somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ড. ইউনূসকে সরানোর আসল কারণ

১০ ই মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইকনমিস্টের রিপোর্টে বলা হয়, চৌদ্দ বছর আগে শেখ হাসিনা যখন প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন, তখন ড. ইউনূসের ব্যাপারে তিনি অতটা কঠোর ছিলেন না। ১৯৯৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানদের ক্ষুদ্রঋণ শীর্ষ সম্মেলনের কো-চেয়ারম্যান হিসেবে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, “আমরা বাংলাদেশে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার গড়া গ্রামীণ ব্যাংকের অসাধারণ কার্যক্রমে গর্বিত।”


প্রবন্ধে বলা হয়েছে, ড. ইউনূস বিশ্বকে এটা দেখিয়ে দিয়েছেন ক্ষুদ্রঋণের সুবিধা নিয়েও দরিদ্ররা আয় বাড়ানোর সামর্থ রাখে। এর মাধ্যমে তারা নিজেদের ভাগ্য পাল্টে দিতে পারে। দরিদ্রদের ক্ষুদ্রঋণ সহায়তা প্রকল্প বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সম্প্রসারণ ঘটেছে মূলত গ্রামীণ ব্যাংকের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে।

বাংলাদেশের জন্য যে কাজ করেছেন সেটা আজ বিশ্ববাসী নিজেদের দেশে অনুকরণে আগ্রহী। এটা তো অসাধারণ সাফল্য। আপনার কোনো নাম নেই, তাতে কি? আপনি নোবেল প্রাইজ পাবেন। তখন আপনিই হবেন নিজের দেশে সবচেয়ে পরিচিত এবং বিদেশেও সবচেয়ে পরিচিত বাংলাদেশী।


ড. ইউনূসের মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা থেকে আমি বুঝতে পেরেছি নোবেল প্রাইজ পেলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও তার আমেরিকা নিবাসী পুত্রের ঈর্ষার শিকার হতে পারি আমি। লন্ডনের প্রভাবশালী সাপ্তাহিক দি ইকনমিস্ট ২ মার্চের সংখ্যায় লিখেছে, গত তিন মাস ধরে বিভিন্ন মিডিয়ায় ড. ইউনূসকে অপদস্থ করতে যেসব কিছু বলা হচ্ছিল এবং তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকার যেভাবে মামলা করছিল, তারই চূড়ান্ত পরিণতি হচ্ছে, ৩০ বছর আগে তারই গড়া ব্যাংক থেকে তাকে সরিয়ে দেয়া।


প্রবন্ধটির মতে, গত নভেম্বরে নরওয়ের জাতীয় টেলিভিশনে ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র সম্প্রচারিত হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ সরকার ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লাগে। প্রামাণ্যচিত্রে দাবি করা হয়েছিল, ১৫ বছর আগে গ্রামীণ ব্যাংকের লাখ লাখ ডলার হাওয়া হয়ে গেছে।


প্রবন্ধে বলা হয় কোনো সন্দেহ নেই, নরওয়ে সরকার পরিচালিত তদন্তে দেখা গেছে প্রামাণ্যচিত্রের সেই অভিযোগ ভিত্তিহীন। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সতর্কতার সঙ্গে রাজনৈতিক ডামাডোল পিটিয়ে ড. ইউনূসকে হেনস্তা করার প্রেক্ষাপট নির্মাণ করেন।


ইকনমিস্ট লিখেছে, সুতরাং যে কেউ এটা আশা করতে পারেন, এই শীর্ষ সম্মেলনের ৯ বছর (২০০৬-এ) পর যখন ড. ইউনূস শান্তিতে নোবেল পেলেন, তখন শেখ হাসিনাও তার ওপর সন্তুষ্ট থাকবেন। কিন্তু আসলে তা হয়নি। কারণ শেখ হাসিনা ড. ইউনূসের নোবেল প্রাপ্তির বহু আগ থেকে মনে করছিলেন তিনিই শান্তিতে এই পদক পাওয়ার যোগ্য। ক্ষুদ্রঋণ চালুর জন্য ড. ইউনূস শান্তিতে নোবেল পেতে পারেন না। বরং তিনি ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে যে শান্তিচুক্তি করেছিলেন, তার জন্য তাকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া উচিত ছিল। তবে এ কাজে বিশ্বের নানা প্রান্তে তিনি সিনিয়র আমলাদের লবিইং করতে পাঠিয়েও সফল হননি।


ইকনমিস্টের ভাষায়, কিন্তু নোবেল প্রাপ্তির মাধ্যমে ড. ইউনূস হঠাৎ করেই প্রধানমন্ত্রীর বাবা শেখ মুজিবুর রহমানের চেয়েও বিখ্যাত হয়ে যান। যারা শেখ হাসিনাকে খুব কাছ থেকে জানেন, তাদের মতে, এটা মেনে নেয়া শেখ হাসিনার পক্ষে তেতো ওষুধ গেলার চেয়েও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।


ওই ম্যাগাজিনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানসিক অসন্তুষ্টি সরাসরি ব্যক্তিগত বিরোধে রূপ নেয়, নোবেল পাওয়ার পাঁচ মাস পর ড. ইউনূস রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দেন। সেনাসমর্থিত কেয়ারটেকার সরকারের শাসন আমলে ড. ইউনূস এ ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেনানায়করা আশা করেছিলেন, দেশটির রাজনীতি থেকে শেখ হাসিনা এবং বেগম খালেদা জিয়াকে সরিয়ে দেয়া সম্ভব। কিন্তু তারা মাইনাস-টু ফর্মুলা বাংলাদেশী জনগণকে গেলাতে পারেননি। ড. ইউনূস রাজনৈতিক অঙ্গনে বিদ্যমান দুর্নীতির জঞ্জাল সরাতে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যর্থতা চিরতরে উচ্ছেদ করার পদক্ষেপ নিতে আগ্রহী ছিলেন।


ইকনমিস্টে লেখা হয়েছে, ড. ইউনূসের অভিপ্রায় যা-ই হোক না, রাজনীতিতে তার নাক গলানোর এই উদ্যোগকে শেখ হাসিনা নিজের ও তার দলের জন্য হুমকি হিসেবে দেখেছেন। ইকনমিস্টের মতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ একজন সিনিয়র আমলা বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) মনে করলেন ড. ইউনূস (তার মতে) সেনাবাহিনীর তৎপরতার সঙ্গে জড়িত এবং তাকে রাজনীতি থেকে অপসারণের চেষ্টা করছেন। এ কারণে সেনাবাহিনীর পরিকল্পনা ড. ইউনূসের পরিকল্পনাও বটে।


প্রবন্ধে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন দাবি করছে, ১৯৯৯ সাল থেকে ড. ইউনূস অবৈধভাবে গ্রামীণ ব্যাংক ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা এমডি’র পদ দখল করে আছেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের যুক্তি হচ্ছে গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পরিষদ ড. ইউনূসের পুনর্নিয়োগ অনুমোদন করেনি।


এ বিষয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম জহিরের উদ্ধৃতি দিয়ে ইকনমিস্ট বলেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক খুব ভালো করেই জানতো ড. ইউনূস সঠিকভাবেই গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদে আছেন। তার ভাষায়, বাংলাদেশ ব্যাংক যখন এতদিন ধরেই তাকে ওই পদে থাকতে দিয়েছে, তাতে ইউনূসের পদে থাকার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে সম্মতি ছিল, তা আমরা ধরেই নিতে পারি।


ইকনমিস্টের আশঙ্কা, সরকারের প্রসঙ্গ এলেই বাংলাদেশের আদালতগুলো ক্রমান্বয়ে সরকারের মুখপানে চেয়ে থাকতে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। তাই ড. ইউনূসকে তার পদে ফিরিয়ে দেয়ার রায় দিতে হলে খুবই সাহসী কোনো বিচারপতির প্রয়োজন রয়েছে।


ইকনমিস্ট আরো লিখেছে, সম্ভবত পুরো ঘটনার এটাই সবচেয়ে বিস্ময়কর দিক হচ্ছে গ্রামীণ ব্যাংকের পদ থেকে ড. ইউনূসকে সরাতে বাংলাদেশ সরকার তার আন্তর্জাতিক সুনামকে কতোটা ঝুকিতে ফেলতে আগ্রহী হবে। ড. ইউনূসকে অপসারণের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার কতটুকু লাভবান হবে তা অনুমান করা কঠিন। যদি সরকার এ পদক্ষেপে জিতে যায়, তাহলে গ্রামীণ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে তুলে নিতে আগ্রহী হবে এবং এ ব্যাংকটাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করবে।

১৬ জানুয়ারি ২০১১-তে হিলারি তো বাংলাদেশের প্রধামনন্ত্রীকে বলেই দিয়েছিলেন, “বর্তমান সরকার যে বিচার বিভাগকে সাজিয়েছে সেটা সর্বজনবিদিত। আমেরিকা সেটা জেনে গেছে।” সুতরাং কোনো যুক্তি দেখিয়ে লাভ হবে না। দেখুন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার ঈর্ষার যে দুটি কারণ দি ইকনমিস্ট দিয়েছে, তা আংশিক বিশ্লেষণ মাত্র।

ইকনমিস্ট বলেছে, শেখ হাসিনা ঈর্ষাপরায়ণ কারণ এক. তিনি নিজে নোবেল পুরস্কার চান এবং দুই. নোবেল প্রাপ্তির ফলে প্রধামন্ত্রীর পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের চেয়েও বেশি বিখ্যাত হয়ে যান ড. ইউনূস। এ ছাড়া আজকেই অ্যাটনি জেনারেল বলেছেন শান্তিতে নোবেল পাওয়া উচিত ছিলো সন্তু লারমা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। কিন্তু এটা পূর্ণ বিশ্লেষণ নয়।



পূর্ণ বিশ্লেষণ কি তাহলে?



ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দেয়ার অঙ্গীকার করে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেছিলেন। কিন্তু গত দুই বছরে ব্যক্তিগত কয়েকটি এজেন্ডা পূরণ করা ছাড়া তিনি সফল হননি। ফলে জনতা যে এখন তার এবং তার দলের বিরুদ্ধে চলে গেছে সেটা শেখ হাসিনা বোঝেন। গতকাল ৭ মার্চে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের রেকর্ডটি রাজধানীর কোথাও আগের দুই বছরের মতো বাজতে শোনা যায়নি। এটাতেও বোঝা যায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কতোটা নি্নমুখী। এই পরিস্থিতিতে বর্তমান এবং আর তিন বছর পরে বাংলাদেশে যে সাধারণ নির্বাচন হবে সে বিষয়ে হিলারি ওয়াশিংটনে স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং ঢাকায় আমেরিকান দূতাবাসের মতামতের পাশাপাশি, আরেকটি নির্ভরযোগ্য মতামতের সোর্স রূপে ড. ইউনূসকে ব্যবহার করতে পারেন। ইউনূসের এই ইউনিক পজিশন তার সম্পর্কে শেখ হাসিনার দুশ্চিন্তার সবচেয়ে বড় কারণ। শেখ হাসিনা জানেন, যদিও ওয়াশিংটনে স্থায়ীভাবে থেকে তার ছেলে জয় সেখানে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন, তবুও সেটা আমেরিকান প্রশাসনের কাছে খুব গ্রহণযোগ্য হবে না। অন্য দিকে আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী, হিলারি সঙ্গে ড. ইউনূসের সম্পর্ক পারিবারিক এবং অনেক বছরের। হিলারির সঙ্গে ইউনূসের সম্পর্ক সরাসরি। অন্য কোনো দেশে ইউনূসের সমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক মাপের কোনো ব্যক্তির সঙ্গে হিলারির এমন সম্পর্ক নেই বলে মনে করেন শেখ হাসিনা। ইউনূসের এই অসাধারণত্বই ইউনূসের সমস্যার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। তাই আওয়ামী লীগের অবস্থান যতোই দুর্বল হবে, ইউনূসকে দেশ থেকে তাড়ানোর প্রচেষ্টা ততোই জোরালো হবে।




সূত্রঃ ইকোনোমিস্ট রিপোর্ট
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৯
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজামী, মুজাহিদ, বেগম জিয়াও বিজয় দিবস পালন করেছিলো!!

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২০



মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বেগম জিয়ার মুরগী মগজে এই যুদ্ধ সম্পর্কে কোন ধারণা ছিলো না; বেগম জিয়া বিশ্বাস করতো না যে, বাংগালীরা পাকীদের মতো শক্তিশালী সেনাবাহিনীকে পরাজিত করতে পারে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার থেকে

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×