আপনারা দিনের পর দিন দেশ কে অশান্ত – অস্থির করে তুলছেন আমরা সব সময় শান্তি চাই। আপনারা ভিন দেশের দালাল আর আমরা বীর বাঙ্গালী। আপনারা মানুষ হত্যা করে পালিয়ে যান আর আমরা মরি তবে পালাই না । আপনারা আইন নিজের হাতে তুলে নেন আর আমরা আপনাদের কে ধাওয়া করি আইনের হাতে তুলে দেবার জন্যে।
একজন মানুষের সাথে আরেকজন অমানুষের তফাৎ টা দেখেছেন ?
দেখেছেন বৈকি। তাই তো পালান । আপনারা মেধাহীন, পশুবৃত্তি সম্পন্ন তাই মেধাবীদের সহ্য করতে পারেন না । আপনারা আলোকিত নন তাই রাতের আধারে আপনাদের যত্ত কুকাজ। সাহস থাকে তো আসুন না একজন মানুষ হত্যা করে না পালিয়ে বুক ফুলিয়ে রাজপথে দাঁড়ান – বলুন আমি খুনী।
এটুকু বলার সাহস নাই ? যোগ্যতা নাই কিছু করার তাই ভিন দেশের টাকায় নিজের ও পরিবারের জীবন যাপন করেন “মানুষ খুন “ করার জন্যে। কারন পশুর পক্ষে মানুষ চেনা তো মুশকিল !
জি হ্যা আমি আপনাকেই বলছি , আপনি যে রাতের আঁধারে একজন প্রগতিশীল , মেধাবী , সুযোগ্য মানুষ কে খুন করে পালালেন এর মাঝ দিয়ে আপনি কী পরিচয় দিলেন ? আপনি পরিচয় দিলেন যে আপনি একজন কাপুরুষ । সাহস থাকলে বলুন , “হ্যা আমি অভিজিৎ রায় কে হত্যা করেছি কারন সে একজন মুক্তমনা । সে একজন হিন্দু । “
পারবেন না । পারার কথাও নয় । কারন তাহলে তো আপনি নিজেই একজন মানুষ হতেন । এই আপনি কে ? আমরা জানি না । জানেন আপনি । তাই আপনাকেই বলছি , মনুষ্য শরীর নিয়ে জন্মে অমানুষ হলেন কেমন করে ? যদি কোনই যোগ্যতা আপনার নাই থাকে কিছহু করে খাবার তবে ইট তো ভাংতে পারেন । বা রিক্সা চালাতে ?
একজন খুনী হবার চেয়ে, একজন খুনী হয়ে পালিয়ে বেড়াবার চেয়ে এটা কী ভাল নয় যে আমি একজন শ্রমিক বা দিনমজুর – এই পরিচয় ।
আপনারা যারা দিনে রাতে মানুষ হত্যা করে চলেছেন তাঁরা সারা জীবন খুনী হিসাবেই পরিচিত থাকবেন । এমন কি আপনাদের যথাযথ দন্ড পাবার পরও আমরা আপনাদের বংশধরদের কে খুনীর ছেলে – মেয়ে – নাতি – পুতি বলেই চিনবো , জানবো , ডাকবো। ইতিহাস আপনাদেরকে কেবল ঘৃণাই উপহার দিবে । যা বংশ পরস্পরায় আপনার উত্তরাধীকারীদেরকে টানতেই হবে । ভাববেন না এখানেই শেষ ।
এখন শুরু – আপনাদের হত্যা লীলার আর আমাদের স্ফুলিঙ্গ হয়ে ওঠার। সময় শুধু অপেক্ষার। মানুষ ফুঁসছে – মানুষ জাগছে ।
দিলরুবা সরমিন
আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী
প্রধান সম্পাদক , [প্রথমবার্তা.কম]
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:১৭