somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভুল নং-১২: সহিহ হাদিসের অপব্যাক্ষা নাকি যথার্থ ব্যাক্ষা!

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এরপর লেখক এই হাদীসের সমার্থকআরেকটি হাদীস উল্লেখ করেছেন।হাদীস দুটি ইসফার বিল ফাজরেরপ্রবক্তাগণ তাঁদের মতের সপক্ষেদলীল হিসাবে পেশ করে থাকেন।লেখক হাদীস দুটিকে সহীহ বলেছেন।কিন্তু তাঁর দাবি হল, ইসফার বিলফাজরের প্রবক্তাগণ হাদীস দুটিরঅপব্যাখ্যা করে থাকেন। তাঁর এইদাবি প্রমাণ করার পূর্বে তিনিপ্রসঙ্গত বলেছেন,‘ ‘হেদায়া’ কিতাবেপ্রথম আলোচনায় সঠিক সময়উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু পরেপৃথক আলোচনায় বলা হয়েছে,ﻭﻳﺴﺘﺤﺐ ﺍﻹﺳﻔﺎﺭ ﺑﺎﻟﻔﺠﺮ ‘ফর্সা করেফজর ছালাত আদায় করা মুস্তাহাব’।অথচ উক্ত ব্যাখ্যা চরমবিভ্রান্তিকর এবং ছহীহ হাদীসেরপ্রকাশ্য বিরোধী।’ (দ্রষ্টব্যপুস্তকের ১২৫নং পৃষ্ঠা)হেদায়া প্রণেতা কী বলেছেন আরমুযাফফর সাহেব কী বুঝলেনমুহতারাম,লেখকের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেবলছি যে, হেদায়া কিতাবটি বুঝতেলেখকের একটুখানি স্খলন ঘটেগেছে। কারণ, হেদায়া প্রণেতা সালাতঅধ্যায়ে প্রথমে সালাতের মূলওয়াক্তের বিবরণ দান করেছেন।কোন্ সালাতের ওয়াক্ত কখন শুরুহয় আর কখন শেষ হয় তার বিবরণদান করেছেন। বলেছেন :ﺃﻭﻝ ﻭﻗﺖ ﺍﻟﻔﺠﺮ ﺇﺫﺍ ﻃﻠﻊ ﺍﻟﻔﺠﺮﺍﻟﺜﺎﻧﻰﻭﻫﻮ ﺍﻟﺒﻴﺎﺽ ﺍﻟﻤﻌﺘﺮﺽ ﻓﻰ ﺍﻷﻓﻖ ﻭﺁﺧﺮ ﻭﻗﺘﻬﺎ ﻣﺎﻟﻢ ﺗﻄﻠﻊ ﺍﻟﺸﻤﺲএইভাবে প্রতিটি সালাতের শুরু ওশেষ ওয়াক্ত বর্ণনা করার পর তিনিভিন্ন অনুচ্ছেদে প্রতিটি সালাতেরমুস্তাহাব ওয়াক্তের বিবরণ দানকরেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন,ﻭﻳﺴﺘﺤﺐ ﺍﻹﺳﻔﺎﺭ ﺑﺎﻟﻔﺠﺮ ‘এবংমুস্তাহাব হল ফজরকে ইসফার করা।’লেখকের মন্তব্য দ্বারা বোঝা যায়যে, হেদায়া প্রণেতা পরষ্পর বিরোধীদুইটি কথা বলেছেন। অথচকোনোটির সাথে কোনোটির বিরোধনেই। তাছাড়া লেখক বলেছেন. হেদায়াকিতাবে প্রথম আলোচনায় সঠিকসময় উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু......।প্রশ্ন হল, লেখক তো ফজরেরমুস্তাহাব ওয়াক্ত নিয়ে আলোচনাকরছেন। এ প্রসঙ্গে আলোচনাকরতে গিয়ে তিনি বলছেন, হেদায়াকিতাবে প্রথমে সঠিক সময় উল্লেখকরা হয়েছে। তাহলে কি লেখকেরমতে ফজরেরমুস্তাহাব ওয়াক্ত সুবহে সাদেকথেকে শুরু করে সূর্য উদিত হওয়াপর্যন্ত? সুবহানাল্লাহ! একমাত্রআল্লাহ তাআলাই সকল দোষ ত্রুটিহতে মুক্ত। লেখক তাঁর নিজের রচিতজালেই আটকে গেলেন।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×