somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"ফাল্গুনে একজোড়া প্রেমিক-প্রেমিকা"- ছোট গল্প

১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


(আজ: ২১। ০২। ২০০৭)

প্রচন্ড গরম। তার উপর আবার কড়া রোদ। মানুষজন যেখানে ছাতা ছাড়া ঘর থেকেই বের হতে চায় না সেখানে স্বপ্নিল এই কড়া রোদে বেশ স্বভাবিক ভাবেই অপেক্ষা করছে সকাল ১০.৩০ এর ফাল্গুন বাসের জন্য। আসলে অপেক্ষা বাসের জন্য নয়। অপেক্ষা বাসে বসে থাকার এক যাত্রীর জন্য। একটা মেয়ে। নাম নন্দিনী।

[নন্দিনী কে, কেনো তার জন্য স্বপ্নিল অপেক্ষা করছে কড়া রোদে দাঁড়িয়ে, এই সব কিছুর বিস্তারিত জানতে চলুন আপনাদের একটু পিছোনে নিয়ে যাই।]

(১৫। ০৪। ২০০৬)

"ধুর। সেলিম যে আজ কেন দেরি করলো?"
মনে মনে ভাবছে স্বপ্নিল। রাগ তার বেড়েই চলেছে, সেলিম এর উপর। সেলিম হলো স্বপ্নিলের অফিসের ড্রাইভার। স্বপ্নিলকে বাসা থেকে অফিসে নিয়ে আসার দায়িত্ব তারই। স্বপ্নিলের অফিস বারিধার। আর তার বাসা হলো আজিমপুর। সেলিমের প্রতিদিনের মত আসার কথা ছিলো ১০.০০টায়। কিন্তু ১০.১০ পার হয়ে যাবার পরও সেলিমের কোনো খবর না পেয়ে বাসে করে অফিস যাবার সিদ্ধান্ত নেয় স্বপ্নিল। যেই ভাবা সেই কাজ। বাসা থেকে বের হয়ে সোজা চলে আসে ফাল্গুন বাসের টিকিট কাউন্টারে। এই ফাল্গুনই একমাত্র বাস যেটা আজিমপুর থেকে সোজা বারিধারা যায়। এখনো বাস আসছে না। ঘড়ি দেখলো স্বপ্নিল। ১০.৩৫।

বাসে উঠলো স্বপ্নিল। মোটামুটি খালিই বলা যায় বাস। হাতে গোনা কয়েকজন, বাসে নির্বিকার ভঙ্গিতে বসে আছে। দেখেই বোঝা যায় বেশির ভাগই কর্পোরেট জগতের মানুষ। উপরের বোতাম লাগিয়ে টাই পরে মানুষজন তো নিশ্চই ঘুড়তে যাবে না কোথাও (!) একটা খালি সীট দেখে বসলো সে। বসার সাথেই পাশে এসে বসলো এক লোক।

-ভাই! কয়টা বাজে?
-১০.৩৯।
-ও, আচ্ছা। আপনি কোথায় যাবেন?
-বারিধারা।
-ও! আমি কুড়িল যাবো।

লোকটি এমন ভাবে কথা বলা শুরু করলো যেন স্বপ্নিল তার আত্মীয় হয়। আর কথার বলার বিষয় বস্তুগুলোও উদ্ভট।

-কালকের আইপিএল মেচের খবর কি ভাই?? কে জিতলো?
-জানি না। আসলে আমি আইপিএল দেখি না।
-ওমা! কেন?
-সময় হয় না দেখার।

লোকটি এমন ভাবে জিজ্ঞেস করলো যেনো স্বপ্নিল তাকে আইপিএলের খবর জানানোর জন্যই বাসে উঠেছে।
বিরক্তিকর লোকটিকে সহ্য করতে না পেরে স্বপ্নিল সামনের সীটে বসার জন্য সীট ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো।

পাশে একটা মেয়ে বসা স্বপ্নিলের। দেখতে খারাপ না। মা থাকলে হয়তো এতক্ষনে ইশারা দিয়ে দিতো। মা কয়েক মাস ধরে একদম জিদ ধরে বসে আছে। এইবার তাকে বিয়ে করতেই হবে। অনার্স শেষ হতেই যখন তার বিয়ের জন্য ঢাক-ঢোল বাজানো শুরু হয়েছিলো তখন "আমি তো এখনো বেকার" বলে কোনো মত কাটিয়ে গেছে। এখন আর সে বেকার নয়। এখন কাটিয়ে যাবার সুযোগও তার কম।

-Excuse Me! বাসটা শেষে কথায় গিয়ে থামবে?
-জ্বি, আমাকে বলছেন?
-আজব তো! পাশে তো আপনি-ই বসে আছেন। তো নিশ্চই পিছোনের কাউকে জিজ্ঞেস করিনি।

এমন যুক্তিতে কি বলা উচিৎ স্বপ্নিল বুঝতে পারছে না। নিজেকে সামলে নিয়ে বললো-
-Sorry. আসলে আমি ঠিক জানি না।
-এই টুকুন বলতে এতক্ষন কেনো লাগলো ঠিক বুঝলাম না। এর আগে কি কখনো অপরিচিত কোনো মেয়ের সাথে কথা বলেননি?
-আসলে সত্যি কথা বলতে, বলেছি। কিন্তু তারা আপনার মত এত সুন্দর করে কথা বলেনি।

এটা কি বললো সে?! নিজের কথায় নিজেই বেশ হকচকিয়ে গেলো স্বপ্নিল। তার উপর মেয়েটা আবার কি না কি ভেবে বসেছে সেই চিন্তাও স্বপ্নিলকে ঘিরে ফেললো মুহুর্তেই।

চুপ করে আছে মেয়েটা। কিছু একটা বলা দরকার শেষের অমন উদ্ভট বাক্যটার পর তাই কথা বাড়ায় স্বপ্নিল-
-আপনি কি কিছু মনে করেছেন? I'm Sorry!
-It's Okay. আমি কিছু মনে করিনি। আপনার মত একজন কর্পোরেট লোকের কাছে হটাৎ এমন কিছু শুনবো আশা করিনি।
-Sorry.
-Sorry বলটা কি আপনার মুদ্রাদোষ?
-না। কেনো এমন মনে হলো আপনার?
-আপনি তখন থেকে তিনবার Sorry বললেন। তাই আমি ভাবলাম...

বাক্যটা শেষ না করেইএকটু হাসলো মেয়েটা। মেয়েটার যে হাসিটাও অনেক সুন্দর তার কথা বলার ধরনের মত তা চোখ এড়ায়নি স্বপ্নিলের। সে মুগ্ধ হচ্ছে, মেয়েটার সব রকম সৌন্দর্যে। এমন আগে কখনো হয়নি। স্বপ্নিলকে মুগ্ধ করা এত সহজ কাজ নয়। তবুও সে আজ মুগ্ধ হচ্ছে। আবার কথা শুরু করলো সে-
-আপনি কোথায় যাবেন?
-ঠিক নেই।
-মানুষ যে এত স্বাভাবিক ভাবে গন্তব্যহীন যাত্রা করে জানতাম না।
-বাহ! আপনি তো বেশ সুন্দর করে কথা বলেন!
-ধন্যবাদ। এখন বুঝিয়ে বলবেন কি আপনার এই গন্তব্যহীন যাত্রার রহস্য? যদি আপনার সমস্যা না থাকে। সত্যি কথা বলতে আমি আবার রহস্য খুব একটা পছন্দ করি না।
-অপরিচিতদের নিজের পছন্দ অপছন্দ জানানো যে ঠিক নয় তা হয়তো আপনার অজানা। আসলে আজ ক্লাস বাংক মেরে ঘুড়তে বের হলাম।
-আমি তো ভেবেছিলাম আমরা আর অপরিচিত নই। তবুও যদি তাই হয় তবে পরিচিত হয়ে নেই। আমি স্বপ্নিল।
-আপনার সাথে পরিচিত হওয়াটা খুব একটা জরুরি মনে হচ্ছে না আমার।

এমন মুখের উপরে অপমান কেউ আগে করেনি স্বপ্নিলকে। অনেক হয়েছে। এভাবে নিজের ব্যক্তিত্ব বিসর্জন দেয়ার কোনো মানে হয় না।

-আপনি কি কিছু মনে করলেন?
-না।
-তাহলে এভাবে হটাৎ চুপ হয়ে গেলেন যে?
-এমনি।
-এই টুকুন কথা বলেতেই আপনার মুদ্রাদোষটা আমাকে দিয়ে দিলেন! কাজটা ঠিক হয়নি। Sorry!
-দেখুন অনেক হয়েছে। কথা আপনি শুরু করেছিলেন। আমি না।

কথাটা একটু বেশিই জোরে বলেছ ফেলেছে স্বপ্নিল। এতটাই জোরে যে আশেপাশের মানুষজন তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। বিব্রতবোধ করছে সে। এত জোরে না বললেও হত।


-আমি আপনাকে রাগাতে চাইনি। নিতান্তই ঠাট্টার ছলে বলেছিলাম কথাটা। Sorry.
-আসলে আমারও এইভাবে হটাৎ চেঁচিয়ে ওঠাটা ঠিক হয়নি।
-তা অবশ্য ঠিকই। Forget It! আমি নন্দিনী। অনার্সে পড়ছি ঢাবিতে। 3rd Year.
-আমার নাম একবার বলেছি। তবু... আমি স্বপ্নিল। একটা Ad Firm এর জুনিয়ার ক্রিয়েটিভ অফিসার হিসেবে আছি।
-আপনার অফিস কোথায়?
-বারিধারা। আপনি কোথায় যাবেন ঠিক করেছেন নাকি বাসেই বসে থাকবেন?
-আসলে, একা একা ক্লাস বাংক দিয়ে ঘুড়তে খুব একটা ভালো লাগে না। তবুও এটা আমি প্রায় প্রায় করি।
-মানুষকে যে সব সময় ভালো লাগার কাজ গুলোই করতে হবে এমন কোনো বাঁধাধরা নিয়ম আছে বলে আমার জানা নেই।
-আমিও তাই মনে করি। ঠিকই তো! সব সময় যদি ভালো লাগার কাজগুলোই করি তাহলে বুঝবো কি করে যে কোনটা ভালো লাগছে কোনটা খারাপ।
-হুম। আচ্ছা আপনার বাসা কোথায়?
-ধান্মন্ডি। আপনার?
-আজিমপুর।
-আপনার বারিধারা চলে এসেছে। নামবেন না?
-ও হ্যাঁ। ধন্যবাদ। আসি তাহলে। আবার হয়তো দেখা হবে!
-হয়তো। ভালো থাকবেন।

(২৩। ০৫। ২০০৬)

আজ সেলিম আসেনি। সে অসুস্থ। জন্ডিস হয়েছে নাকি। তাই বাধ্য হয়েই ফাল্গুনে চড়তে হলো স্বপ্নিলকে।

সামনের সীটেই বসে আছে নন্দিনী। বাসে উঠেই তাকে দেখতে পেয়েছে স্বপ্নিল। তার পাশের খালি সীটে বসলো স্বপ্নিল।

-কেমন আছেন?
-Excuse Me! আমাকে বলছেন?

এমন প্রশ্নে একটু মনঃক্ষুণ্ণ হয় স্বপ্নিলের। মেয়েটা কি সত্যি তাকে চিনতে পারলো না?

-আজব! পাশে তো আপনি-ই বসে আছেন। তাহলে পিছোনের মানুষকে বলবো না নিশ্চই!
-আমরা কি পরিচিত?
-আমার তো মনে হয় আমরা পরিচিত। কিন্তু আপনি আমাকে কেনো চিনতে পারছেন না ঠিক বুঝলাম না?
-আমার মনে হয় না আমরা পরিচিত!
-আপনি নন্দিনী না?
-কেনো আপনি কি Confused?
-এতক্ষন ছিলাম না। এখন একটু হচ্ছি!
-আপনি তো দেখি বেশ সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন! মন বিশেষজ্ঞ দেখান।
-বিষয়টা মাথায় রাখলাম। কেমন আছেন আপনি?
-ভালো। আপনি?
-ভালো। চিনতে পেরেছেন?
-আপনার কি সত্যি মনে হয় আমি আপনাকে চিনতে পারিনি?
-আমি জানি আপনি আমাকে ঠিকই চিনেছেন। একটু অভিনয় করেছিলেন মাত্র।
-মানে? তাহলে বললেন না কেনো?
-আপনার অভিনয় দক্ষতা যাচাই করছিলাম। ভালোই পারেন।
-আপনি একজন অদ্ভুত মানুষ।
-আমি জানি। তো? আজও কি গন্তব্যহীন যাত্রা?
-হাহাহাহা। না। আমি খালার বাসা যাচ্ছি। মেরুল বাড্ডা।
-তাহলে তো আপনাকে নামতে হবে।
-জানিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। যদিও আমি তা জানতাম।
-আপনি বেশ চালাক।
-তাই নাকি? আসি। নামতে হবে।
-আপনার ফোন নাম্বারটা কি পেতে পারি?
-খুব দরকার?
-আসলে পরিচিতদের ফোন নাম্বার সংগ্রহ করার একটা বদ অভ্যাস আমার আছে। অথবা "শখ"ও বলতে পারেন। আর আমার মনে হয়, আমারা এখন পরিচিত, তাই নয় কি?
-হাহাহাহা। হুম। আমরা পরিচিত।
-তো বলুন!
-লিখুন ০১৮৩৩০৩৭৮৭৯!
-ধন্যবাদ।
-আসি তাহলে। ভালো থাকবেন।

সেই রাত থেকে শুরু হয় স্বপ্নিল নন্দিনীর ফোনালাপ। মাঝে মাঝে দেখা করা। আপনি থেকে তুমিতে আসা। একে অন্যের যত্ন নেয়া। একে অন্যের উপর অধিকার খাঁটানো। একটু একটু অভিমান। একটু একটু দুষ্টামি। ধিরে ধিরে ভালোলাগা। ধিরে ধিরে ভালোবাসা। কিন্তু কেউ কখনো বলেনি ভালোবাসি। গত ৮মাস ধরে তাদের সম্পর্কটার নাম "বন্ধুত্ব"। কিন্তু তা আর চায় না স্বপ্নিল। সে নতুন করে নামকরণ করে অমর করতে চায় তাদের এই সম্পর্ক। নিজের করে পেতে চায় সে নন্দিনীকে। কোনো ভুল বুঝা-বুঝি না হলে স্বপ্নিল জানে যে তাকে ফিরিয়ে দেবে না নন্দিনী।

[কে নন্দিনী, কেনো তার জন্য স্বপ্নিলের অপেক্ষা কড়া রোদে দাঁড়িয়ে, বুঝতে পেরেছেন হয়তো! আবার তাহলে গল্পের শুরু দিকে ফিরে যাই।]

(আজ: ২১। ০২। ২০০৭)

একটু তাড়াহুড়ো করে বাসে চড়তে গিয়ে দরজায় হচোট খায় স্বপ্নিল। নন্দিনী সামনের সীটেই বসাছিলো। পরে যেতে দেখেই ধরে স্বপ্নিলকে। আগলে ধরে পাশের সীটে বসায় তাকে।

পাশাপাশি বসা দু'জনে। কারো মুখে কোনো কথা নেই। বাস চলেছে। "ফাল্গুন" বাস। কাকরাইল মোড় পার হলো মাত্র। নন্দিনী শুরু করলো কথা-
-কি যেনো বলবেন বলেছিলেন?

হটাৎ তুমি থেকে আজ আপনি হওয়ায় স্বপ্নিলের কাছে কেমন যেন অপরিচিত মনে হচ্ছে নন্দিনীকে।

-হটাৎ তুমি থেকে আপনি?
-একটু নস্টালজিক হওয়ার প্রয়াশ মাত্র!
-মানে?
-আমাদের পরিচয় এই ফাল্গুনে। সেই ১৫ই এপ্রিল ২০০৬ এ প্রথম দেখা, প্রথম কথা। সেইদিন যেভাবে কথা বলেছিলাম, আজ সেভাবে বলতে ইচ্ছা করছে! :)
-ঠিক আছে। তবে তাই হোক! তবে এখন থেকে গন্তব্যহীন যাত্রায় আর একা আপনাকে যেতে দিচ্ছি না।
-ঠিক বুঝলাম না।
- আসলেই বুঝলেন না নাকি বুঝতে চাচ্ছেন না?
-অপরিচিতদের কাছে কিছু বুঝতে চাওয়ার কোনো মানে হয় না।
-তবে ভদ্রতার খাতিরে বুঝে নিলেও তো ক্ষতি নেই। আছে কি?
-তা নেই। তবে আমি ভদ্র কিনা তা একজন অপরিচিত ব্যক্তিকে প্রমান দিয়ে বুঝিয়ে দিতে এখন আমি মোটেও আগ্রহী নই। So Please!
-ঠিক আছে। আপনার যেমন ইচ্ছা। তবে...
-তবে?
-কোনো অপরিচিত ব্যক্তি যদি খুব কাছের একজন পরিচিত প্রিয় মানুষ হতে চায় তাতেও কি আপনি অনাগ্রহী থাকবেন??
-যদি মাত্র সেই অপরিচিত মানুষটি আমার কিছু শর্তবলি মানতে পারে তবেই আমি আগ্রহী হবো।
-তাহলে শুনি সেই শর্তাবলি।
-১ নম্বর হলো, আমার কথা শুনতে হবে সব সময়।
-সম্ভব নয়। তারপর?
-২নম্বর হলো, আমাকে ছেড়ে যাওয়া যাবে না কখনো।
-পরেরটা?
-৩নম্বর হলো, আমার যত্ন নিতে হবে।
-এই একটাও এই অপরিচিত ব্যক্তি করতে পারবে না। আমি চললাম। আসি।
-এই!! মানে কি?
-কিছু না। আমার প্রথম এবং শেষ কথা একটাই। আমি আপনাকে বিয়ে করতে চাই।
-আমি আপনাকে বিয়ে করতে চাই না এখন।
-কেনো?
-কারন প্রথমে আপনার সাথে আমি চুটিয়ে প্রেম করতে চাই। প্রেম করে মন ভরলে বিয়ের কথা চিন্তা করবো।

নন্দিনীর কথা শুনে একটু অপ্রস্তুত হয়ে যায় স্বপ্নিল। কিছুটা সময় নেয় নিজেকে সামলে নিতে। তারপর প্রশ্ন কতে-
-কেনো?
-আমি আপনাকে আমার নিজের মত করে ভালোবাসতে চাই। যেখানে থাকবে না কোনো দায়িত্বভার। থাকবে না কোনো বাঁধাধরা নিয়ম। যেখানে থাকবে না "ব্যক্তিগত" বলতে কোনো শব্দ। যেখানে থাকবে না মায়া। থাকবে না আবেগ। থাকবো শুধু আমি আর আপনি! আপনি হবেন বৃত্তের কেন্দ্র এবং আমি তার পরিধি।
-আমি তোমায় ভালোবাসি নন্দিনী।
-আমিও তোমায় ভালোবাসি এটা বলার কোনো প্রয়োজনবোধ করছি না। :p
-এইটা ঠিক না। আমি কিন্তু জানালা দিয়ে চলন্ত বাসের নিচে লাফ দিবো। >:(
-আমাকে ছেড়ে লাফ দিতে পারবে না তুমি, আমি জানি। আর তুমি কি মনে করো আমি তোমাকে লাফ দিতে দিবো?Stupid!
-কেনো দিবে না? গণতান্ত্রিক দেশ এটা। আমার যা ইচ্ছা আমি করতে পারবো। জীবনও দিয়ে দিতে পারবো চলন্ত বাসের নিচে।
-জীবনটা কি তোমার একার?
-নয়তো কি?
-আমারটাও জড়িয়ে আছে ওইটার সাথে। ভালোবাসি তোমায় "কর্পোরেট বুদ্ধু"। তাও আবার অনেক বেশি।

কি বলা উচিৎ তা জানে না স্বপ্নিল।


"ফাল্গুন" যখন শেষ স্টপেজে থামলো তখন "ফাল্গুন" থেকে নামলো একজোড়া প্রেমিক-প্রেমিকা। তাদের একজনের হাত আরেকজনের হাতের শক্ত মুষ্টিতে আবদ্ধ। তারাই একে অন্যের পরিপূরক। একজন বৃত্তের কেন্দ্র অন্যজন বৃত্তের পরিধি।



[(সমাপ্ত)]

উৎসর্গ: নীলাচল নন্দিনী। আমার ফেসবুকের একজন বন্ধু।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×