বাংলাদেশকে ইংরেজরা শাসন করেছে। তারা কোর্ট, টাই আর প্যান্ট পড়তো। পাকিস্তানীরাও শাসন করেছে, কিন্তু, তারা পড়তো পাঞ্জাবী। তাহলে বাঙ্গালীদের লুঙ্গী পড়ানো শিখালো কে? এই প্রশ্নটা প্রায় শোনা যায়। অনেকের মনে উঁকিঝুঁকি দেয় এই প্রশ্নটা। উত্তর খোজার চেষ্টা করেও খুজে পাওয়া যায় না উত্তর। তাদের জন্যে আমার এই লেখা। বাংলা সংস্কৃতিতে লুঙ্গী আগমন ঘটে ইসলাম প্রচারকদের মাধ্যমে। ইসলাম প্রচারকরা যখন ভারতবর্ষে ইসলাম প্রচার করতে আসেন, তখন ভারতবর্ষ ছিল হিন্দু অধ্যুষিত অঞ্চল। আর হিন্দুরা তখন পড়তো ধুতি আর পাঞ্জাবী। তবে পাঞ্জাবী মুসলমানদের জন্য কোন সমস্যা না হলেও ধুতিতে মুসলিম রীতি মানা হতো না। কারন, মুসলিম রীতি অনুযায়ী প্রত্যেক পুরুষের নাভি থেকে হাটু পর্যন্ত ঢাকা থাকতে হবে। কিন্তু, ধুতি পড়লে সেটা হাটুর উপরে থাকে। সেই কারনে তৎকালিক ধর্মপ্রচারকরা লুঙ্গীর প্রচলন ঘটান। প্রচলিত আছে যে, সেই সময়ে ধর্মপ্রচারকরা বছরের পর বছর লুঙ্গী পড়া শিখিয়েছেন। এই লুঙ্গীটা একসময় বাঙ্গালীর অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে যায়। মুলত পড়তে আরামদায়ক হওয়ায় এবং ধর্মীয় ররীতি মমেনে চচলার কারনে এটা বাঙ্গালী মুসলমানদের অবিচ্ছেদ্য পোষাকে পরিণত হয়। সাম্প্রতিক সময়ে এই আরামদায়ক পোষাকটিকে সব ধর্মাবলম্বী মানুষকে পড়তে দেখা যায়। এবং বর্তমানে এটা শুধু বাঙ্গালী জাতীরই অবিচ্ছেদ্য অংশ নয়। এই পোষাকটি বাংলাদেশে বসবাসরত সকল জাতিসত্তার কাছেই এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। বর্তমানে লুঙ্গী বাঙ্গালী সংস্কৃতির পাশাপাশি অন্যান্য সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হতে শুরু করেছে। যারা বাংলাদেশ থেকে প্রবাসে যাচ্ছে তারাও সাথে করে লুঙ্গী নিয়ে যায়। বাঙ্গালী জাতীর সবচাইতে জনপ্রিয় পোষাকও এই লুঙ্গী।
মোহাম্মাদ নেছার উদ্দিন
সভাপতি,
বাংলাদেশ ইউনাইটেড কালচারাল ফোরাম