বাংলাদেশে সেনা ক্যুর আশংকায় কি ভারত?
সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আবহে বাংলাদেশীরা বরাবরের মতই দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। জুলাই থেকেই 'দিল্লী না ঢাকা' স্লোগানে প্রকম্পিত হয় রাজপথ। এই যুদ্ধে বাংলাদেশ নিবাসী পাকিস্তানের সমর্থকরা মানসিকভাবে পাকিস্তানকে সাপোর্ট দেয়। এই সাপোর্ট কি সামরিকভাবেও দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো কেউ কেউ? তিস্তাপাড়ে ভারতের সামরিক মহড়া কি তাদেরকে আরও উস্কানি দিচ্ছিলো বা উদ্বুদ্ধ করছিলো দিল্লী অভিমুখে মার্চের?
সেনাবাহিনীর বর্তমান প্রধান এমন কিছু করতে চাওয়ার কথা না। তবে কি ভেতর-বাইরের কেউ-কেউ তাঁকে সরিয়ে দিয়ে এমন কিছু করতে গোপন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলো?
সম্প্রতি একজন সৈনিকসহ ৩ জন আর্মি স্টাফকে বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া শাস্তিপ্রাপ্ত আর্মি অফিসাররাও শাস্তি মওকুফ ও চাকরিতে পুনর্বহালের আবেদন জানিয়েছেন, যাদের অনেকেই এই সেনাপ্রধানকে মন থেকে হয়তো মেনে নেন না।
এসব কারণে এটা ধারণা করাই যায় যে, সিভিলিয়ানদের সাথে মিলে তারা একটি বড় সমাবেশ বা মব ভায়োলেন্স করতে পারে সেনানিবাস অভিমুখে। তাই হঠাৎ সেনানিবাস ও আশপাশের এলাকায় সব ধরণের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হলো কি?
একই সাথে ভারত গতকাল এক সরকারি সিদ্ধান্তে তাদের সকল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের সকল পণ্য আমদানি বন্ধ করলো। ভিসা এমনিতেই দীর্ঘদিন ধরে অনেক কম দিচ্ছে, এরপর ট্রান্সশিপমেন্টও বন্ধ হলো আফ গতকাল বন্ধ হলো স্থলপথে রপ্তানি।
তাহলে কি বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর ভেতরের ও বাইরের এই ঘটনাপ্রবাহ আমলে নিয়ে সেনা ক্যু ঘটিয়ে ট্যাংক-কামান নিয়ে সামরিক-বেসামরিক লোকদের দিল্লী বা তিস্তা অভিমুখে লং মার্চের আশংকা করছে ভারত?
এমনটা নাহলেই ভালো। প্রতিবেশী দেশগুলোর মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান থাকলেই সকলের জন্য মঙ্গল। আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। হাতে হাত মিলিয়ে এগিয়ে যেতে চাই উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে। সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়। এটা আমাদের পররাষ্ট্রনীতি। ভারতেরটাও প্রায় একই-- 'সব কা সাথ, সব কা বিকাশ'।
দেব দুলাল গুহ -- দেবু ফরিদী