুবাইদা গুলশান
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০২৫ রাত ১২:৪৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


