ছোটবেলা থেকেই অভিভাবক আর শিক্ষকদের দিক থেকে একটা অভিযোগ খুব সাধারণ..."ছেলে ক্লাসে অমনোযোগী,কথা শুনেনা,কি পড়ানো হয় সে দিকে কোন নজর নেই...ইত্যাদি ইত্যাদি"।আমার খুব ইচ্ছে ছিল এটার কারণ খুজে বের করা। এটা কি আসলেই আমাদের দোষ নাকি অন্য কোন ব্যাপার আছে।"
নিউরোসাইন্স এর দৃষ্টিকোণ থেকে যদি আমরা দেখি তাহলে দেখা যায় আমাদের মস্তিষ্ক প্রতি ৯-১০ মিনিট পর পর ভিন্ন দিকে মোড় নিতে চায়। যদি কেও সেটা করতে ব্যর্থ হন তাহলে আমাদের মস্তিষ্ক খুব দ্রুত তার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। যেটা কোনভাবেই আমাদের মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।
উপরিউক্ত কারনেই কিন্তু ইউটিউব প্রথমদিকে ৯-১০ মিনিটের বেশি স্থায়িত্বকালের কোন ভিডিও আপলোড করতে নিষেধ করত। আধুনিক মনস্তত্তবিদরা এটাকে খুব গুরুতের সাথে দেখেন। এই যে স্কুল কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়ে টানা বহুক্ষণ একি রকম গদবাধা জিনিস দেখানো হয় তাতে অমনোযোগী হওয়াটাই স্বাভাবিক।
যে জিনিস আমাদের দোষ না এবং আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে সেই জিনিসে যদি আমাদের টানা দোষ দেওয়া হয় তাহলে সবাই নিজের উপর আত্তবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। এই দোষ দেওয়াটা অনেকটা আগেকার যুগের ছেলে সন্তান না জন্মানোর জন্য স্ত্রী কে দোষ দেওয়ার মত।
তাই শুধুমাত্র উর্বরতা থাকলেই অভিভাবক হওয়া আর ভাল ফলাফল করতে পারলেই শিক্ষক হয়ে যাওয়াটা খুবই দুঃখজনক।দুই ক্ষেত্রেই উচিত মনস্তাত্ত্বিক শিক্ষা নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপে এগুনো।