somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দেশের নড়বড়ে সিস্টেম(পর্ব-১): সাংবাদিকতার ১২টা বাজাচ্ছেন যারা!!

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বিষয়টা অনেকটা ব্যক্তিগত ক্ষোভও হতে পারে। কিন্তু কিছু করার নাই। সবাই সবার ব্যক্তিগত ক্ষোভটা এভাবে ঝাড়লেই হয়তো দেশটা পরিবর্তন হবে। এমন ছোট ছোট ব্যক্তিগত অন্যাগুলোই বড় হয়ে ভয়ংকর অন্যায়ে রুপ নেয়।

একটা অনলাইন নিউজ পোর্টালে কাজ করতাম যার সম্পাদক আবার একুশে টিভির রিপোর্টার। লোকটা প্রচন্ড অহংকারী। উদাহরণ দিলেই বোঝা যাবে। আমার লেখালেখি নিয়ে তার মন্তব্য ছিল, দেখ পাবলিক ভার্সিটির যে সকল ছেলে বারান্দায় ঘোড়ে তার নখের সমান যোগ্যতাও তোমাদের প্রাইভেটের স্টুডেন্টদের নাই। কাজেই পাকনামি বন্ধ কর। যাই হোক ভেবেছিলাম চাকুরি টিকবে না কিন্তু একটা সময় এই বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেটির উপরই তার ভরসা করতে হয়েছিলো।

যাই হোক। একটা সময় সে আমার চাকুরিটা খেয়ে দেন। কারণ তার খামক্ষেয়ালিতে সঙ্গ না দেয়ার জন্য। তারপর অনেক দিন কেটে গেছে। আমি নতুন একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেলে কাজ শুরু করেছি।হুট করে সেদিন ফোন দিয়ে বলছে তার কোন বিজ্ঞাপণ ওয়ালার কাছ থেকে সাবেক এক মার্কেটিং এর কর্মী টাকা নিয়ে আসছে। আর সেখান থেকে নাকি আমার নাম আর চেহারার বর্ণনা দেয়া হয়েছে। মানে আমিও টাকা আনার সময় ছিলাম । বলে রাখা দরকার এই মার্কেটিং কর্মী আমার রেফারেন্সে চাকুরি পেয়েছিল ওখানে। আমি তাকে সোজা বলে দিয়েছি যে, আমি ছিলাম না আর আমি এর কিছু জানি না। কিন্তু আজ রাত থেকে সে শুরু করেছে , নিউজ করে দিবো ছবিসহ, এই করবো সেই করবো। আমি যথেষ্ট ঠান্ডা মাথার ছেলে। কিন্তু একটা পর্যায় শুরু করলো সে আমার নতুন অফিসে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করবে। তখন তাকে ঠান্ডা মাথায় ম্যাসেজ করে বললাম, দেখেন আমার পেছনে লাইগা লাভ নাই। আমি আপনার বিরুদ্ধে একটা মানহানীর মামলা দিয়ে জিতে যাবো। আর তাছাড়া ইটিভির ফোন দিয়ে কবে কবে কোন মেয়েকে জ্বালাইছেন, কারে কারে ফেসবুকে হুমকি দিছেন সবই কিন্তু জানি। আমি যেহেতু বলছি আমি জানি না তবুও পেছনে কেন লাগছেন। এরপর সে ঠান্ডা। কথায় বলে না যেমন কুকুর তেমন মুগুর। ভাল কথা আমাদের কোনদিনই ভাল লাগেনি।

আর একটা ঘটনা শেয়ার করি। দেশের অনেক বড় একটা ইংরেজী দৈনিকে একবার বিনোদন সাংবাদিক হিসেবে ইন্টারভিউ দিতে গেছিলাম। তো সব কথা শেষে বিনোদনের চীফ আমাকে বলল, তারকরা তো নতুন সাংবাদিকদের সময় দিতে চায় না, কিভাবে কি করবা? আমি প্রথমে চুপ করে থাকলাম। তারপর বললাম, দাদা আপনারা যখন মারা যাবেন তখন তারা কাদেরকে সময় দিবেন। তিনি আমার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলেন কিন্তু কিছু বলেননি। পরে জেনেছিলাম আমার চাকরি না হওয়ার একমাত্র কারণ ছিল এটা।

এমন গল্প বহু বলতে পারবো। পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু লাভ কি!! এরা এদের জায়গায় বসে থাকবে।এদের আমরা বড় সাংবাদিক বলে সামনে গিয়ে হাত চুলকাই। এরাই হয় দেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক।আর এদের এমন নষ্টামির কারণে শেষ হয়ে যাবে সবকিছু। কারণ তাদের এই নষ্টামির ফলটা শুধু সাংবাদিকতায়ই না পুরো দেশের উপর পরে। আমার এমন লেখার উদ্দেশ্য একটাই এই নষ্ট সিস্টেমগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের এক হতে হবে। এগুলো ভেঙ্গে সুন্দর একটা সিস্টেম গড়তে হবে। হাতের লেখা খারাপ আর তাছাড়া আমার বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ উঠেছে। অনেকটা এমন "সহজ কথা কইতে আমায় কহ যে, সহজ কথা যায়না বলা সহজে"। ভাল থাকবেন আর নষ্ট সিস্টেম ভাংতে থাকবেন আশা করি
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:৪৬
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭



আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

=মৃত্যু কাছে, অথবা দূরেও নয়=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



©কাজী ফাতেমা ছবি
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দিয়ে বলি, আমারও সময় হবে যাবার
কি করে চলে যায় মানুষ হুটহাট, না বলে কয়ে,
মৃত্যু কী খুব কাছে নয়, অথবা খুব দূরে!
দূরে তবু ধরে নেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা

লিখেছেন করুণাধারা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯



এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।

স্বৈরশাসকের বন্দী

এই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×