অনেকে বলে থাকেন ঘাস শুকিয়ে যাওয়ার পর আবার সেই ঘাসে প্রান ফিরে আসে। সাদা ছাগলের পেট থেকে কালো ছাগল বের হয়। এগুলো হচ্ছে বিবর্তনবাদ। তারা এটাকে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে যেয়ে এটাও প্রমাণ করতে চাই, বানর থেকে মানুষ হয়েছে। মানুষ মরে আরেক জনমে গরু, ছাগল, শুকর কিংবা কুকুর রুপে ফিরে আসবে। উল্লেখিত দুইটা বিষয় বিবেচনা করলে বিবর্তনবাদ দুই প্রকার। যদিও প্রথম বিষয়টাকে বিবর্তনবাদ হিসেবে মানা যাবে কিনা তাতেও আমি কনফিউজড। তবু যুক্তির খাতিরে মেনে নিলাম।
১।ধর্মীয় বিবর্তনবাদ: যা কুরআন এবং হাদিসে উল্লেখ আছে। এই যেমন কালো ছাগলের পেট থেকে সাদা বাচ্ছা হওয়া, শুকনো ঘাস আবার জীবিত হওয়া ইত্যাদি।
২। বৈজ্ঞানিক বিবর্তনবাদ: যেটাকে বৈজ্ঞানিক বিবর্তনবাদ বলা হয়। তার আদৌ কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে কিনা তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। বৈজ্ঞানিক বিবর্তনবাদ হচ্ছে এক প্রানী থেকে আরেক প্রাণীর সৃষ্টি হওয়া। এই যেমন বানর থেকে মানুষ। মানুষ থেকে কুকুর ইত্যাদি।
পৃথিবী যখন সৃষ্টি হয়েছিলো তখন মানুষ লম্বা ছিলো ৬০ হাত। এখন কেন সর্বোচ্ছ ৫ থেকে ৬ ফুট? এটা তো বিবর্তনবাদের ফলে সম্ভব। তাই না? এখানে যিনি ৬০ হাত লম্বা ছিলেন তিনি মানুষ ছিলেন। আর যিনি ৬০ ইঞ্চি লম্বা তিনিও মানুষ। এখানে ৬০ হাত লম্বা ব্যাক্তিটি অন্য কোন প্রাণী ছিলো না যে এক প্রানী থেকে আরেক প্রাণীর জন্ম হয়েছে। নারীর গর্ভে পুরুষ সন্তান জন্মায়। কিন্তু, সেটা মানুষ। কালো মায়ের গর্ভে সুন্দর সন্তান। লম্বা মায়ের গর্ভে বেটো সন্তান। এরা সবাই মানুষ। এখানে মানুষের সন্তান কুকুর বা গরু হচ্ছে না। অনুরুপ গরুর গর্ভেও গরু জন্মায়, মানুষ নয়। কালো গরুর হলুদ ছানা অথবা হলুদ গরুর সাদা ছানা। এগুলো সব গরু। গরুর পেট থেকে মানুষ কিংবা বানর জন্মায়নি। তাহলে এটা কেমন বিবর্তনবাদ হলো? আমি হয়তো এখানে এই লেখাটা লেখার স্বার্থে ধর্মীয় বিবর্তনবাদ বলে একটা শব্দ ব্যাবহার করেছি। কিন্তু, বিবর্তনবাদের কথা উঠলে সবার ভাবনায় যে বিষয়টি আসবে। সেটি হচ্ছে বানর থেকে মানুষ সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ থেকে আবার বিড়াল কুকুর বা গরু তৈরী হবে। এভাবে এক প্রাণী থেকে আরেক প্রাণীর সৃষ্টি হবে। কিন্তু, কারো ভাবনায় এটা আসবে না যে মরা ঘাস পুনরায় জীবিত হলেও সেটা ঘাসই থাকে। ঘাস বাশ হয়ে যায় না। এটাকে আদৈতে বিবর্তনবাদ বলা যাবে না। অনেকে ইসলামের আলোকে বানর থেকে মানুষ সৃষ্টি হয়েছে। এই বিবর্তনবাদকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। এই ক্ষেত্রে তাদের প্রমাণ থাকে, হজরত দাউদ (আঃ) এর আমলে আল্লাহর অবাধ্য ঐসকল ব্যাক্তিরা, যারা আল্লাহর নাফরমানি করার কারনে মানুষ থেকে বানরে পরিণত হয়েছে। এই বিষয়টা সকলের কাছে স্পষ্ট হওয়া উচিৎ, সে সময়ে যাদেরকে মহান আল্লাহ তা'আলা মানুষ থেকে বানরে রুপান্তরিত করে দিয়েছিলেন। তারা সকলে মারা গেছে। এটা যে বিবর্তনবাদ এর কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। এরা স্রষ্টার অবাধ্য ছিলো। তাই তিনি এদের বানরে রুপান্তরিত করে দিলেন। এটা আলোকিক ঘটনা ছাড়া আর কিছু নয়। এর কিছুদিন পর এরা আবার মারাও গেছে। এটা অল্প কিছু মানুষের ক্ষেত্রে ঘটেছে এবং প্রকাশ্যে। কিন্তু, এটা প্রতিষ্ঠিত নয়। তবে হ্যা, প্রতিটা মানুষ মৃত্যুর পর পুনর্জীবন লাভ করবে। এই পুনর্জীবন লাভ করবে
মানুষ হিসেবে বিচারের মুখোমুখি দাঁড়াতে। প্রতিটা মানুষকে একদিন আল্লাহর আদালতে বিচারের মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে। এটাকে কেউ বিবর্তনবাদ বলে ভুল করবেন না। সেদিনও প্রতিটি মানুষকে মানুষ হিসেবে বিচারের মুখোমুখি দাড়াতে হবে। অন্য কোন প্রাণী হিসেবে সেদিন কেউ বিচারের মুখোমুখি দাঁড়াবে না।