![]()
সিরিয়ার সরকারি দৈনিক ‘আল থাওরা’ আজ তাদের প্রথম পাতায় লিখেছে সীমিত সেনা অভিযান সত্ত্বেও সিরিয়ায় পুরোপুরি যুদ্ধ লেগে যেতে পারে। সেই ভয়েই ওবামা মার্কিন কংগ্রেসের অভিমত জানতে চেয়েছেন। কাগজটির মতে, কংগ্রেস লাল বা সবুজ যে সঙ্কেতই দিক, আমেরিকা যে পিছু হটছে সেটা স্পষ্ট। ব্রিটেন পাশ থেকে সরে গিয়েছে। ওবামা যুদ্ধে হেরে যাওয়ার ভয়েই পিছু হটছেন বলে সিরিয়ার সংবাদমাধ্যমের দাবি। আসাদ বলছেন, তিনি আক্রমণের মোকাবিলা করতে তৈরি।
সিরিয়ার মতামত স্বাভাবিক ভাবেই খারিজ করেছে আমেরিকা। মার্কিন পররাস্ট্র সচিব জন কেরি আজ বলেছেন, “আমেরিকা পিছু হটেছে ভাবার কারণ নেই। সেনা অভিযানের সিদ্ধান্ত শুধু মার্কিন কংগ্রেসের হাতে নেই। প্রেসিডেন্ট আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই চলবেন।” আসাদের সঙ্গে হিটলার আর সাদ্দামের তুলনা করে সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের প্রমাণ যে মিলেছে, তা ফের মনে করান তিনি।
![]()
তবে কংগ্রেস অনুমোদন দিক আর না-ই দিক, সিরিয়ায় সেনা অভিযান যদি হয়ও, তার কিন্তু দেরি আছে। মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যরা এখন ছুটি কাটাচ্ছেন। ৯ সেপ্টেম্বরের আগে তাঁরা ওয়াশিংটনে ফিরছেন না। তাঁদের দ্রুত ফেরার জন্য ওবামা কোনও চাপও দেননি। সুতরাং ব্রিটেনের মতো তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন যে তিনি অনুভব করছেন না, সেটা স্পষ্ট। ওবামা নিজে আগামী সপ্তাহে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে সেন্ট পিটার্সবুর্গ যাচ্ছেন। সেখানে উঠবে সিরিয়া প্রসঙ্গ। আয়োজক দেশ, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন খোলাখুলি বলছেন, সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগে হাত রয়েছে বিদ্রোহীদেরই। আমেরিকাকে তারাই উস্কোচ্ছে।
সিরিয়ায় সরকার-বিরোধী জোট ‘ন্যাশনাল কোয়ালিশন’ তাদের হতাশা গোপনও করেনি। ওবামা আরও সময় নিচ্ছেন দেখে তারা বলেছে, ‘‘ভেবেছিলাম দ্রুত কিছু করা হবে। আমেরিকার নিষ্ক্রিয়তায় ফের আঘাত হানতে পারে আসাদ বাহিনী।’’

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


