গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রূপগঞ্জের হাসেম ফুডস লিমিটেডের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারনে এই পর্যন্ত প্রায় ৭০ জনেরও বেশি মৃত সংবাদ পাওয়া গেছে। সজীব গ্রুপের বদলে অনেকগুলি মিডিয়ায় হাশেম ফুডস নামেও উল্লেখ করা হয়েছে। যেই ভবনে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে সেটি হাশেম ফুডসের কারখানা। তবে এটার সাথে অনেকেই ভুল করে পারটেক্স গ্রুপকে মিলিয়ে ফেলছেন। এই দুইটা প্রতিষ্ঠান সর্ম্পূণ ভিন্ন। না জেনে কিংবা আন্দাজে এদের মিলিয়ে ফেলবেন না।
দীর্ঘ ২৬ ঘন্টা ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট টানা কাজ করার পরেও এখন পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। লাশের গন্ধে ভারী হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের আকাশ বাতাস। স্বজনদের আহাজারিতে প্রকম্পিত হচ্ছে চারপাশের পরিবেশ। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অর্ধশতাধিকেরও বেশি কারখানার শ্রমিক। ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় লাশের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ক্ষতিগ্রস্ত কারখানার সামনে অপেক্ষা করছেন নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজনরা। এই ঘটনায় যে ৫২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয় তার মাঝে ৪৯টি লাশ পুড়ে কয়লা হয়ে যায়। তাদের শেষ পরিচয় শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
কারখানার একটি সিঁড়ি বন্ধ থাকায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েছে বলে মনে করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা। ওই সিড়ি খোলা থাকলে অনেক প্রাণ বাঁচানো যেত বলে অভিমত তাদের। ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্টের লোকজন স্পষ্টভাষায় দাবী করছে ভবনের চারতলায় তালাবদ্ধ থাকায় এবং অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র না থাকার কারণে এত প্রাণহানির ঘটনা হয়েছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে কারখানার মালিক পক্ষ। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের লোকজন বলছে আগুন নেভানোর পর তারা চারতলায় তালাবদ্ধ একটি জায়গায় ৪৯ জনের মৃতদেহ একসাথে পেয়েছে। তাহলে তাদের দাবী কীভাবে মিথ্যা হয়? তাহলে এত মানুষের মৃত্যুর দায়িত্বটা কে নেবে এই প্রশ্নের জবাবে সজীব গ্রুপের পক্ষ থেকে বলা হয়েছেঃ
- ডিসি ও ডিআইজির সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। এটা আমাদের মালিক পক্ষ দেখবে। হতাহতদের ক্ষতিপূরণ সম্পূর্ণ ম্যানেজমেন্ট দেবে।
ফুল স্টপ! কাহিনী এখানেই শেষ! এইসব কথা বলার পর কী হতে পারে সেটা আমি আপ্নি এবং দেশের সবাই জানে। তাই বিষয়টা নিয়ে লেখার কোন ইচ্ছেই ছিল না। কিন্তু হাশেম গ্রুপের মালিক পক্ষের এতটা উদ্ধত ভঙ্গিতে কথা বলতে দেখে মনে হলো দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে কিছু কথা তবুও বলা উচিৎ। সর্ম্পূণ স্বেচ্ছায় ফ্যাক্টরী কিছু দরজায় এরা তালা দিয়ে রেখেছিল। দমকল বাহিনীর যা যা মিডিয়াতে বলেছে তার সারমর্ম হচ্ছে, ফ্যাক্টরী বানানোর যে বিধিবদ্ধ কোড আছে, অর্থাৎ বিল্ডিংয়ের ভিতরে কোথায় কোন জায়গায় কী রাখা যাবে, সেটা একেবারেই মানা হয়নি। দাহ্য পদার্থ অনিরাপদ জায়গায় রেখে দেয়ার কারনে আগুন দ্রুতই বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পরেছে। কিন্তু এই মালিক পক্ষের একজন প্রকাশ্য মিডিয়ায় বিগত চল্লিশ বছর ধরে এই ফ্যাক্টরী নিয়মিত ব্যবহারের দাবী করে উচ্চকন্ঠে ঘোষনা করলেন যে ফ্যাক্টরীর ভিতরের সবকিছু ঠিক ছিল। তাদের বিল্ডিংয়ের কোন সমস্যাই নেই।
এখন আসা যাক মূল বিষয়ে। এখানে যেকোন দুইটা ঘটনা হতে পারেঃ
১) যদি এই মালিক পক্ষের লোকজনের দাবী সঠিক হয়, তাহলে এইসব ফ্যাক্টরী দেখভাল করার দায়িত্বে যেই সরকারী লোকজন আছেন, তারা বিগত চল্লিশ বছর ধরে নাকে খাঁটি সরিষার তেল দিয়ে ঘুমিয়েছিলেন। তারা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতেন, তাহলে এই বিল্ডিং অবশ্যই ব্যবহারের অনুমতি পেতো না। এতগুলি মানুষ মারা যাবার জন্য এইসব সরকারী লোকজন নিজেদের দায়িত্ব অবহেলার জন্য সরাসরি দায়ী।
> কিন্তু আজ পর্যন্ত এইসব সরকারী লোকজনের কোনদিন বিচার হতে দেখেছেন? ভালো করে ভেবে বলুন। পলিটিক্যাল রোষ না থাকলে এইসব সরকারী লোকজনের বিরুদ্ধে কোনকিছুই হয় না।
২) মালিক পক্ষ মিথ্যা কথা বলছে। কিন্তু তাদের এতবড় সাহস কীভাবে হলো যে প্রকাশ্যে মিডিয়ায় এসে এতটা ধৃষ্টতা সহকারে এই দাবী করার?
> তার মানে তারা জানে যে তাদের কিছুই হবে না। কেউ তাদের ফুলের টোকায় দিতে পারবে না। সহজেই তারা এতগুলি অসহায় মানুষের মৃত্যুর শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে যাবে। আশ্চর্য্যের বিষয় হলো এখন মিডিয়া এসেছে যে এর আগে এখানেই আরো চারবার আগুন লেগেছিল কিন্তু এরা কোন পূর্ব প্রস্তুতিই নেয়নি এইসব অগ্নিকণ্ডের জন্য। অথচ অগ্নিকাণ্ড নির্বাপণে যথোপযুক্ত ব্যবস্থার অভাবেই এত মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। মালিক পক্ষ কোটি কোটি টাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে লাভ পেলেও সাধারণ শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ উন্নয়নের জন্য কোন টাকা খরচই করেনি।
শুধুমাত্র ২০২০ সালেই অগ্নিদুর্ঘটনায় মারা গেছেন ১৫৪ জন। আহত হয়েছেন ৩৮৬ জন। তার আগের বছর ২০১৯ সালে নিহত হয়েছেন ১৮৫ জন এবং আহত হয়েছেন ৫৭১ জন। ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর দেশের ইতিহাসে কারখানায় সবচেয়ে মারাত্মক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আশুলিয়ার তাজরীন ফ্যাশনস লিমিটেডের ওই অগ্নিকাণ্ডে ১১৭ জন পোশাক শ্রমিক নিহত ও ২০০ জনের অধিক আহত হন। সরাসরি আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যান ১০১ জন শ্রমিক ও আগুন থেকে রেহাই পেতে উপর থেকে লাফিয়ে পড়ে মৃত্যু হয় আরও ১০ জনের।
আমরা দেশের সাধারণ মানুষজন এইসব ঘটনা ক্রমাগত দেখতে এবং শুনতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। গায়ের চামড়া আমাদের মোটা হয়ে গেছে। এইসব কিছুই এখন আমাদের গায়ে লাগে না। প্রায় নিয়মিত ফ্যাক্টরী কিংবা গোডাউনে আগুন লাগছে, লাগার পর ইতিমধ্যেই বিক্রি হয়ে যাওয়া কিছু মিডিয়া পেটের খোরাক যোগাড় করার মাল মসল্লা পেয়ে যাচ্ছে। কারণ এইদেশে সবচেয়ে সস্তা হচ্ছে মানুষের জীবন। মুড়ি মুরকির মতো আগুনে পোড়া লাশ পরে থাকলেও কারো কিছু যায় আসে না। ২৪ এপ্রিল ২০১৩ সালে সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাশে রানা প্লাজা নামের একটি বহুতল ভবন ধসে পড়ে এভাবেই হাজার হাজার শ্রমিক মারা গিয়েছিল, পঙ্গু হয়ে গিয়েছে আরো অনেকেই। কে তাদের খোঁজ রাখতে গিয়েছে? সরকার বা মিডিয়ার এত সময় আছে নাকি?
আগের দূর্ঘটনাগুলি কিন্তু আমাদের চোখের সামনেই ঘটেছে। অথচ দেশের বেশিরভাগ শিল্প কলকারখানার এর জন্য পূর্ব প্রস্তুতি নেই। এবং এদের দেখভাল করার দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তারা অসাধু উপায়ে অবৈধ পথে টাকা নিয়ে এইসব শিল্প প্রতিষ্ঠানদের বিল্ডিং কোড না মানার পরেও বছর পর বছর ধরে অন্যায়ভাবে ছাড়পত্র দিয়ে যাচ্ছে। চাকরির সূত্রে আমি দেশের একটা অন্যতম সেরা এবং বৃহত্তম শিল্প কারখানায় অনেকদিন ধরেই চাকরি করছি। শ্রমিকদের নিরাপত্তা, অগ্নিনির্বাপণ নিরাপত্তা এবং সার্বিকভাবে একটা কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং আনুষাঙ্গিক বিষয়গুলো কীভাবে সুন্দরভাবে নিরাপদ রাখা যায়, সেটা খুব ভালোভাবে কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা অনেক বছর ধরেই আমার আছে। শিল্প কারখানাগুলোতে সরকারি নজরদারির জন্য সুনির্দিষ্ট ব্যক্তি থাকেন এবং এই ব্যক্তি নিয়মিতই প্রতিবছর সেই শিল্প-কারখানায় প্রবেশ করে শিল্প কারখানা পরিদর্শন করেন এবং একটি সার্টিফিকেট প্রদান করেন। এই যে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলিতে আগুনে পুড়ে এত এত মানুষ মারা যাচ্ছে, এইসব বাণিজ্যিক কলকারখানায় জন্যও ক্লীয়ারেন্স সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছিল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই সার্টিফিকেট তাদের কে দিয়েছিল? কোন ব্যক্তি? তাকে খুঁজে বের করা হোক, তাকে প্রকাশ্যে আনা হোক, সেই লোক এখানে ছাড়াও আরো যেসব কলকারখানায় সার্টিফিকেট দিয়েছে সেগুলো খুঁজে বের করা হোক। নতুন করে তাদের মূল্যায়ন করা হোক। বছরের পর বছর ধরে দেশের শ্রমিকরা এভাবে পূড়ে মারা যেতে থাকবে কিন্তু নিরাপত্তার দায়িত্বে কর্মকর্তাদের কোন জবাব দিতে হবে না এটা তো হতে পারে না।
শিল্প কারখানার মালিকদের তথা শিল্পপতিদের সামাজিক দায়বদ্ধতা অবশ্যই আছে। তারা সেই দায়বদ্ধতা কোনভাবে অস্বীকার করতে পারেন না। এবং এ দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার দায়িত্ব হচ্ছে সরকার। সরকারও এটা অস্বীকার করতে পারে না। দেশের ভিতরে বিভিন্ন শিল্প কারখানার আগুন লেগে শত শত হাজার হাজার শ্রমিক নিয়মিত মারা যেতে থাকবে এবং সরকার সেটা দেখেও দেখবে না, শিল্পপতিরা ফাঁকতালে বিচারের আওতা থেকে মুক্ত থাকবে কিংবা কোন বিচারই হবে না, দিনের পর দিন এটা তো হতে পারে না।
বাংলাদেশে শিল্পকারখানার শ্রমিকরা কর্মক্ষেত্রে কোনো দুর্ঘটনায় মারা গেলে তার ক্ষতিপূরণের বিধান আছে পাঁচ লাখ টাকা। তবে তারা বাস্তবে পান মাত্র দুই লাখ টাকা। বাকি টাকা তাদের পরিবার পান না বলে অভিযোগ আছে। বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি জানান, শ্রম আইনে যে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের বিধান আছে তার মধ্যে দুই লাখ টাকা ইন্সুরেন্স কোম্পানি, দুই লাখ টাকা সরকার ও এক লাখ টাকা মালিকের দেয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে সরকারের দুই লাখ টাকা ছাড়া মালিক ও ইন্সুরেন্স কোম্পানির টাকা শ্রমিকরা পান না। বাধ্যতামূলক হলেও অনেক কারখানা ইন্সুরেন্স করেও না। এসব ঘটনার বেশিরভাগই ‘হত্যাকাণ্ড, ফৌজদারি অপরাধ’। কারণ শ্রমিকরা যে পরিবেশে কাজ করেন ও আগুন বা অন্য কোনো ঘটনায় যেভাবে মূল ফটকে তালা মারা থাকে তা শ্রম আইন বিরোধী। এক্ষেত্রে শ্রমিকদের আসলে হত্যা করা হয়। এই অবহেলাজনিত হত্যার ঘটনা প্রমাণ করতে পারলে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ আরো বেশি। কিন্তু এখন পর্যন্ত এইসব ঘটনায় কোনো মালিককে শাস্তি পেতে দেখা যায়নি।
বাংলাদেশের শ্রম আইনে যেসব কারখানায় কমপক্ষে ১০০ শ্রমিক আছেন সেখানে গ্রুপ বীমা থাকা বাধ্যতামূলক। তবে এইসব শিল্প প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের বীমার আওতায় আনে না। একজন শ্রমিক এখান থেকে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা সুবিধা পান। কিন্তু ২০১৫ সালের পর বেশিরভাগ শিল্পকারখানাই আর এই গ্রুপ বীমা করেনি বলে বীমা ও ব্যাংক খাত সূত্র থেকে জানা যায়। দুর্ঘটনার জন্য শ্রম আইনে যে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা আছে তাও শ্রমিক বা তার পরিবার পান না। আর অবহেলাজনিত হত্যা প্রমাণ না হলে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায় না। এখন পর্যন্ত এই আইনে কোনো মালিক বা দায়ীরা শাস্তি পেয়েছেন এমন নজির নেই। তবে নানা দুর্ঘটনায় উচ্চ আদালত ক্ষতিপূরণের বেশ কিছু আদেশ দিয়েছেন।
এই দেশে অপ্রকাশ্যে এখন বলা হয়, সবই সম্ভব যদি আপনার টাকা পয়সা, রাজনৈতিক প্রতিপত্তি, কিংবা সরকারী উচ্চপর্যায়ে লিংক থাকে। সবকিছুই ম্যানেজ করে ফেলেন এই শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর শিল্পপতিরা। এইজন্যই কখনোই কোন কিছুতে ভয় পায়না এরা, সেটা যত বড় দুর্ঘটনাই হোক। কারণ তারা জানে সুনির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তিবর্গ এবং রাজনৈতিক কোন প্রতিষ্ঠান কিংবা সরকার ইত্যাদি কারো না কারো মাধ্যমে ঠিকই ম্যানেজ করে ফেলবে তারা। ঠিক সেজন্যই এরা শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য কোন খরচ করতে চায় না।
দেশের ভিতরে ক্রমাগত এইসব ঘটনাই প্রমান করে যে, দেশে এখন বিচারহীনতা, জনগনের কাছে জবাবদিহীতা না করার প্রবনতা মারাত্মক বেড়ে গেছে। মানুষ মেরে ফেলে বিদেশ পালিয়ে যাওয়া, আরেক ব্যাংকের এমডিকে প্রকাশ্যে গুলি করা, এমন কী সম্মানিত প্রধানমন্ত্রীর নামের প্রকল্পের টাকা হরিলুট করতেও কেউ এখন আর ভয় পাচ্ছে না। দেশের আইনের শাষনব্যবস্থার প্রতি বৃদ্ধাংগুলি দেখানো লোকজনের কোন অভাব নেই এখন দেশে। বিশ্বজিতের রক্তাক্ত জামা, আবরার ফাহাদের নিথর দেহ, মেজর সিনহার মৃত্যুর কারণ ভেবে দেখুন? কেউ আর দেশের বিচার ব্যবস্থাকে পাত্তাও দিচ্ছে না। কারণ তারা জানে এই ধরণের যে কোন দূর্ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দেয়ার জন্য প্রকাশ্যে কিছু চমকপ্রদ কাহিনীর নাটক মঞ্চস্থ হবে। দিন শেষে যেই লাউ সেই কদু হবে।
মিথ আছে, প্রাচীন রোম নগরী যখন পুড়ে যাচ্ছিল সম্রাট নিরো তখন মনের আনন্দে বাঁশি বাজাচ্ছিল। বর্তমানে আমাদের দেশের যা অবস্থা তাতে সুনিশ্চিত ভাবে বলা যায় দেশের সমাজ ব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা, সামাজিক নিরাপত্তা ও বিচারব্যবস্থা ইত্যাদিও এখন আস্তে আস্তে ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে পুড়ে যাওয়ার শেষ দ্বারপ্রান্তে আছে। এবং আমিও অপেক্ষায় আছি কে সম্রাট নিরোর মতন শেষ বাঁশি বাজায় সেটা দেখার জন্য।
লেখার তথ্য সূত্রঃ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা এবং সোশাল মিডিয়া
ছবিঃ সোশাল মিডিয়া
সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইলো
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, জুলাই ২০২১
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৩২