অনেক পাঠ্য বইপুস্তক বা বিভিন্ন লেখালেখীতে দাস দাসী বেচাকেনার কথা শুনেছি ।
তাছাড়াও দাদা দাদি নানা নানীর মুখে আগের দিনের অনেক গল্পে শোনা যেত বাজারে দাস বিক্রি হয় । আর সেই সব শোনা কথাগুলো কতটুক সত্য মিথ্যা তা আজও পযন্ত কেউ যাচাই বা তার কোন প্রমান কারো কাছে আছে কিনা তা আমার জানা নাই । তবে আজ একটি সংবাদ পত্রে একটি কলাম দেখে মনে হচ্ছে কিন্তু এ ধরনের ঘটনা এখন বাস্তবে ঘটছে। দক্ষিণ পূর্ব ইউরোপের বুলগেরিয়াতে বাজারে বিয়ের পাত্রী বিক্রি হয়। যেখানে খোলা হাটে বিক্রি করা হয় বিয়ের পাত্রী। এক সূত্রে জানা যায় বহু যুগ ধরেই বুলগেরিয়ায় এই রীতি নীতি চলছে ।বিশেষ করে সংবাদ মাধ্যমের এক খবরে জানা যায় ইউরোপের সমৃদ্ধিশালী দেশ হিসেবে খ্যাত বুলগেরিয়ার স্টারা জোগরা নামক শহরে একটি উন্মুক্ত মার্কেটের সামনে এই পাত্রী বাজারটি বসে। মূলত বুলগেরিয়ায় হতদরিদ্র রোমা কালাইঝি নামের যাযাবর সম্প্রদায় ছেলে মেয়ের বিয়ে দিতেই এই কনে বাজারের আয়োজন করে। বছরে চার বার এই আয়োজন করে থাকেন তারা । কিন্তু পছন্দ অনুযায়ী সম্ভাব্য পাত্রী পেতে হলে ছেলের বাবা মাকে মেয়ের বাবা মার দাবি করা নির্দিষ্ট অংকের অর্থ গুনতে হয় ।
জানা গেছে, রোমা সম্প্রদায় মূলত একটি যাযাবর ধমপ্রাণ অর্থোডক্স খ্রিস্টান সম্প্রদায়। রক্ষণশীল সম্প্রদায়ের হলেও এসব যুবক যুবতী এই সুযোগে একে অন্যকে ধরে এরা নাচেন গান করেন এবং নানা ফুর্তিতে মেতে ওঠেন আবার ছবিতে পোজ এমনকি হালকা মদ্য জাতীয় পানীয়ও পান করেন তারা।
এএফপি খবরের মাধ্যমে জানা যায় তাম্রলিপির যুগ হতে ঐতিহ্যগতভাবে বংশ পরম্পরায় এভাবেই ছেলে মেয়েদের বিয়ের আয়োজন করে আসছেন বুলগেরিয়ার এই প্রাচীন রোমা সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠী। দাম দিয়ে কিনে আনার পর ছেলের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ করা হয় পাত্রীকে। আর এভাবেই যুগ যুগ ধরে চলে আসছে রোমা সম্প্রদায়ের এই জামাই বা বউ বিক্রির বা কনে হাট ।
তথ্যসূত্র ইন্টার নেট ।
।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:০৪