somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খালেদা জিয়াকে জয়ের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা উচিৎ

০৬ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ত্রিশ কোটি ডলার পাচারের অভিযোগ প্রমাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে সজীব ওয়াজেদ জয়ের চ্যালেঞ্জ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন কয়েকদিন আগে বিএনপি নেত্রী জয় সম্পর্কে একটি অসত্য তথ্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চাইলেন। জয় সেটা চ্যালেঞ্জ করেছেন। আমি আশা করছি সেই চ্যালেঞ্জের জবাব তিনি দেবেন এবং চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবেন।
জয়কে প্রাণনাশের চক্রান্তের মামলায় বিএনপি ঘনিষ্ঠ সম্পাদক শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে গত ৩০ এপ্রিল এক সভায় খালেদা যুক্তরাষ্ট্রে একটি ব্যাংক একাউন্টে শেখ হাসিনাপুত্রের নামে ৩০ কোটি ডলার রয়েছে বলে দাবি করেন।

জয়ের বিষয়ে তথ্য পেতে এফবিআইয়ের এক এজেন্টকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় প্রবাসী এক বিএনপি নেতার ছেলে রিজভী আহমেদ সিজারের কারাদণ্ডের রায়ে এই অর্থের উল্লেখ রয়েছে বলে তার দাবি।খালেদা জিয়ার বক্তব্যের একদিন বাদেই প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জয় ফেইসবুকে লিখেছেন ম্যাডাম আপনি যদি জানেন যে ৩শ মিলিয়ন ডলার কোথায়? অনুগ্রহ করে আমাকে জানান। আমি সেই সমস্ত অর্থ এতিমদের দান করে দিতে চাই।নিজের ছেলেকে নিয়ে প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দলের নেত্রীর অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য হিসেবে সন্তানদের সুশিক্ষিত করতে নিজের প্রয়াস সংসদে তুলে ধরেন।প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেনে এই সংসদের মাধ্যমে জানাতে চাই আমরা ছেলে মেয়েদের মানুষ করেছি। জীবনে কোনো কিছু চাইনি। আমরা ছেলে মেয়েদের একটাই বলেছি একটা মাত্র জিনিস তোমাদের দিতে পারব সেটা হলো শিক্ষা।তাই আমরা ছেলে মেয়েকে শিক্ষা দিয়েছি।
তিনি জানান জয় ভারতের ব্যাঙ্গালোর ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক ডিগ্রি নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস থেকে কম্পিউটার প্রকৌশলে গ্রাজুয়েশন করেন। সেখান থেকে কিছু দিন ব্যবসা করেছে নিজে অর্থ সংগ্রহ করেছে। এরপর স্টুডেন্ট লোন নিয়ে হার্ভার্ড থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি করেছে। বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়েছে।


পক্ষান্তরে খালেদা জিয়ার ছেলেদের সঙ্গে তুলনা করে শেখ হাসিনা বলেন, তাকে (জয়) সুশিক্ষায় শিক্ষিত করেছি আমরা, চোর-চোট্টা বানাইনি। সে চোর চোট্টা হতে এখানে আসেনি। ক্ষমতার ব্যবহার করে টাকা বানাতেও আসেনি। তারা দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করছে বিনিময় কিছু নেয়নি। নিজেরটা নিজেই করে খাচ্ছে। আমাকে গ্রেনেড হামলা করে বোমা পুঁতে নানাভাবে হত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে এখন আমার ছেলেকে হত্যার চেষ্টা করছে। সেই ষড়যেন্ত্র তারা লিপ্ত। হত্যা খুন করা তাদের পেশা বলেন তিনি মন্তব্য করেন।
২১ শেঅগাস্টের গ্রেনেড হামলার মামলায় খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান বিচারের মুখোমুখি। বিএনপি চেয়ারপারসনের আরেক ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকো মুদ্রা পাচারের দায়ে দণ্ডিত ছিলেন। তবে বিএনপির দাবি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন তারা কত টাকা চুরি করেছে? মানি লন্ডারিং করে বিদেশে রেখেছে। এই প্রশ্নটা জাগে যখন আমরা দেখি এফবিআইয়ের অফিসারকে ঘুষ দিয়ে কিনে ফেলেছে। এফবিআই অফিসারদের ঘুষ দিয়ে কিনে ফেলতে পারে এই পরিমাণ অর্থ বিএনপির নেতাদের কাছে রয়েছে। এটা আমেরিকায়ই ধরা পড়েছে। সেখানে বেরিয়েছে, জয়কে তারা অপহরণ করবে। জয়কে তারা অফ করে দেবে। অর্থাৎ তাকে হত্যা করে ফেলবে। তাকে জীবন থেকে সরিয়ে দেবে। এই ধরনের তথ্য কিন্তু বেরিয়ে এসেছে।
জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক দপ্তর ইউএনওডিসি এবং বিশ্ব ব্যাংকের সমন্বিত উদ্যোগে ‘স্টোলেন অ্যাসেট রিকভারি ইনিসিয়েটিভ’র একটি পুস্তিকায় সিমেন্স কোম্পানির কাছ থেকে খালেদা জিয়ার ছেলের ঘুষ নেওয়ার ঘটনাকে জাতীয় মুদ্রা সরানোর উদাহরণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে বলেও সংসদে জানান প্রধানমন্ত্রী।তিনি বলেন এই পুস্তিকাটি ২০১০ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভিয়েনায় প্রকাশ করা হয়েছে। এই বইয়ের ১৭৯ পৃষ্ঠায় বলা হয় বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলেকে ঘুষ হিসেবে বিদেশি একটি কোম্পানির দেওয়া অর্থ ২০০৯ সালে বাজেয়াপ্ত করার উদ্যোগ নেয় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল বিভাগ।


এটা ভিয়েনাতে প্রকাশিত খবর আমার নয়। ২০০৯ সালের ৮ জানুয়ারি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার পুনরুদ্ধারে ডিস্টিক্ট অফ কলাম্বিয়ার একটি আদালত আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণে উদ্যোগী হয়। এই অর্থ সিমেন্স থেকে বিএনপি নেত্রী তার ছেলের মাধ্যমে গ্রহণ করে এবং সিঙ্গাপুরে ব্যাংকে জমা রাখে। বিএনপি নেত্রীর ছেলের সেই টাকা আমরা ফিরে আনতে পেরেছি। বাংলাদেশে ইতিহাসে প্রথম এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তার ছেলেরা অনেক বহুজাতিক কোম্পানি থেকে কোটি কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলেও শেখ হাসিনা দাবি করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি করেছে বলেই ভাঙ্গা সুটকেস ছেড়া গেঞ্জি থেকে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে। তাদের বিলাসবহুল জীবন যাপন সকলের চোখে পড়েছে। আর বিশ্বসেরা অর্থ পাচারকারীদের যে নাম প্রকাশিত হয়। সেখানেও তার ছেলেদের নাম উঠে আসে।যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের তথ্যে বিভিন্ন দেশের দুর্নীতিবাজদের তালিকায়ও বিএনপি নেত্রীর ছেলেদের নাম থাকার কথা সংসদে জানান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।

তারেক এবং আরাফাত সম্পর্কে শেখ হাসিনা আরও বলেছেন বিএনপি নেত্রীর দুই ছেলে আজকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছে। মানি লন্ডারিং তো সিঙ্গাপুরের আদালতে প্রমাণিত। এটা আমাদের করা লাগেনি। বিএনপি নেত্রীর বড় ছেলেকে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর ওই তার বার্তা পাঠানো হয়েছিল। ওই তার বার্তায় বিএনপি নেত্রীর বড় ছেলে যে ঘুষ নিয়েছিল সে তথ্য বেরিয়ে এসেছিল। সিমেন্স হারভিন কোম্পানির কাছ থেকে তারা যে ঘুষ নিয়েছেন সেগুলো তো প্রমাণিত হয়েছে।জয়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খালেদা জিয়ার আহ্বানের প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনা আরও বলেছেন তারা অবৈধভাবে অর্থ বানিয়ে পাচার করেছ। তাদের অর্থ আত্মসাৎ এবং মানি লন্ডারিং আমাদের বলতে হবে না আমেরিকার ফেডারেল কোর্টে প্রমাণিত হয়েছে।

ছবিতথ্যঃ বিভিন্ন নিউজ গনমাধ্যম ।

সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:১৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×