কতিপয় কিছু মানুষের জন্যে সবাই ই খারাপ হয়ে যায়। এটা আমরা সবাই ই জানি,
যেমন ধরুন এই আমরা ছেলেদের কথা, কিছু ছেলেদের জন্যে আমরা প্রতিটি ছেলেকেই অনেকে ভয় পায়, সেফ মনে করে না, এর কারন আমরা নিজেরাই।
যেমন আমরা ছেলেদের কিছু অভ্যাস হল একটা মেয়ের ফোন নাম্বার পেলাম কোন বন্ধুর মোবাইল থেকে কিংবা কোন লোড এর দোকান থেকে এরপর শুরু হয় মেয়েদের ফোন দিয়ে বন্ধু হওয়ার এক বিশাল যুদ্ধ, আর মেয়েটা যদি একটু মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে তাহলে তো আর কথায় নেই, খুশিতে সে নাচতেছে, আর মেয়েটা যদি এই উটকো বিড়ম্বনায় বিরক্ত হয়ে উল্টা পাল্টা কিছু বলে তাইলে আর পায় কে, সাথে সাথে কয়েকটা নাম্বার দিয়ে তাকে ডিস্টার্ব শুরু হয়, কিংবা ফেসবুকে ছড়িয়ে দিচ্ছেন, অথবা বন্ধুদের বলছে দোস্ত একটা জটিল মাল কথা বইলা দেখ, এরপর তার থেকে তার কাছে, ওর কাছে এভাবে ছড়াচ্ছেই।
আর এর ফলাফল সরূপ হচ্ছে কি মেয়েটা একসময় বিরক্ত হয়ে নাম্বার পাল্টে ফেলতে বাধ্য হচ্ছে, কারন এ না হলে তার বার বার পরিবারের কাছে নানান কথা শুনতে হচ্ছে।
আর এর চেয়ে বেশি মর্মান্তিক ব্যাপার হচ্ছে, আপনার সাথে একটা মেয়ের সম্পর্ক ছিল, হ্যা ভালো কথা, কিন্তু কোন কারনে ব্রেক আপ হয়ে গেল। কিন্তু সম্পর্ক শেষ হওয়ার পর আপনি তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো শুরু করবেন, আপনি আপনার কাছের বন্ধু কে বলবেন, বা তাকে আপনাদের কোন গোপন মুহূর্তের ছবি বা ভিডিও দেখাচ্ছেন বা দিচ্ছেন সে আবার আরেকজন কে দিচ্ছে। এভাবে সবার কাছে ছড়িয়ে যাচ্ছে।
এভাবে হয়ত দেখা যাচ্ছে, মেয়েটির সম্পর্কে কথাগুলো কিংবা কোন গোপন জিনিস তার পরিবারের হাতে গিয়ে পড়ছে, কিংবা তার পরিবার শুনতে পায়।এর পর মেয়েটির অবস্থা কি হয় একবার ভেবে দেখছেন??? এটা বাংলাদেশ আর এখানে এই জিনিসগুলো পরিবারে অনেক কঠোর ভাবে নিষেধ থাকে তাই এই সব এর পর মেয়েটির পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, কিংবা অল্প বয়সেই বিয়ে হয়ে যাচ্ছে।
আমরা জানি মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব, কিন্তু এই জায়গায় এসে সেই আমরা ছেলে মানুষ রাই সৃষ্টির সবচেয়ে খারাপ প্রানির মত, পশুর মত কাজ টা করি আবার সেই মেয়ের বিরুদ্ধেই যেই মেয়ে কিনা আপনাকে বলেছিল ভালোবাসি। আপনার সাথেই সৃষ্টির সবচেয়ে পবিত্র যেই সম্পর্ক প্রেম তাতে জড়িয়েছিল। আর একটা সম্পর্কের সবচেয়ে বেশি যা লাগে তা হল বিশ্বাস সেই বিশ্বাস টাই সে আপনাকে করেছিল। আর কিছু ভুল বুঝাবুঝির পর সম্পর্ক শেষের পর সেই মেয়ের বিরুদ্ধেই আপনি কুৎসা রটাচ্ছেন।
ভাই সেই কয়েকজন মানুষ মানে আপনাদের কেই বলছি, নিজেদের একটু পাল্টান। দেখুন এভাবে আপনার উপর মানুষের বিশ্বাস টা কমছে কখনও বারছে না। নিজেকে সেফ করুন। এতেই সবচেয়ে বড় প্রশান্তি । কে যাতে আপনাকে বিপদজনক না ভাবে, ভয় না পায় আপনার সাথে হাঁটতে,সে যেন নিজেকে কখনও আপনার সাথে আনসিকিউরড না ভাবে, ঠিক সেইভাবেই বানান না নিজেকে, দেখবেন আপনার পকেটে ৫ টাকা নেই, কিন্তু অনেকের সেই বিশ্বাসের কারনেই, অনেকের ভরসার পাত্র হওয়ার কারনেই আপনার বেঁচে থাকাটা সুখের লাগবে।
আপনি নিজে পাল্টান, আপনারা সাথের বন্ধু টি কে পাল্টান, এভাবে আস্তে আস্তে সবাই ই পাল্টে যাবে।