somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চলতে ফিরতে দেখা ০২

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৬:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
চলতে ফিরতে দেখা (ছবি ব্লগ)
চলতে ফিরতে দেখা ০১



১) জীবনে প্যারার কোন শেষ নেই। অামাদের বসের বেতন বাড়ছে না। তাই অামি স্যারের কাছে কায়দা করে বোঝাইতে গেছি। অার অমনি ফান্দে পড়ে গেছি। বিষয়টা এমন যার জন্য করি চুরি সেই বলে চোর চোর। বসের জন্য শুপারিশ করতে গিয়ে বস ভাবছে অামি তাকে ক্ষতির চেষ্টা করছি। অমনি বিভিন্ন ভাবে অামাকে ঝামেলাই ফেলাচ্ছে।

২) অামার কলিগ অার অামি একই ধরনের সমস্যাই পড়েছিলাম কয়দিন অাগে। ঘটনাটা এমন ছিলোঃ ২টা মহিলা এসে দাঁড়ালো। বিভিন্ন সমসার কথা বলছে। এমন ভাবে ধরেছে যে দাবি মানতেই হবে, যা হোক এক ফাঁকে কটা টাকা দেওয়া হলো। টাকা নিয়ে বলছে স্যার অামার টাকা গুলো একটু নোট করে দেন। টাকা নিয়ে পরে দেখা যাচ্ছে টাকা গুলা পুড়া। তাহলে মানুষ মানুষকে কিভাবে বিশ্বাস করবে। একদিকে টাকা সাহায্য নিচ্ছে অাবার অন্যদিকে নষ্ট টাকা দিচ্ছে। মানুষ দিনে দিনে কোথায় যাচ্ছে। কেও বা রিয়েল কথা বলে অাবার কেওবা করে অভিনয়। সরকার বা সিটিকর্পরেশন নতুন নতুন নিয়ম করেই খালাশ। কোন অাইনের বাস্তবায়ন নেই। এসব কেও দেখেনা। অামার মনে হয় এদের সিন্ডিকেট অাছে।

৩) সেদিন একটা বিষয় দেখে খুব খারাপ লাগলো একটা বাচ্চা লেগুনাই হেলফারি করছে। বাচ্চাটার বয়স সর্বোচ্চ ২/৩ বছর হবে। একটা ছবি দিলে বুঝতে সুবিধা হতো। তখন খুব খারাপ লাগছিলো। অামারা নিজেদের কে সভ্য দাবি করি, বলি অামরা অাধুনিক, অল্ট্রা অাধুনিক। বাস্তবতা হলো অামাদের মধ্যে কোন মানবিকতাই নেই। হায়রে অামার দেশ। এজন্য তুমি স্বাধীন হয়েছো...

৪) এলাকায় রাস্তা হচ্ছে ৩ বছর ধরে। অান্তঃজেলা সড়ক। যে ভাবে রাস্তা হচ্ছে তাতে অনুমান করলাম কমপক্ষে ২৫ বছর রাস্তা রিপেয়ার করা লাগবেনা হয়তো। ৫ইন্চি পুরু রাস্তা বেশ মজবুত। কদিন পরে দেখি তাও উঠে যাচ্ছে। ৩০ কিলোমিটার রাস্তা ৩ বছর রানিং চলছে, অাজ ও শেষ হয়নি। অথচ রাস্ত এক পার্শ্ব থেকে উঠে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী একটি নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন "শহরের গলি রাস্তা গুলো সিমেন্ট পাথরের হবে"। উদ্যোগ ভালো কিন্তু যারা কাজ করছেন তারা যদি ভালো না হন তবে কেমন হবে? হ্যাঁ, তাই হয়েছে এতো দিন পিজ বা বিটুমিনের পরিবর্তে কেরোসিন তেল ও পুড়া মবিল ব্যবহার করেছে অার এখন ৫ বস্তা সিমেন্টের যায়গায় ২ বস্তা লাগাচ্ছে। অাইন যতোই করেন যারা অাইন বাস্তবায়ন করবে তারা যদি সৎ না হয় তবে পরিবর্তন হবে কি ভাবে?

৫) সৈয়দ মুজতবা অালি'র লেখা বিলেতের ৩৬৫ দিন (নাম ঠিক মনে পড়ছে না)। মুজতবা অালি একটা হোটেলে উঠেছেন। সেই হোটেল সংস্কার কাজ করছে এক মিস্ত্রী। তখন উনি তাকে বলছেন:
: অাচ্ছা তুমি তো সারাদিন কাজ করেই যাচ্ছো একটু বিশ্রাম নিবে না। তোমার মালিকতো দেখছে না।
: (শ্রমিক) কেন বসবো? অামিতো অামার কাজে জন্য পারিশ্রমিক পাচ্ছিই। মালিক দেখুক অার নাই দেখুক অামাকে অামার দ্বায়িত্ব যথাযথো ভাবে পালন করতে হবে।

জাতিগত ভাবে ইংরেজরা অনেক দ্বায়িত্ব সচেতন। অার অামাদের পরিচয় অামাদের কাজ দেখলেই পাওয়া যাচ্ছে। ইংরেজরা হার্ডিংজ লোহার সেতু তৈরী করেছে, ১০০ বছর পূর্তী হচ্ছে। অামরা যমুনা সেতু করেছি মাঝে মাঝেই ফেটে যায়। বাংলাদেশে বেশ কিছু লোহার সেতু হয়েছে, যার অনেক গুলা ভেঙ্গে পড়ে গেছে ফ্লাইঅভার করলে ভেঙ্গে যায়। সাদ তৈরীরে বাঁশ ঢুকাই। রাস্তা করলে বিটুমিনের পরিবর্তে পোড়া মবিল ঢুকাই। তবে দেশ কি ভাবে ভালো হবে???

অর্থ এমন একটা জিনিস, যতো হাতে অাসে ততো পেতে মন চাই। সৎ ভাবে অল্পো খেয়েও অনেকে সুখে অাছে। তারাও বাংলাদেশি। অাবার অনেক পিওন কোটি টাকার মালিক।

অাশা করি অামরা অামাদের দ্বায়িত্বের ব্যপারে সচেতন হবো।
এগিয়ে যাবে দেশ।
হবে সোনার বাংলাদেশ।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২২
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×