somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমি কখনও ফারিয়ার কোন মুভি দেখিনি!

২৮ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য়বর্ষে পড়ি তখন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন টিচার আমাদের একটা সাবজেক্ট পড়াতে আসলেন। উনার ক্লাস বেশ মজাই লাগতো। ঢাবি থেকে আসা ৪জন শিক্ষকের মধ্যে শুধুমাত্র ওনার ক্লাসে কিছু শিখতে পেরেছি, বাকিদের ক্লাসে বুঝেছি যে উনারা ক্লাসে গালগল্পো দিতেই বেশী পছন্দ করেন, জ্ঞান না।



উনার ক্লাস গুলি থেকে একটা বিষয় ক্লিয়ার বুঝেছিলাম, উনি যতটুকু প্রশ্ন করেন, ততটুকুরই উত্তর চান। এর বেশী উনি চান না। পরীক্ষার হলে গিয়ে দেখে একটাই প্রশ্ন! বিশাল কাহিনী লিখে শেষে প্রশ্ন যে আমি এর সাথে এগ্রি করি কি করি না; ব্যাস। পুরা লেখাটা একবার পড়লাম। দ্বিতীয়বার ভালো করে পড়লাম। তৃতীয়বার কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজলাম। মোটামুটি ৩০-৩৫ মিনিট সময় কাবাড়। আমি পুরা বিষয়টার সাথে এগ্রি করি, তাই উত্তরে "Yes" লিখে খাতা জমা দিয়ে দিলাম।

পরীক্ষার হল-গার্ড যিনি ছিলেন, তিনি অবাক। বললেন খাতায় কিছু না লিখে জমা দিয়ে দিচ্ছো যে? বললাম যতটুকু লেখার ছিলো ততটুকুই লিখেছি। পরীক্ষার হল থেকে ১ঘন্টার আগে বের হওয়া যাবে না, তাই বসে ছিলাম বাড়তি কিছু সময়।

যখন খাতা দেওয়া হলো, দেখা গেলো কেউই ৩০এর মধ্যে ২০ এর বাইরে পায় নি। খালি আমার খাতা বাকি। শিক্ষকে জিজ্ঞাসা করতে উনি বেশ উপহাস করলেন আমার খাতা নিয়ে। জিজ্ঞাসা করলেন শুধু "Yes" কেন লিখেছি। আমি উত্তর দিলাম যে অতটুকুইতো জানতে চেয়েছেন। সবাই হাসাহাসি শেষে দেখলো শিক্ষক আমাকে ৩০এর ভিতরে ৩০ দিয়েছেন! কারণ, আমি যতটুকু জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, ততটুকুরই উত্তর দিয়েছি। কারণ ব্যাখ্যা করতে যাইনি।

--------------------------------------

আমাদের বাড়ির এরিয়ার ভিতরে একটা ঘরে ভাড়া থাকতো এক দম্পতি। দুই ছেলে, বর বউ। সাথে মাঝে মধ্যে বরের মা এসে থাকতেন। বছরে তিন মাস। চারছেলে যথাক্রমে তিনমাস করে মাকে নিজের কাছে রাখতো বা রাখতে হতো।

এই মা বাড়িতে আসলেই ঐ লোকের বউয়ের গালাগালি ও ঝগড়ার মুখ ফুটতো। সারা বছর ভালো ব্যবহারের মানুষটি হঠাৎই গালিগালাজ পূর্ণ হয়ে যেতো। ঘটনা বর্ণনার সুবিধার্থে ও আসল পরিচয় গোপন রাখতে তাকে গফুর মা বলি।

আমরা সবাই মনে করতাম যে গফুর মায়ের এই খারাপ ব্যবহার গফুর দাদী মুখ বুজে সহ্য করে যান। কারণ কখনও কেউ তাকে কিছু বলতে শুনেনি। ওদিকে গফুর মা কিন্তু বলতো এই বুড়ি দুর্দান্ত খারাপ।

একদিন কোন কারণে ওদের ঘরের পাশ থেকে আসতে আসতে একটা শব্দ শুনলাম "তুই", অমনি দেখি গফুর মা চিৎকার করে গালাগালি শুরু করে দিলো! ঘটনা বুঝতে একটু সময় নিলো। ঘটনা এমনঃ

গফুর মা প্রতিবার যখনই গালাগালি থামায়, গফুর দাদী আস্তে করে বলে তুই। অর্থ দাড়ায়, এত সময় ধরে গফুর মা গফুর দাদীকে যা যা বলেছে, গফুর দাদী "তুই" বলে সব কিচু গফুর মা-কে বলে দিয়েছে!

এমন অভিনভ ঝগড়া আমি কখনও কাউকে করতে শুনিনি বা দেখিনি।

----------------------------------

আমাদের এলাকায় এক বেয়াড়া ছেলে ছিলো, বয়স ৫/৬ হবে। তার হাতে একটা লাঠি থাকতো। সে মাঝে মধ্যেই একে ওকে প্যাদানী দিতো। কিছু বলতে গেলে তার মা হাজির হয়ে বলতো, ছোট মানুষ কি করবো বলেন!

একবার এক লোক কোন ভাবে তার পোষা একটা কুকুরকে ঐ পিচ্চির পিছে লাগিয়ে দিতে সক্ষম হয়। পিচ্চি রাস্তায় আসলেই কুত্তা তাকে ধাওয়া দেয়। এটা নিয়ে কিছু বলতে গেলে ঐ লোক বলতো, অবলা প্রাণী, কি বলবে বলেন!

--------------------------------

একটু আগে যে গফুর মা-দাদীর কথা বললাম, ঐ গফুর মুখের অবস্থাও কিন্তু ওর মায়ের মত ছিলো। বলতে গেলে আরও খারাপ ছিলো। ওর মা বছরে তিনমাস গালাগালি বেশী ইউজ করলেও গফু করতো প্রতিদিন। গফুর সাথে সাধারণ কথা বলতে গেলেও ওর মুখ থেকে দু-চারটা গালি বের হয়ে যেতো।

অনেক চেষ্টা-চরিত্র করেও গফুকে লাইনে আনা গেলো না। বরং গফু আরও বাড়াবাড়ি রকমে গালাগালি ব্যবহার শুরু করলো। তখন মুরব্বীরা সিদ্ধান্ত নিলো যে, যারা গফুর থেকে বড়, তারা গফুর মুখে এমন শব্দ শুনলেই চড় লাগায় দিতে পারবে, তবে মুখে না।

এরপর গফুর থেকে যারা সামান্যও বড়, তাদা সমানে গফুকে চড়-থাপ্পড় দিতে শুরু করলো। গফু যদি কখনও সতর্ক হয়েও কথা বলতো, তারা এমন ভাবে গফুর সাথে কথা বলতো যে গফু ভুলে একটা দুটা বাজে শব্দ বলে ফেলতো; আর মাইর খাইতো।

আমার আজকের পোষ্টের টাইটেলের সাথে লেখার মিল না থাকার কারনও গফুকে একটা চড় দেওয়ার ইচ্ছা!

Photo by Artur Stanulevich on Unsplash
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:২৫
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শোকের উচ্চারণ।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যা হচ্ছে বা হলো তা কি উপকারে লাগলো?

লিখেছেন রানার ব্লগ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:২৮

৫ হাজার মৃত্যু গুজব ছড়াচ্ছে কারা?

মানুষ মারা গিয়েছে বলা ভুল হবে হত্যা করা হয়েছে। করলো কারা? দেশে এখন দুই পক্ষ! একে অপর কে দোষ দিচ্ছে! কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।

লিখেছেন নয়া পাঠক, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৭



আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×