আমার ভালো লাগছেনা। আমার এই বিশাল বাড়ির কি করব। আমি বিশাল বাড়ির একটি ঘরের জানালা দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবছি।
এমন সময় রেহান এসে বল্ল- “মামা তুমি এখানে, আমি সারা ঘর তোমাকে খুজছি। মামা আমি এই সেমিস্টারেও দারুন রেজাল্ট করেছি।”
“আমি জানি বাবা তুই পারবি ।” -আমি বলি।
“এখন তাহলে তোমার কথা মোতাবেক আমাকে কি দেয়ার কথা ছিল।”
“একটু সবুর কর আমি তো দিবই। আগে বস। ঠান্ডা হো। বল রেহানার কি খবব। তোর কি খবর।”
“মা সে কি কখনো খারাপ থাকে। সে তো সব সময় ভালো থাকে। আর আমি এখন কেমন আছি তাতো তুমি বুঝছই।”
“আরে না পাগল তুই বুঝবিনা তোর মায়ের ব্যথা। সে সব সময় ভাল থাকার চেষ্টা করে।”
“ওসব আমার বোঝার দরকার নেই । তুমিই বুঝো। তুমি আমাকে টাকা দাও। আর তিনদিন পর ভার্সিটি খুলবে। আমি আজ বন্ধুদের সাথে ছবি দেখতে যাব সিটিটে এবং সেখান থেকে মোবাইলটা কিনে ফেলব।”
দু:খিত আমার উপস্থিতির জন্য। আমি রেহান। এখানে কেন্দ্র আমি না আমার মামা- মুহাইমেনুন খান। মামি আমার জন্মের আগেই মারা গেছে। মামা, মামিকে অনেক ভালোবাসত। তাই মামা আর বিয়ে করেনি। মামার বাসায় এসে দেখি মামা কি জানি লিখছে। আমি বায়না ধরলাম এই রচনায় মামার অভিষেকটা আমি দিব। বাংলাদেশের ধনী মানুষের মধ্যে অন্যতম আমার মামা। আর আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষও। আমি আমার মামার মত এমন মানুষ পৃথিবীতে দ্বিতিয়টি দেখিনি। মামা আমার প্রিয় তার প্রধান কারণ আমার বাবা মারা যাবার পর আমাদের সব কিছু উনিই দেখেছেন। আমি একটা জিনিস বুঝিনা ভাই বোনের একি রোগ কেন। আপনারা বুঝছেন, আমি কি বলতে চাচ্ছি। মামা আমাকে অনেক ভালোবাসে। আমি জানি কিছুদিন পর মামার পুরো সম্পদ আমার হবে। সেদিনই মামা আমাকে এমনই আচ দিল। কিন্তু জানিনা কি হবে। আমি কি পারব মামার মত এমন হতে। আমি কি পারব মামার মত এই সম্পদটাকে কাজে লাগাতে। মামার সম্পর্কে আর কি লিখব বুঝে পাচ্ছিনা। যা হোক মূল ঘটনায় চলে যাই। ঘটনাটি দুই বছর আগের। তখন আমি ছাত্র ছিলাম। এখন আমি একটা ভালোই চাকরি করছি।
আমার সাথে সবসময় মামার চুক্তি থাকত। আমি পরিক্ষায় ভালো করলে আমি যা চাব তাই মামা আমাকে দিবে। সে সময় এন৯৫ দিবার কথা ছিল। মামা আমার কাছে ষাট হাজার টাকা দিয়েছিল। প্রথমে পঞ্চাশ দিয়েছিল পরে আমি আরো দশ বেশি নিলাম। কারন মামার মত দানশীল হতে হবে তো তাই তখন থেকেই অভ্যাসটি করছিলাম। দশ হাজার টাকা আমি দান করে দেই। আমার আর একটা দায়িত্ব ছিল আমার বন্ধুরা কে কোথায় কেমন ছিল সেটা মামাকে জানাতে হবে। বন্ধুদের আর্থিক সমস্যা হলে মামা সাহায্য করত। তবে দেয়ার আগে অনেক যাচাই করত। যেন কোন ভুল কাজে তার টাকা না নষ্ট হয়। মামা আমার এক বন্ধুর অপেরশনের জন্য ত্রিশ লক্ষ টাকা দিয়েছে। তার ব্রেন ক্যান্সার ছিল। অস্ট্রলিয়ায় –পাঠাতে হয়েছিল। আর মামা এই কাজটা এমন কৌশলে করেছে যে আমার বন্ধু আসিফ বা তার পরিবার তো বুঝতেই পারিনি কে তাদের এত বড় উপকার করল। মামা জানাতে পছন্দ করে না। এ ধরনের আরো অনেক সমস্যা আমাকে মামার জানাতে হত। আপনারা আরও শুনে অবাক হবেন আমার মামার ঢাকা শহরে আজব কয়েকটা আন্ডারগ্রাউন্ড সংসস্থা আছে। যেখানে ঢাকা শহরের ফকির গুলো ধরে নিয়ে তাদের সামার্থ অনুযায়ী কাজ দেয়া হয়। যে যেমনই কাজ পারে তাকে তেমন কাজ দেয়। কারো পড়াশোনার ইচ্ছা থাকলে পড়ায়। যে কিছু পারে না তাদের এতিম খানায় বিশেষ সেবা করা হয়। ঢাকা শহরের অনেক এটিমখানার মালিক মামা। মামা নিজের নাম প্রচার করবেননা বলে তাদের মালিক অন্য কেওকে করে দেয়। মামা তার বিশ্বস্ত মানুষকে এতিম খানার মালিক বানায়।
এখন আসল কথা বলি। মামার রচনায় প্রথমে আমি কেন। সেইদিন মামাকে আরও একটা তথ্য দেই আমি। যেদিন এন৯৫ কিনি। তথ্যটা এমন ছিল আমার ক্লাসে পড়ত এক মেয়ে অনিলা মাদকাসক্ত …
পরের পর্ব Click This Link