গত রাতে ইসরায়েল থেকে ভারতে বিপুল পরিমাণ যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে গেছে একটি কার্গো বিমান। তাতে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির গাইডেড মিসাইল বিপুল পরিমাণে আছে। এই মিসাইলগুলো অতি নিখুঁতভাবে মেঘ, বৃষ্টি বা ঝড়ের মাঝে অতি গোপনীয় স্থানে এমনকি মাটির নীচের বাংকারে লুকিয়ে থাকা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। ধারণা করা হয় এগুলো দিয়েই ইসমাইল হানিয়াসহ অনেককেই হত্যা করেছে ইসরায়েল।
এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে পাকিস্তানি সেনাপ্রধানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি প্রকাশ্যে আসছেন না অনেকদিন ধরেই, বিশেষত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার দিন থেকেই তিনি দৃশ্যত গায়েব। গত পরশু পাকিস্তানের পিএম অফিস থেকে প্রকাশিত একটা ছবিতে তাঁকে দেখা যায় পিএমের ডান পাশে বসে ছিলেন, চারপাশে আরও সেনা অফিসাররা ছিলেন। কিন্তু ছবিটা অনেকের মতেই ফটোশপড। কেউ কেউ বলছেন স্ত্রী-সন্তানদের আগেই নিরাপদে ইউরোপ পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। পেহেলগাম অ্যাটাকের পর নিজেও গায়েব!
পাকিস্তান মূলত চলে সেনাবাহিনীর কথায়। পিএম সরকারের অফিসিয়াল প্রধান হলেও সেখানে সেনাপ্রধান যা বলেন তাই হয়। তার কথার বাইরে গেলেই সরকারের পতন মাস্ট।
আরেকটি সূত্র বলছে, উপরে উপরে ভারতের বন্ধু তুরস্ক বেঈমানি করে বসেছে শুধু ধর্মের মিল থাকার কারণে। তারা পেহেলগাম হামলার পর চলমান উত্তেজনার মাঝেই পাকিস্তানকে কার্গো বিমান বোঝাই অস্ত্র সরববরাহ করেছে, যাতে বলার অপেক্ষা রাখে না তুরস্কের অত্যাধুনিক ড্রোনও আছে।
এদিকে, ভারতের তরফ থেকে যেকোনো ধরণের হামলা হলেই পারমাণবিক বোমা হামলার হুংকার দিয়েছেন পাকিস্তানি প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এটা খুবই অবিবেচকের মতো কথা। অন্য অস্ত্র থাকতে শুরুতেই মশা মারতে কামান দাগাবেন কেন? আপনি পারমাণবিক বোমা মারলে ভারত কি মারবে না? আপনি শুরুতে মারলে গোটা দুনিয়া আপনার বিরুদ্ধে চলে যাবে। তখন আপনার আর জয়লাভ দূরে থাক, বাঁচার উপায়ই থাকবে না। সবার আগে চীনই আপনাকে মারবে এমন সিদ্ধান্ত নিলে, ভারতের কিছু করতে হবে না। কারণ পারমাণবিক বোমা নিক্ষিপ্ত হলে শুধু ভারত ও পাকিস্তানের ক্ষতি হবে না, এই অঞ্চলের সবারই দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হবে। তাই পাকিস্তান যত হুংকারই দিক, ঐ অস্ত্রটি আর তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে না। দেব দুলাল গুহ।
আপডেট: তুরস্কের সরকার বিবৃতি দিয়েছে তারা কোনো অস্ত্র সরবরাহ করেনি! (সূত্র কমেন্টে)
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৫৪