বিষয়টা অনেকটা ব্যক্তিগত ক্ষোভও হতে পারে। কিন্তু কিছু করার নাই। সবাই সবার ব্যক্তিগত ক্ষোভটা এভাবে ঝাড়লেই হয়তো দেশটা পরিবর্তন হবে। এমন ছোট ছোট ব্যক্তিগত অন্যাগুলোই বড় হয়ে ভয়ংকর অন্যায়ে রুপ নেয়।
একটা অনলাইন নিউজ পোর্টালে কাজ করতাম যার সম্পাদক আবার একুশে টিভির রিপোর্টার। লোকটা প্রচন্ড অহংকারী। উদাহরণ দিলেই বোঝা যাবে। আমার লেখালেখি নিয়ে তার মন্তব্য ছিল, দেখ পাবলিক ভার্সিটির যে সকল ছেলে বারান্দায় ঘোড়ে তার নখের সমান যোগ্যতাও তোমাদের প্রাইভেটের স্টুডেন্টদের নাই। কাজেই পাকনামি বন্ধ কর। যাই হোক ভেবেছিলাম চাকুরি টিকবে না কিন্তু একটা সময় এই বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেটির উপরই তার ভরসা করতে হয়েছিলো।
যাই হোক। একটা সময় সে আমার চাকুরিটা খেয়ে দেন। কারণ তার খামক্ষেয়ালিতে সঙ্গ না দেয়ার জন্য। তারপর অনেক দিন কেটে গেছে। আমি নতুন একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেলে কাজ শুরু করেছি।হুট করে সেদিন ফোন দিয়ে বলছে তার কোন বিজ্ঞাপণ ওয়ালার কাছ থেকে সাবেক এক মার্কেটিং এর কর্মী টাকা নিয়ে আসছে। আর সেখান থেকে নাকি আমার নাম আর চেহারার বর্ণনা দেয়া হয়েছে। মানে আমিও টাকা আনার সময় ছিলাম । বলে রাখা দরকার এই মার্কেটিং কর্মী আমার রেফারেন্সে চাকুরি পেয়েছিল ওখানে। আমি তাকে সোজা বলে দিয়েছি যে, আমি ছিলাম না আর আমি এর কিছু জানি না। কিন্তু আজ রাত থেকে সে শুরু করেছে , নিউজ করে দিবো ছবিসহ, এই করবো সেই করবো। আমি যথেষ্ট ঠান্ডা মাথার ছেলে। কিন্তু একটা পর্যায় শুরু করলো সে আমার নতুন অফিসে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করবে। তখন তাকে ঠান্ডা মাথায় ম্যাসেজ করে বললাম, দেখেন আমার পেছনে লাইগা লাভ নাই। আমি আপনার বিরুদ্ধে একটা মানহানীর মামলা দিয়ে জিতে যাবো। আর তাছাড়া ইটিভির ফোন দিয়ে কবে কবে কোন মেয়েকে জ্বালাইছেন, কারে কারে ফেসবুকে হুমকি দিছেন সবই কিন্তু জানি। আমি যেহেতু বলছি আমি জানি না তবুও পেছনে কেন লাগছেন। এরপর সে ঠান্ডা। কথায় বলে না যেমন কুকুর তেমন মুগুর। ভাল কথা আমাদের কোনদিনই ভাল লাগেনি।
আর একটা ঘটনা শেয়ার করি। দেশের অনেক বড় একটা ইংরেজী দৈনিকে একবার বিনোদন সাংবাদিক হিসেবে ইন্টারভিউ দিতে গেছিলাম। তো সব কথা শেষে বিনোদনের চীফ আমাকে বলল, তারকরা তো নতুন সাংবাদিকদের সময় দিতে চায় না, কিভাবে কি করবা? আমি প্রথমে চুপ করে থাকলাম। তারপর বললাম, দাদা আপনারা যখন মারা যাবেন তখন তারা কাদেরকে সময় দিবেন। তিনি আমার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলেন কিন্তু কিছু বলেননি। পরে জেনেছিলাম আমার চাকরি না হওয়ার একমাত্র কারণ ছিল এটা।
এমন গল্প বহু বলতে পারবো। পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু লাভ কি!! এরা এদের জায়গায় বসে থাকবে।এদের আমরা বড় সাংবাদিক বলে সামনে গিয়ে হাত চুলকাই। এরাই হয় দেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক।আর এদের এমন নষ্টামির কারণে শেষ হয়ে যাবে সবকিছু। কারণ তাদের এই নষ্টামির ফলটা শুধু সাংবাদিকতায়ই না পুরো দেশের উপর পরে। আমার এমন লেখার উদ্দেশ্য একটাই এই নষ্ট সিস্টেমগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের এক হতে হবে। এগুলো ভেঙ্গে সুন্দর একটা সিস্টেম গড়তে হবে। হাতের লেখা খারাপ আর তাছাড়া আমার বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ উঠেছে। অনেকটা এমন "সহজ কথা কইতে আমায় কহ যে, সহজ কথা যায়না বলা সহজে"। ভাল থাকবেন আর নষ্ট সিস্টেম ভাংতে থাকবেন আশা করি
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:৪৬