somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিভ্রান্তি বিলাস

২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কারো ভালো খবর শুনে এতো মন খারাপ জীবনে কখনো হয়নি । বহুদিন পর বন্ধু যখন দেখা করতে এসে বলে সে চলে যাচ্ছে দেশের বাইরে । হোক না গত তিন বছর আমাদের দশ বার ও দেখা হয় নি , তিন জন মিলে রিকশা করে কোথাও যাওয়া হয়নি , তবুও তো জানি তোরা আর আমি একই শহরে । বন্ধু তোরা কাছেই আছিস আমি সব্সময় বলি বন্ধু ভাগ্য আমার অনেক ভালো , তার প্রথম কারন টা হলো তোরা । তোর খারাপ কারন টা হলাম আমি

সেইদিন সর্বমোট তোদের দিকে তাকাইতে পারসি চার বার , কি করতাম সব কিছু ঝাপসা ঝাপসা লাগে । এখন ও তাই । তুই দেখলে কি একটা লজ্জার কাজ হবে । আমি তো জানি আমি অনেক শক্ত একটা ছেলে ।

খোদার কসম তোর সাথে এই জীবনে স্বার্থপরতা ছাড়া আর কিছু করি নাই , তোরে দেখে ও বন্ধুত্ব শিখি নাই ।
কি সব আবোলতাবল লিখসি , দুনিয়ার সব কিছুই বালছাল আবাল
আসলে পৃথিবী কিছু মানুষ আছে যারা শত চেষ্টা করেও কারও আপন হতে পারে না , এদের হয়তো অনেক বন্ধু বান্ধব থাকে কিন্তু হিসাব মিলাতে গেলে দেখা যায় এরা বহিরাগত , এরা একাই চলে , একাই ঘুরে, বেশি ভিড় এদের কখনই ভালো লাগে না ,কাউকে আপন লাগলে তাদের সাথে বাচ্চাদের মতো হয়ে যায় ... এদের কেউই আপন ভাবে না , ভাবে যন্ত্রণা , এইভাবে কষ্ট পেয়ে পেয়ে এই ধরনের মানুষগুলো নিরবে সরে যায় ,হারিয়ে যায় , কিন্তু কেউই তাদের খোঁজ করে না ......

বিভ্রান্ত বিলাস


মাঝরাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে মাঝে মাঝে আমি ফেসবুকে একটা নারীর প্রফাইল খুঁজি। খুবই গোপনে। আমি জানি এই লাইনটা পড়ে অনেক পাঠক দাঁতের পাটি বের করে ফেলেছেন। মনে মনে ভাবছেন, বয়স তো কম হলো না নিমাই, এখনও এইসব? ছিঃ।

আমার মনে পড়লো হেলাল হাফিজের কবিতার লাইন,
''ভালোবাসা যাকে খায়-- এইভাবে সবটুকু খায়।''

তারপর আর কখনোই আমি ওপাড়ায় যায়নি, ও পথে হাঁটিনি। তাহলে ইদানীং রাত বিরাতে সেই নারীকে খুঁজে মরি কেন? খুব সোজা উত্তর। জাস্ট সেই ভদ্রমহিলাকে একটা ''থ্যাংক ইউ'' বলার জন্য।
আমার খুব বলতে ইচ্ছে করে, এই যে ঝরঝর করে গদ্য লিখছি, স্ট্যাটাস মারছি, তুমি ধাক্কাটা না মারলে, পরীক্ষায় স্ট্যান্ড করে, খুব তালেবর ছাত্র হয়ে ''থিসিস'' লিখতাম।
তুমি আমাকে থিসিস লেখা থেকে বাঁচিয়েছো।
বাংলা গদ্য লেখার যে আনন্দ, এই আনন্দ আমি কোথায় পাবো, বলো?

শুধু থ্যাংক ইউ না, মেয়েটাকে ছোট্ট করে বকাও দিতাম। বলতাম, এই মেয়ে, তুমি তো আমাকে অন্যভাবে নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরাতে পারতে। বলতে পারতে, একটা না, দশটা উপন্যাস লিখলে ভেবে দেখতে পারি। দেয়ার মে বি সেকেন্ড চান্স।

তাহলে আমি সিরিয়াসলি দশখানা উপন্যাস নামিয়ে দিতাম।

তাতে তোমার আমার মিলন না হলেও, বাংলা সাহিত্যের বড়ো উপকার হতো।

মেয়ে, তুমি পচা


কেউ কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করে, ভাইয়া আপনার এই লেখার উদ্দেশ্য কি?
আমি বলি, একদা আমার লেখাটার একটা সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ছিল বটে, কিন্তু সেই উদ্দেশ্য বহুকাল আগেই ব্যর্থ হয়েছ, বলা যেতে পারে মাঠে মারা গেছে।

বিভ্রান্তি বিলাসিতা

আবার এলিটারা সামনের বছর দেশে আসতেছে, নাহ এইবার আর ফাও কামলা খাটার মানসিকতা নাই! কি লাভ ফাও কামলা দিয়া ভালোইতো আছি, পচানি কমছে লোক জনের কি লাভ ওরে নিয়া ব্লগে পোস্ট করার, কি’ইবা দরকার.........
বাস্তব জীবনে বেশী জৌলুসপূর্ণ বস্তুকে পাবার জন্য অহেতুক কালক্ষেপণ করো না। আকাশের দিকে তাকালে সবার প্রথমে সূর্যটাই চোখে পড়ে। কিন্তু সূর্যের দিকে বেশীক্ষণ তাকিয়ে থেকো না - চোখ ঝলসে যাবে। পুরো আকাশটাই আছে তো তোমার জন্য - কেনো শুধু সূর্যের দিকেই তাকিয়ে থাকবে?



[বিঃদ্রঃ বাক্তিগত অবস্থান শেয়ার করার জন্য দুঃখিত :(
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৩
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×