


বাংলাদেশের ইসলামিক শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার নামে যে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো দেশের মানুষের সাথে ভন্ডামি করে বেড়াচ্ছে তাদের জন্য উপরের ছবিগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সমস্ত দলের নেতারা ও কর্মীরা জনগণের কাছে বলে একটা, কিন্তু কাজ করে আরেকটা। ইসলামের পরিভাষায় যাকে মুনাফিক বলে।
বিপণন কর্মীদের যেভাবে পণ্য বিক্রির জন্য যে কোনো উপায় ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে, ঠিক তেমনি এই সমস্ত ইসলাম নামধারী রাজনৈতিক দলগুলো ইসলামকে ব্যবসায়িক পণ্য হিসেবে জনগণের কাছে উপস্থাপন করে ধাপ্পাবাজি করার জন্য। এদের কিন্তু মূল উদ্দেশ্য ইসলাম প্রচার না, কিংবা ইসলামী শাসনব্যবস্থাও না। এদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়।
যারা সামান্য দিন দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করতে পারে না, তারা ক্ষমতায় গেলে কী করবে সেটা সহজে অনুমান করা যায়। ধর্ম হচ্ছে এদের কাছে সবচেয়ে বড় ব্যবসা, বিনা পুঁজির ব্যবসা, যেখানে আসলে কোন ইনভেস্টমেন্ট লাগে না। মানুষের হৃদয়ের গোপন এবং খুব স্পর্শকাতর একটা অংশকে সহজেই কারায়ত্ত করে এইসব রাজনৈতিক দলগুলোর মূল ম্যানফেস্টো লুকিয়ে জনগণের সাথে ভন্ডামি করা যায়, দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরে পর বছর, যুগের পর যুগ।
এদের মধ্যে যে রাজনৈতিক ইসলামী দল যত বড়, সেটা তত বেশি ভন্ড। এদের ভণ্ডামির আসল চেহারা দেখা গিয়েছিল ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়। স্বার্থের জন্য এরা দেশের মানুষ জনের সাথে বেঈমানি করতেও বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেনি।
৪০-৫০ বছর আগে দেশে মানুষজন এতটা শিক্ষিত ছিল না। ধর্মের প্রতি মানুষজনের একটা সুগভীর, নির্ভেজাল ও নির্দ্বিধায় আস্থাও ছিল। কিন্তু দিন এখন বদলে গেছে। মানুষজন শিক্ষিত হয়েছে, অন্তরজালের মাধ্যমে সারা পৃথিবীর মানুষজনের সাথে এরা এখন সবাই যোগাযোগ করতে পারছে। ধর্মকে ট্যাবলেটের মতো বানিয়ে জনগণের মুখের মধ্যে ঢেলে দিয়ে ক্ষমতা দখল করার মতন অবস্থা যে নেই, এটা এখন এরা বুঝতে পারছে না।
আমি মোটামুটি নিশ্চিত, সুষ্ঠু যদি একটা গণতান্ত্রিক ভোটের ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে এই রাজনৈতিক দলগুলোর বেশিরভাগ নেতাদেরই জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত হবে। সারাদেশে ৫% ভোট পাবে কিনা সন্দেহ আছে। এদের নেতা, ও কর্মী এবং ভোটারের সংখ্যা সমান। যারা এইসব দল করে তারাই এদেরকে ভোট দেয়। এর বাইরে সাধারণ জনগণ এদের ধারে কাছেও যায় না।
শুনতে খুব খারাপ লাগলেও সত্যিকার অর্থে দেশের সাধারণ মানুষজন এ সমস্ত ইসলামী দলগুলোকে কোনভাবেই বিশ্বাস করে না। বিশ্বাস করার আসলে কোন কারণই নেই। এরা পুরোপুরি বিশ্বাসঘাতক। শাপলা চত্বরে অসহায় অবুঝ হাফেজদের নামিয়ে দিয়ে এদের কেউ কেউ যে ফ্যাসিবাদী আম্লীগ সরকারের সাথে আঁতাত করে জমি দখল করার মতো নোংরা কাজেও জড়িত ছিল। সামান্য কিছু টাকা পয়সার মুখে এরা মুহূর্তের মধ্যেই নিজের ভোল পাল্টে ফেলে।
এদেরকে জনগণ কেন বিশ্বাস করবে?
দেশের মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করার মতন এরা কি আদৌ কিছু করেছে কখনো?
শেখ হাসিনার পাশে বসে নিজামীর ছবিটা দেশের মানুষকে এত তাড়াতাড়ি ভুলে গিয়েছে?
৯৬ এর সময় শেখ হাসিনার সাথে কারা দল বেঁধে রাস্তাঘাটে ভাঙচুর ও গন্ডগোল করে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত বিএনপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছিল, সেটা কি মানুষ ভুলে গেছে?
#ইতিহাস_কখনো_ভোলা_যায়_না
#কিছু_কিছু_চরিত্র_কখনো_পাল্টায়_না
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:২৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




