somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

''আপনারা যারা নিজেকে স্বাধীনতা স্বপক্ষের দাবি করেন''

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইতিহাস জানেন? নাকি হুজুগেই স্বাধীনতা, স্বাধীনতা বলে চিল্লান?
স্বাধীনতা কেনো দরকার ছিল জানেন?
মুক্তিযুদ্ধ কেনো করা হয়েছিল, মনে আছে?
স্বাধীনতার উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবগত আছেন?

দেশভাগটাই ছিল অসম একটা বণ্টন। প্রথমত এভাবে একটা রাষ্ট্র স্থায়ী থাকতে পারে না, আজ অবধি পারতও না। দেশভাগ থেকে মুক্তিযুদ্ধ এই সময়কাল পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্থানিরা ছিল অবহেলিত, নিগৃহীত, অত্যাচারিত।

কাদের দ্বারা?

তাদেরই শাসক দ্বারা। ভূখণ্ড দু ভাগে থাকলেও রাষ্ট্র ও শাসক তো একটাই ছিল!

২৩ বছরের এই নিপীড়ন, অত্যাচারই ধীরে ধীরে স্বাধীনতার বীজ বপন করে। ৭৯ এর গনঅভ্যুত্থানের ফলে তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে।

১৯৭০ এর নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্থান থেকে মনোনীত দল আওয়ামীলীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেলেও ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অপারগতা জানায়। এর পরেই আসে ৬ দফা দাবি ও পাকিস্থানকে না মেনে নেয়া ৭ ই মার্চের ভাষণ।

তারপর পূর্ব পাকিস্থানিদের উপর হামলা (২৫ এ মার্চ)। মনে করেছিল ভয় ভীতি দেখিয়ে ক্ষমতা নিজেদের অধীনেই রাখা।

এর পরেই তো স্বাধীনতার ঘোষণা। এবং স্বাধীনতার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়া, অবশেষে স্বাধীনতা অর্জন।

✍︎ এখানে আমি ইতিহাস বলতে আসি নাই। আমার লেখার সারমর্ম হচ্ছে কিসের প্রেক্ষিতে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত। যে উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে, সে উদ্দেশ্য কি আমাদের পূরণ হয়েছে?

- তখনকার সরকার দ্বারা জনগণ অত্যাচারিত হয়েছিল, এখনো হচ্ছে।

- তখনকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনগণের না হয়ে সরকারের হয়ে কাজ করেছিল, এখনো এর ব্যতিক্রম নাই।

- তখনকার সরকার মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছিল, এখনো করতেছে।

- ইয়াহিয়া খান শেখ মুজিবের সাথে ক্ষমতা হস্তান্তর করার জন্য বৈঠকে বসেছিল। কিন্তু তলে তলে অস্র গোলাবারুদ পাঠিয়ে আক্রমণ করেছিল। আজকের সরকারও জনগণের সাথে একই প্রতারণাটা করে যাচ্ছে।

- জনগণের উপর নিজেদের ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতে সরকারী ইন্সট্রুমেন্ট ব্যাবহার করত, আজকেও তাই হচ্ছে।

- ক্ষমতা অক্ষুণ্ণ রাখতে পশ্চিম পাকিস্থানিরা এহেন অত্যাচার নাই যা তারা করে নাই। আজও মানুষ এর থেকে মুক্ত হতে পারে নাই।

স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরেও আজকের সরকার আর পাকিস্থান সরকারের মধ্যে তপাত কোথায় দেখান?

আপনারা যারা আজ নিজেকে স্বাধীনতা স্বপক্ষের দাবি করেন, স্বাধীনতার উদ্দেশ্য কতটুকু পূরণ করতে পেরেছেন? লাখো শহীদের রক্ত ও কোঠি মানুষের ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা টা তো পেয়ে গেলেন। কিন্তু একে ব্যবহার করে চললেই, স্বাধীনতার স্বপক্ষের হওয়া যায় না। এ জন্য কাজ করা লাগে।

আজ খুনি, দুর্নীতিবাজ, অধিকার হরণ করা, গণতন্ত্র হরণ করাও যদি একটি নিদৃস্ট দলের হয়ে থাকে তাকে স্বাধীনতার স্বপক্ষের বলে দাবি করেন। এটা কি স্বাধীনতাকে কলঙ্কিত করা নয়?

আর যাকে তাকে স্বাধীনতার বিপক্ষের বলার অধিকার আপনাদের কি দিয়েছে? আপনি ঠিক করবেন কে স্বাধীনতা স্বপক্ষের আর কি বিপক্ষের?

স্বাধীনতা স্বপক্ষের সে ই যে স্বাধীনতার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করে চলে। এর বাহিরে যে চলবে সে ই বিপক্ষের। সে যেই হোক না কেনো। স্বাধীনতা কোনো ইনহেরিটেড চেতনা নয় যে নিজের স্বার্থে তা ব্যাবহার করবেন। এর জন্য জীবন বাজি রেখে মানুষ যুদ্ধ করে নাই।

এটা গনপ্রজাতন্ত্রিক বাংলাদেশ। প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ। জনগণকে ঠিক করতে দিন সে কি চায়। কে স্বাধীনতার স্বপক্ষের আর কে বিপক্ষের তা জনগণ ঠিক করবে।

আপনি স্বাধীনতার কথা বলেন কিন্তু গণতন্ত্র মানেন না
আপনি স্বাধীনতার কথা বলেন কিন্তু অন্যায়কে অন্যায় বলেন না
আপনি স্বাধীনতার কথা বলেন কিন্তু তাঁবেদারি করে চলেন
আপনি স্বাধীনতার কথা বলেন কিন্তু দাস হয়ে পড়ে থাকেন
আপনি স্বাধীনতার কথা বলেন কিন্তু ক্ষমতার মালিক জনগণ তা জানেন না
আপনি স্বাধীনতার কথা বলেন কিন্তু আপনার অধিকার আপনি জানেন না

তাহলে আপনি স্বাধীনতার মর্মার্থটাই বুঝতে শেখেন নি। যার কারণে স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরেও শাসক শ্রেণী আপনাকে নিয়ে তামাশা করার স্পর্ধা দেখায়। যা দেখিয়েছিল স্বাধীনতা পূর্ববর্তী শাসকেরা।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৮
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×