আজ খুব খারাপ একটা ঘটনা ঘটল আমার সাথে। আমি বুঝতে পারছিনা দোষটা কি আমার ছিল। কাল রাতটাও আমি অনেক সুখে ছিলাম । কত কিছু ভাবছিলাম। গোধুলী বেলায় সুন্দর দেখে নীল একটা সাড়ি পড়ে তার জন্য অপেক্ষা করব। সে আমার জন্য বেলি ফুল নিয়ে আসবে। আমার খোপায় পরিয়ে দিবে।
আমি পৃথিলা। আমার সাথেই চাকরি করে রবিন চৌধুরি। পরিচয়ের তৃতীয় দিন রবিন আর আমি ভাল বন্ধু হয়ে গেলাম । এবং সেদিন থেকেই আমরা তুমিতে নেমে আসি। ওর নাকি বন্ধুদের সাথে আপনি আপনি করে কথা বলতে ভাল লাগে না। রবিন অনেক ভাল মানুষ। সুন্দর করে কথা বলে। ওর কথা বলাতে মাধুর্য মিশানো থাকে। তাকে আমার খুব ভাল লাগে।
সে আমার অনেক খেয়াল রাখে। আমি যখনই কোন অসুবিধায় পড়ি তখনই তাকে ফোন করি। সে ঝটপট সমাধান দিয়ে দেয়। আমি তার এই গুণে বিমহিত। আমার যখন কিছুই ভাল লাগেনা বা মন খারাপ তখনও রবিনকে ফোন করি। তখন ও এমন এমন জোকস বলতে শুরু করে যে আমি হাসতে হাসতে মরে যাই। আমি ভুলে যাই মন খারাপের কারণ। ধীরে ধীরে আমি তার প্রতি আকৃষ্ট হতে থাকি । আমি তাকে ভালোবাসতে শুরু করি। কিছুদিন আগে আমাদের স্কুল থেকে টিচারদের নিয়ে পিকনিকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেদিন প্রথম সে আমার একটা হাত ধরেছিল। আমার হৃদয়ে বিদ্যুত চমকে উঠল। এই দিনের জন্যই তো আমি অপেক্ষা করছিলাম। পিকনিকে আমি আর রবিন, একে অপরকে বেশি সময় দিয়েছি। সেদিনই প্রথম অনুভব করলাম আমি এখনও পরিপূর্ন না।
আমি জানিনা রবিন আমাকে ভালোবাসে কিনা। আমি সরাসরি তাকে এখনও বলার সাহস পাচ্ছিনা। যদি এমন হয় আমি বলার পর আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্কও আর না থাকে। তার থেকে প্রথম সাড়াটা আশা করছি । কিন্তু বুঝে পাচ্ছিনা হঠাত পুরো দৃশ্য পাল্টায়ে গেল। আমিই তাকে বেশি ফোন দিতাম। ইদানিং সে আমারও ফোন আগের মত ধরছেনা। আমার সাথে আগের মত কথা বলছেনা।
আমার সাথে পড়ত রথি। আমরা দুজনই একসাথে অনার্স দিয়েছি। আমি আগে স্কুলে জয়েন করেছিলাম পরে ও জয়েন করে। রথির সাথেও বন্ধুত্ব করল রবিন। তারও ভাল বন্ধু হয়ে গেল। তার সাথেই বেশি ভাব এখন রবিনের। অবস্য রথি আমার থেকে দেখতেও একটু ভাল। আমি সহজে মানতে পারছিলাম না ব্যপারটা তাই গত কাল একটা ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছি।
অনেকবার ফোন দেয়ার পর রবিনকে পাই না। মোবাইলের স্ক্রীনে ওয়েটিং ওয়েটিং লেখা উঠছে। পরে সেই আমারে রিং দিল। বিকেল বেলা।
:কেমন আছ
:ভাল নেই জ্বর হয়েছে।
:কি বল। সিরিয়াস কিছু হয়নি তো।
:না। তেমন না শুয়ে আছি।
:খাওয়া দাওয়া ঠিক মত হয়েছে তো।
:না খেতে ভাল লাগছে না।
:আগে খেয়ে নাও তারপর আমি কথা বলব।
:পরে খাচ্ছি
:সত্যি খাবে
:এটা আবার কোন প্রশ্ন হল।
:না আমি তো মনে করেছি তুমি আমাকে ভুলে গেছ। এখন স্কুলেও তো ভাল করে কথা বলনা। আচ্ছা তোমার কি খুব জ্বর
:মোটামুটি। না কই এমন তো কিছু ঘটেনি। এইযে কথা বলছিতো।
:তাহলে আমি তোমার ওখানে আসি।
:মাথা খারাপ হয়ে গেছে এই ব্যচেলরদের মধ্যে তুমি আসবে কিভাবে। পারলে আস।
আমি ফোন রেখে ওর বাসার কাছে চলে যাই। আমি বাসা চিনিনা। তারপর ওকে ফোন দেই। ও ফোন ধরে আমাকে বলে অপেক্ষা করতে, কিছুক্ষন পর ও আসছে সেখানে যেখানে আমি আছি।
Click This Link