somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভুল নং-২০: ইসফার বিল ফাজরের দলিল

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইসফার বিল ফাজরের পক্ষে দলীলঃ

এবার ইসফার বিল ফাজরের
প্রবক্তাগণ যেসব হাদীসকে দলীল
হিসাবে উপস্থাপন করে থাকেন
সেগুলোর এদিক সেদিক নিয়ে
আলোচনা করা যাক।


তাঁদের একটিদলীল রাফে‘ ইবন খাদীজ রা. কর্তৃকবর্ণিত তিরমিযী শরীফের একটিহাদীস। লেখক যেটিকে সহীহহাদীসের অপব্যাখ্যা শিরোনামেপ্রথমেই উল্লেখ করেছেন। হাদীসটিসহীহ। লেখক তা স্বীকারও করেছেন।তবে লেখকের দাবি হল, হাদীসটিরঅপব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং এইপ্রসঙ্গে তিনি যা বলেছেন তারএদিক সেদিক নিয়ে পূর্বে কিছুটাআলোচনা করেছি। অবশিষ্ট ছিলহাদীসটির যে ব্যাখ্যা ইসফার বিলফাজরের প্রবক্তাগণ করে থাকেনতা কি অপব্যাখ্যা -লেখক যেমনটাবলেছেন - না যথার্থ ব্যাখ্যা তা নিয়েআলোচনা এবং লেখক যেব্যাখ্যাটিকে সহীহ বলছেন তাকতটুকু সহীহ তা নিয়ে আলোচনা।ﺍﺳﻔﺮﻭﺍ ﺑﺎﻟﻔﺠﺮ এর ব্যাখ্যা : তাদেরও প্রতিপক্ষেরইমাম শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক(রাহিমাহুমুল্লাহ)কৃত যে ব্যাখ্যারউদ্ধৃতি ইমাম তিরমিযী দিয়েছেন তানানাবিধ কারণে প্রশ্নবিদ্ধ বলে মনেহয়।কারণ, প্রথমত : ব্যাখ্যাটি হাদীসেরস্পষ্ট শব্দানুগ নয়। শব্দ হতেপ্রথমেই যা বোঝা যায় তা হল,তোমরা ফজরের সালাতকে ফর্সায়উপণীত কর। ফর্সা করে সালাতআদায় কর। এ সম্পর্কে পূর্বে আমিবিশদ আলোচনা করে এসেছি।দ্বিতীয়ত : তাঁদের কৃত ব্যাখ্যাটিরসার কথা হলো, তোমরা ফজর তথাসুবহে সাদিককে স্পষ্ট কর যাতেকোনো সন্দেহ না থাকে। অর্থাৎসুবহে সাদিক উদিত হয়েছে কিনা সেব্যাপারে নিশ্চিত হও, তারপর সালাতআদায় কর। সুবহে সাদিক উদিতহয়েছে - এটা নিশ্চিত না হলে সালাতআদায় করো না। এই ব্যাখ্যা গ্রহণকরলে হাদীসে বর্ণিত - ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﺃَﻋْﻈَﻢُ ﻝِﻟْﺄَﺟْﺮِ - (কারণ, তা সওয়াবের জন্যসর্বোত্তম বা তা বৃহৎ সওয়াবআনয়ণকারী-) রাসূলের এই কথাটিরকোনো যথার্থতা থাকে না। কেননা,সুবহে সাদিক উদিত হওয়ারব্যাপারটি নিশ্চিত না হয়ে সালাতআদায় করলে তো কিছুমাত্র সওয়াবহবে না, অধিক সওয়াব তো দূরেরকথা। কারণ, তখন সালাত শুদ্ধই হবেনা। আমল শুদ্ধ হবার পর আমলেসুন্নাত ও মুস্তাহাব জাতীয় কিছুসংযুক্ত হবার কারণে যখন আমলেঅতিরিক্ত কিছু মাত্রা যোগ হয়তখনই তাতে অধিক সওয়াব লাভ হয়।আমল যদি শুদ্ধই না হয় তাহলে ঐআমলের জন্য নির্ধারিত মূলসওয়াবই তো লাভ হবে না, অধিকসওয়াব আসবে কোত্থেকে? অথচউক্ত ব্যাখ্যা অনুযায়ী বোঝা যায়যে, সুবহে সাদিক হওয়ার ব্যাপারটিনিশ্চিত হয়ে সালাত আদায় করলেঅধিক সওয়াব লাভ হবে আর নিশ্চিতনা হয়ে সালাত আদায় করলে অধিকসওয়াব না হলেও আসল সওয়াব লাভহবে। লক্ষ করলেন নিশ্চয়ইব্যাখ্যাটির ফল কী দাঁড়াল? বিষয়টিএকজন সাধারণ লোকেরও বোঝারকথা, আর আপনি তো অত্যন্তমেধাবী আলেম।তৃতীয়ত : সুনানে নাসাঈতে একটিহাদীস আছে এইরূপ - ﻣَﺎ ﺃَﺳْﻔَﺮْﺗُﻢْﺑِﺎﻟْﻔَﺠْﺮِ ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﺃَﻋْﻈَﻢُ ﺑِﺎﻟْﺄَﺟْﺮِ (তোমরাযতবেশী ফজরকে ইসফার করবেততবেশী তা অধিক সওয়াবের কারণহবে। হাদীস নং-৫৪৯) শায়খ আলবানীবলেছেন, ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻹﺳﻨﺎﺩ অর্থাৎহাদীসটির সনদ সহীহ।কথাটি আরও স্পষ্টরূপে ব্যক্তহয়েছে আল্লামা হাফেয ইবন হাজারআসকালানীর ﺃَﻟْﻤَﻄَﺎﻟِﺐُ ﺍﻟْﻌَﺎﻟِﻴَﺔُ গ্রন্থেমুসনাদে মুহাম্মাদ ইব্ন ইয়াহইয়াআল-আদানীর বরাতে সন্নিবেশিতএই হাদীস দ্বারা - ﺃَﺻْﺒِﺤُﻮْﺍ ﺑِﺼَﻠَﺎﺓِﺍﻟﺼُّﺒْﺢِ ﻓَﺈِﻧَّﻜُﻢْ ﻛُﻠَّﻤَﺎ ﺃَﺻْﺒَﺤْﺘُﻢْ ﺑِﻬَﺎ ﻛَﺎﻥَﺃَﻋْﻈَﻢَ ﻟِﻸَﺟْﺮِ (তোমরা ফজরেরসালাতকে আলোকিত করে আদায়কর। কেননা, যতবেশী আলোকিতকরবে ততই তা অধিক সওয়াবেরকারণ হবে। হাদীস নং- ২৯৫)সহীহ ইব্ন হিববানে রাফে‘ ইবনখাদীজ রা. -এর হাদীসটি এই শব্দেবর্ণিত হয়েছে - ﺃَﺻْﺒِﺤُﻮْﺍ ﺑِﺎﻟﺼُّﺒْﺢِ ﻓَﺈِﻧَّﻜُﻢْﻛُﻠَّﻤَﺎ ﺃَﺻْﺒَﺤْﺘُﻢْ ﺑِﺎﻟﺼُّﺒْﺢِ ﻛَﺎﻥَ ﺃَﻋْﻈَﻢَﻟِﺄُﺟُﻮْﺭِﻛُﻢْ (তোমরা ফজরের সালাতকেআলোকিত করে আদায় কর। কেননাতোমরা ফজরের সালাতকে যত বেশীআলোকিত করে আদায় করবে ততইতা তোমাদের সওয়াব বৃদ্ধির কারণহবে। হাদীস নং- ১৪৮৯)এই সব হাদীস প্রতিপক্ষের ব্যক্তব্যাখ্যাকে (যে ব্যাখ্যা ইমামতিরমিযী রাহ. উদ্ধৃত করেছেন) অসারপ্রমাণ করে। কেননা ফজর বা সুবহেসাদিক উদিত হওয়ার ঘটনাটিপ্রলম্বিত হওয়ার মত ঘটনা নয়।বিষয়টি এরকম নয় যে, ফজর বাসুবহে সাদিক একটু উদিত হলেফজরের ওয়াক্ত একটু শুরু হয়,সালাত একটু শুদ্ধ হয় আর একটুএকটু করে যতবেশী উদিত থাকেসালাতও ততবেশী শুদ্ধ হতে থাকেআর সওয়াবও ততবেশী বৃদ্ধি পেতেথাকে। না বিষয়টি এরকম নয়। কাজেইহাদীসের অর্থ যদি তেমনটাই হয়যেমনটা তাগলীস বিল ফাজরেরপ্রবক্তাগণ বলেছেন তাহলেﻓﺈﻧﻪ ﺃﻋﻈﻢ ﻟﻸﺟﺮবাﻛﻠﻤﺎ ﺃﺻﺒﺤﺘﻢ ﺑﻬﺎ ﻛﺎﻥ ﺃﻋﻈﻢ ﻟﻸﺟﺮএবংﻛﻠﻤﺎ ﺃﺻﺒﺤﺘﻢ ﺑﺎﻟﺼﺒﺢ ﻛﺎﻥ ﺃﻋﻈﻢﻷﺟﻮﺭﻛﻢরাসূলের এই কথাগুলোর কোনোঅর্থ থাকে না। জানি না তাগলীস বিলফাজরের প্রবক্তাগণ এই সকালকরবে ততই তা তোমাদের সওয়াববৃদ্ধিহাদীসের কী ব্যাখ্যা করবেন।


চতুর্থত : লেখক মুসনাদে তায়ালিসীরএকটি হাদীস উল্লেখ করেছেন যে,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম বেলাল রা.-কে নির্দেশদেন - ﺃَﺳْﻔِﺮْ ﺑِﺼَﻠَﺎﺓِ ﺍﻟﺼُّﺒْﺢِ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﺮَﻯﺍﻟْﻘَﻮْﻡُ ﻣَﻮَﺍﻗِﻊَ ﻧَﺒْﻠِﻬِﻢْ । লেখক শায়খআলবানীর মন্তব্যও উল্লেখকরেছেন যে, শায়খ আলবানী বলেন,ﻭﻫﺬﺍ ﺇﺳﻨﺎﺩ ﺻﺤﻴﺢ ﺇﻥ ﺷﺎﺀ ﺍﻟﻠﻪ ।আল্লাহ চাহেন তো এটি সহীহ সনদ।লক্ষ করুন, হাদীসটিতে বলা হয়েছে-সালাতে সুব্হকে এমনভাবে ইসফারবা আলোকিত কর, যেন লোকেরাতাদের নিক্ষিপ্ত তীর কোথায় পতিতহল তা দেখতে পায়। হাদীসটি ইসফারবিল ফাজরের প্রবক্তাগণেরই পÿÿযায়। ইসফার বিস্ সুবহের অর্থ যদিতেমনটাই হয় যেমনটা তাগলীস বিলফাজরের প্রবক্তাগণ বলেন, তাহলেএই হাদীসের অর্থ দাঁড়ায়- তুমিসুবহে সাদিক এমনভাবে উদিত করযাতে লোকেরা তাদের নিক্ষিপ্ত তীরকোথায় পতিত হল তা দেখতে পায়।সুবহানাল্লাহ! তাহলে অন্ধকারেসালাত আদায় করা মুস্তাহাব তোদূরের কথা, বৈধ হওয়াই মুশকিল।কেননা, তাঁদের ব্যাখ্যা অনুযায়ীনিক্ষিপ্ত তীর কোথায় পতিত হল তাদেখতে না পাওয়া গেলে তো সুবহেসাদিক উদিত হওয়ার ব্যাপারটিসন্দেহযুক্ত থেকে যাবে, নিশ্চিতহবে না। ফলে তার পূর্বে ফজরেরসালাতও আদায় করা যাবে না।এই হাদীসে আরেকটি বিষয় লÿকরম্নন। হাদীসে শব্দ ব্যবহৃতহয়েছে ﺑﺼﻼﺓ ﺍﻟﺼﺒﺢ । ﺍﻟﺼﺒﺢ বাﺍﻟﻔﺠﺮ শব্দ নয়। শেষোক্ত শব্দদুটির অর্থ ‘সুবহে সাদিক’ হতে পারেআবার ‘ফজরের সালাত’ও হতে পারেকিন্তু প্রথমোক্ত শব্দটি শুধু‘ফজরের সালাত’ অর্থ নির্দেশ করে।তাগলীস বিল ফাজরের প্রবক্তাগণইসফারের যে ব্যাখ্যা করেছেন তাএই হাদীসের সাথে কোনোভাবেইমেলানো যায় না। কারণ, তাঁরাইসফারের অর্থ করেছেন সুবহেসাদিক এমনভাবে স্পষ্ট হওয়া যাতেকোনো সন্দেহ না থাকে। এখানেসুবহে সাদিকের কথা বলা হয় নিসালাতে সুব্হ বা ফজরের সালাতেরকথা বলা হয়েছে। একে তোহাদীসটিতে এতটুকু ইসফারের কথাবলা হয়েছে যাতে নিক্ষিপ্ত তীরেরগন্তব্যস্থল দেখতে পাওয়া যায়তার উপর আবার শব্দ ব্যবহৃতহয়েছে ‘বিসালাতিস্ সুবহি’। আর একারণেই তাগলীস বিল ফাজরেরপ্রবক্তাগণ ইসফারের যে ব্যাখ্যাকরেছেন সেই ব্যাখ্যাটি যে হযরতবেলালের এই হাদীসটির কারণেইঅগ্রহণযোগ্য তা হাফেজ ইবনহাজার আসকালানীও স্বীকারকরেছেন। মনে রাখতে হবে যে,হাফেজ ইবন হাজার আসকালানী রাহ.শাফিঈ মাযহাবের অনুসারী ছিলেনএবং শাফিঈ মাযহাবের পক্ষেঅন্যতম ব্যারিস্টার ছিলেন। তিনিস্বীয় ইমাম ইমাম শাফিঈ ও আহমাদও ইসহাকের এই ব্যাখ্যা উল্লেখকরার পর বলেন,ﻭَﻳَﺮُﺩُّﻩُ ﺭِﻭَﺍﻳَﺔُ ﺇِﺑْﻦُ ﺃَﺑِﻰْ ﺷَﻴْﺒَﺔَ ﻭَ ﺇِﺳْﺤَﺎﻕَﻭَﻏَﻴْﺮِﻫِﻤَﺎ ﺑِﻠَﻔْﻆِ ﺛَﻮِّﺏْ ﺑِﺼَﻠَﺎﺓِ ﺍﻟﺼُّﺒْﺢِ ﻳَﺎ ﺑِﻠَﺎﻝُﺣَﺘّﻰ ﻳُﺒْﺼِﺮَ ﺍﻟْﻘَﻮْﻡُ ﻣَﻮَﺍﻗِﻊَ ﻧَﺒْﻠِﻬِﻢْঅর্থাৎ এই ব্যাখ্যাটিকে খন্ডন করেদেয় ইব্ন আবি শাইবা, ইসহাকপ্রমূখের রেওয়ায়েত এই শব্দে- ﺛﻮﺏﺑﺼﻼﺓ ﺍﻟﺼﺒﺢ ﻳﺎ ﺑﻼﻝ ﺣﺘﻰ ﻳﺒﺼﺮ ﺍﻟﻘﻮﻡﻣﻮﺍﻗﻊ ﻧﺒﻠﻬﻢ (হে বেলাল, ফজরেরসালাতের ইকামত দাও এমন সময়েযাতে লোকেরা তাদের নিক্ষিপ্ততীরের আপতনস্থল দেখতে পায়।(দ্রষ্টব্য আত্ তালখীসুল হাবীর,২৬১ নং হাদীসের অধীনে আলোচনা।)
হাফেজ সাহেব বলতে চাচ্ছেন, হযরতবেলালের প্রতি ইসফারের নির্দেশসম্বলিত হাদীসটি ইমাম শাফিঈ,আহমাদ ও ইসহাকের ব্যাখ্যাকেখন্ডন করে ঠিক কিন্তু তা হযরতআয়েশার এই হাদীসের বিরোধী। এটিহাফেজ সাহেবের পক্ষ হতে হযরতবেলালের প্রতি নির্দেশ সম্বলিতহাদীসটির প্রতি একটি আপত্তি।কিন্তু ইসফার বিল ফাজরেরপ্রবক্তাগণের নিকট এই আপত্তিরশক্তিশালী জবাব আছে এবং তাঁদেরনিকট হাদীস দুটির বাহ্য বিরোধেরমীমাংসাও আছে। তাঁরা এই আপত্তিরজবাবে বলেন, আসলে হাদীস দুটিরমাঝে কোনো বিরোধ নেই। কারণ,হযরত আয়েশা রা.-এর হাদীসেরঅর্থ হল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনোসালাতকে একদম শেষ ওয়াক্তেআদায় করেননি যাতে সালাত ফউতহয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়।আর ইসফার সেইরকম শেষ ওয়াক্তনয়। কারণ ইসফার করে সালাত শুরুকরে সুন্নত কিরাআতের মাধ্যমেসালাত শেষ করার পরও কমপক্ষেপনের থেকে বিশ মিনিট সময়অবশিষ্ট থাকে সূর্য উদিত হতে।ইসফার বিল ফাজরেরপ্রবক্তাগণের ব্যাখ্যাকে লেখকঅপব্যাখ্যা বলেছেন। হাদীসটিরসঠিক ব্যাখ্যা কোনটি তা তিনিবলেননি। তিনি ইমাম শাফিঈ, আহমাদও ইসহাকের ব্যাখ্যা ও ইমাম তাহাবীও শায়খ আলবানী রাহ.- এর ব্যাখ্যাউল্লেখ করেছেন। অথচ ইমামশাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাকেরব্যাখ্যা এবং ইমাম তাহাবী ও শায়খআলবানীর ব্যাখ্যা দুইটির মাঝেবিস্তর ভিন্নতা রয়েছে। এই উভয়ব্যাখ্যা একই সাথে সঠিক হতেপারে না । লেখক যদি একই সাথে এইউভয় ব্যাখ্যাকে সঠিক মনে করেনতাহলে ইসফার বিল ফাজরেরপ্রবক্তাগণের ব্যাখ্যাকে কেনসঠিক মনে করবেন না? অথচ তাঁদেরব্যাখ্যাটি ইমাম তাহাবী ও শায়খআলবানীর ব্যাখ্যার কাছাকাছি। যাহোক, আমরা বোধ হয় প্রমাণকরতে সক্ষম হয়েছি যে, ইমামশাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাকেরব্যাখ্যা হাদীসটির যথোপযুক্তব্যাখ্যা নয়। হাঁ ইমাম তাহাবী ওশায়খ আলবানী রাহ. কর্তৃক কৃতব্যাখ্যা হাদীসটির শব্দ ও ভাষারসঙ্গে মোটামোটি সংগতিপূর্ণ।

কিন্তু অন্যান্য হাদীসের আলোকেবলতে হয় যে, ইসফার বিল ফাজরেরপ্রবক্তাগণের ব্যাখ্যাই অধিকসংগতিপূর্ণ। দেখুন, হাফেজ ইবনহাজার আসকালানী রাহ. ইব্ন আবিশাইবার যে হাদীসটির প্রেক্ষিতেইমাম শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাকেরব্যাখ্যাকে মারদূদ ও প্রত্যাখ্যাতবলেছেন সেই হাদীসটিতে শব্দব্যবহৃত হয়েছে ﺛﻮﺏ ﺑﺼﻼﺓ ﺍﻟﺼﺒﺢ ﻳﺎﺑﻼﻝ ﺣﺘﻰ ﻳﺒﺼﺮ ﺍﻟﻘﻮﻡ ﻣﻮﺍﻗﻊ ﻧﺒﻠﻬﻢ(ফজরের সালাতের ইকামত দাও হেবেলাল, এমন সময়ে যেন লোকেরাতাদের তীর কোথায় নিক্ষিপ্ত হলতা দেখতে পায়।

সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×