গতকাল বইমেলায় এক পাগলের দেখা পেলাম!
লিটলম্যাগ চত্বরে একা বা দুজন মেয়ে যে স্টলগুলোতে বসে আছে তারা তিনজন শুধু সেই সব স্টলেই যাচ্ছেন আর কথা বলছেন। একজন মুল পাগল আর সাথে দুই পাশে দুই আধা পাগল। দূর থেকে অনেকক্ষণ এই দৃশ্য দেখে আমি আগ্রহী হলাম।
এর মাঝেই আমি খেয়াল করলাম তারা মেঘফুল স্টলেও সাদিয়ার সাথে আলাপে মগ্ন। আমি ১০ মিনিট দেখে মনে হলো আমার স্টলে যাওয়া উচিত। মজার ব্যাপার হলো আমি মেঘফুলে যাওয়া মাত্র সেই তিনজনের দল দ্রুত স্টল পরিত্যাগ করলো।
আমি সাদিয়াকে জিজ্ঞেস করলাম তারা কি বলছিলো?
সাদিয়া জানালো তারা মেঘফুল এর উচ্চারন কি হবে, এর অর্থ কী? এটা ভুল ওটা ঠিক ইত্যাদি নিয়ে আলাপ করছিল।
আমি বুঝলাম এরা পবনা ফেরত দল। ছাগল গোত্রের। অসুস্থ।
সাদিয়া র সাথে কথা বলতে বলতেই তাদের আরো একটি স্টলে দাঁড়াতে দেখলাম। অবধারিতভাবেই সেটিও ছিল মেয়েদের স্টল। কোন পুরুষ ছিল না। সেটি ছিল নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা একটি সংস্থার পত্রিকার স্টল। সম্ভবত সমস্বরের স্টল। সেখানে গিয়ে প্রথমেই তুমি সম্বোধন করে প্রশ্ন করায় তারা প্রতি আক্রমণের স্বীকার হলো। আমিও সেই স্টলের পাশে দাঁড়ানোয় তারা সেখান থেকেও দ্রুত চলে গেলো। সেখানে তারা জানতে চাইছিল নারীবাদ কী!
আসলে এই সব প্রশ্ন কিছুই না। এগুলো উছিলা। এরা এক ধরণের পাগল গোত্রের মানুষ যারা পুরো সুস্থ স্বাভাবিক নয়। তারা তাদের মতোন পাগলামিতে মজা পায়, সুখ খুজে। এরা নারীদের বিব্রত করে, তাদের প্রতি নানা মন্তব্য ছূঁড়ে। একধরণের মানসিক রোগী এরা। প্রতি বইমেলায় এমন অনেক বিচিত্র মানুষের দেখা মেলে, এবারেও দেখছি।
নীলসাধু
বইমেলা থেকে ফিরে
ব্লগ টপিক
এই ব্লগেও অসুস্থ পাগল আছে। বেশ কয়েকজনই আছে।
দেখছি এদের পাগলামি।
ছবি//সংগ্রহ
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১৫