somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইসলামের দৃষ্টিতে বিবর্তনবাদ

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেকে বলে থাকেন ঘাস শুকিয়ে যাওয়ার পর আবার সেই ঘাসে প্রান ফিরে আসে। সাদা ছাগলের পেট থেকে কালো ছাগল বের হয়। এগুলো হচ্ছে বিবর্তনবাদ। তারা এটাকে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে যেয়ে এটাও প্রমাণ করতে চাই, বানর থেকে মানুষ হয়েছে। মানুষ মরে আরেক জনমে গরু, ছাগল, শুকর কিংবা কুকুর রুপে ফিরে আসবে। উল্লেখিত দুইটা বিষয় বিবেচনা করলে বিবর্তনবাদ দুই প্রকার। যদিও প্রথম বিষয়টাকে বিবর্তনবাদ হিসেবে মানা যাবে কিনা তাতেও আমি কনফিউজড। তবু যুক্তির খাতিরে মেনে নিলাম।
১।ধর্মীয় বিবর্তনবাদ: যা কুরআন এবং হাদিসে উল্লেখ আছে। এই যেমন কালো ছাগলের পেট থেকে সাদা বাচ্ছা হওয়া, শুকনো ঘাস আবার জীবিত হওয়া ইত্যাদি।
২। বৈজ্ঞানিক বিবর্তনবাদ: যেটাকে বৈজ্ঞানিক বিবর্তনবাদ বলা হয়। তার আদৌ কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে কিনা তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। বৈজ্ঞানিক বিবর্তনবাদ হচ্ছে এক প্রানী থেকে আরেক প্রাণীর সৃষ্টি হওয়া। এই যেমন বানর থেকে মানুষ। মানুষ থেকে কুকুর ইত্যাদি।
পৃথিবী যখন সৃষ্টি হয়েছিলো তখন মানুষ লম্বা ছিলো ৬০ হাত। এখন কেন সর্বোচ্ছ ৫ থেকে ৬ ফুট? এটা তো বিবর্তনবাদের ফলে সম্ভব। তাই না? এখানে যিনি ৬০ হাত লম্বা ছিলেন তিনি মানুষ ছিলেন। আর যিনি ৬০ ইঞ্চি লম্বা তিনিও মানুষ। এখানে ৬০ হাত লম্বা ব্যাক্তিটি অন্য কোন প্রাণী ছিলো না যে এক প্রানী থেকে আরেক প্রাণীর জন্ম হয়েছে। নারীর গর্ভে পুরুষ সন্তান জন্মায়। কিন্তু, সেটা মানুষ। কালো মায়ের গর্ভে সুন্দর সন্তান। লম্বা মায়ের গর্ভে বেটো সন্তান। এরা সবাই মানুষ। এখানে মানুষের সন্তান কুকুর বা গরু হচ্ছে না। অনুরুপ গরুর গর্ভেও গরু জন্মায়, মানুষ নয়। কালো গরুর হলুদ ছানা অথবা হলুদ গরুর সাদা ছানা। এগুলো সব গরু। গরুর পেট থেকে মানুষ কিংবা বানর জন্মায়নি। তাহলে এটা কেমন বিবর্তনবাদ হলো? আমি হয়তো এখানে এই লেখাটা লেখার স্বার্থে ধর্মীয় বিবর্তনবাদ বলে একটা শব্দ ব্যাবহার করেছি। কিন্তু, বিবর্তনবাদের কথা উঠলে সবার ভাবনায় যে বিষয়টি আসবে। সেটি হচ্ছে বানর থেকে মানুষ সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ থেকে আবার বিড়াল কুকুর বা গরু তৈরী হবে। এভাবে এক প্রাণী থেকে আরেক প্রাণীর সৃষ্টি হবে। কিন্তু, কারো ভাবনায় এটা আসবে না যে মরা ঘাস পুনরায় জীবিত হলেও সেটা ঘাসই থাকে। ঘাস বাশ হয়ে যায় না। এটাকে আদৈতে বিবর্তনবাদ বলা যাবে না। অনেকে ইসলামের আলোকে বানর থেকে মানুষ সৃষ্টি হয়েছে। এই বিবর্তনবাদকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। এই ক্ষেত্রে তাদের প্রমাণ থাকে, হজরত দাউদ (আঃ) এর আমলে আল্লাহর অবাধ্য ঐসকল ব্যাক্তিরা, যারা আল্লাহর নাফরমানি করার কারনে মানুষ থেকে বানরে পরিণত হয়েছে। এই বিষয়টা সকলের কাছে স্পষ্ট হওয়া উচিৎ, সে সময়ে যাদেরকে মহান আল্লাহ তা'আলা মানুষ থেকে বানরে রুপান্তরিত করে দিয়েছিলেন। তারা সকলে মারা গেছে। এটা যে বিবর্তনবাদ এর কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। এরা স্রষ্টার অবাধ্য ছিলো। তাই তিনি এদের বানরে রুপান্তরিত করে দিলেন। এটা আলোকিক ঘটনা ছাড়া আর কিছু নয়। এর কিছুদিন পর এরা আবার মারাও গেছে। এটা অল্প কিছু মানুষের ক্ষেত্রে ঘটেছে এবং প্রকাশ্যে। কিন্তু, এটা প্রতিষ্ঠিত নয়। তবে হ্যা, প্রতিটা মানুষ মৃত্যুর পর পুনর্জীবন লাভ করবে। এই পুনর্জীবন লাভ করবে
মানুষ হিসেবে বিচারের মুখোমুখি দাঁড়াতে। প্রতিটা মানুষকে একদিন আল্লাহর আদালতে বিচারের মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে। এটাকে কেউ বিবর্তনবাদ বলে ভুল করবেন না। সেদিনও প্রতিটি মানুষকে মানুষ হিসেবে বিচারের মুখোমুখি দাড়াতে হবে। অন্য কোন প্রাণী হিসেবে সেদিন কেউ বিচারের মুখোমুখি দাঁড়াবে না।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৫
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পুরনো ধর্মের সমালোচনা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেই নতুন ধর্মের জন্ম

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:১৫

ইসলামের নবী মুহাম্মদকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তিথি সরকারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে এক বছরের জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে প্রবেশনে পাঠানোর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×