পূর্বের পর্ব Click This Link
থাক হয়েছে বুচ্ছি অনেক লিখেছিস। অনিলা নামের একটি মেয়ে মাদক নেয়া শুরু করেছে। তার কারণ সে অমিত নামের এক হিন্দু ছেলেকে সে ভালোবাসেছিল। ফোনে বন্ধুত্ব। অমিত তাকে সবসময় বন্ধুই মনে করেছে কিন্তু অনিলা ভুল বুঝেছিল। ছয় মাস পর অমিত তাকে তার ভুল ভাঙায়। সত্যিতা জানার পর অনিলা অসুস্থ হয়ে যায়। এই বেদনা সইতে না পেরে মাদককে সে বেছে নেয়। বনশ্রী কোন এলাকা থেকে নাকি সে মাদক নিত। চুরি বিদ্যাও সহজে আয়ত্ত করে ফেলেছে। বাসা থেকে অনেক টাকা চুরি করত। বাসার অনেকেই জানতনা। রাতের পর রাত বান্ধবীর বাসায় থাকে এই বলে কত রাত যেয়ে বাসায় ফিরে নাই তার ঠিক নাই। তার এক বাজে কাজিন তার সাহায্য করেছে এই ব্যপারে। খুব ভালো হত আনিলা যদি এগুলো বলত। রেহান আমাকে এভাবে বলেছে। রেহান তখনই ওকে কিছুটা পছন্দ করত। ওর কোন খারাপ কিছু ওর ভালোলাগত না।
এই কথা শোনার পর আমি ভেবেছিলাম ওনেক কিছুই তো করলাম। কখনো তো এদের কথা ভাবিনি। যারা মাদকে আসক্ত হয়। আমি ভাবলাম আমি নিজেই এদের জন্য। পরক্ষভাবেতো কিছু কিরনাই এবার কিছু একটা করব। কিন্তু মাথায় আসছেনা কি করব। কোথায় থেকে শুরু করব। একবার মনে হল রেহানের মাধ্যমে অনিলার সাথে কথা বলি। কমপক্ষে ওকে সুস্থ্ করার আগে চেষ্টা করি।
সেদিন রাত্রেই বনশ্রীর একটি গার্মেন্টসে মিটিঙ্গ ছিল। মিটিঙ্গ শেষ করতে রাত বেশি হয়েছিল। রাত প্রায় এগারটা হবে মনে হয়। যে রাস্তা দিয়ে ফিরছি সেখানে কোন আলো নেই।এতটাই নির্জন এলাকা ছিল যে গাড়ির আলোয় পথ চিনছি। ড্রাইভার আমাকে বল্ল সামনে কয়েকজন রাস্তায় শুয়ে রাস্তা আটকিয়ে রেখেছে। আমি ড্রাইভারকে পাশ কেটে চলে যেতে বলি। আমি হেডলাইটের আলোয় দেখতে পাচ্ছি একজন উঠে দাড়ালো। কি ভেবে আমি গাড়ি থামাতে বল্লাম। ড্রাইভার থামাতে চাচ্ছিল না। সে ভয়ার্ত গলায় বলছিল, “না থামানোটা ঠিক হবে।” আমি আবার বলায় থামায়। আমি গাড়ি থেকে বের হই। দেখি রাস্তায় যে তিনজন শুয়ে ছিল তারাও উঠছে। মোট চারজন। আমার সামনে এসে দাড়াল। মদ খেয়ে মাতাল। তারা কাছে আসতেই বাজে গন্ধ টের পাই। আমি কারো চেহারা ভালো করে দেখতে পাচ্ছিনা। আমার মুখে টর্স মেরেছে। আমি বল্লাম, “কে তোমরা, কি চাও।”
কেও একজন বলছে, “কে মানে। এখনোও বুঝতে পারছেন না আমরা কে। ঠিক আছে এত বোঝা লাগবে না আপনার কাছে যা আছে তা দিয়ে দেন।” পাশের থেকে অন্য আরেকজন বলছে, “বোকা নাকি এভাবে গাড়ি থামিয়েছে। যাকগে আমাদের বেশি কষ্ট করেত হচ্ছেনা।” আমি বলি,
“আমি একটা কারণে গাড়ি থামিয়েছি। আমার কাছে তো এখন এতটাকা নেই আমি এখন মাত্র পাঁচহাজার দিতে পারব।” আরে তাই দেন- একজন বল্ল। আমি বলি,
“শোন তোমরা কি করতে পার। আমার তোমাদের মত কিছু নতুন মানুষ প্রয়োজন। আমি আরো টাকা দিব।” বুঝতে পারলাম তৃতীয় আরেকজন বলছে,
“কথা কম যা বলছি তাই কর। আমাদের আর লাগবে না। বেশি ফকফক করলে চাক্কু ঠিক গলায় বসিয়ে দিব। গুলি খরচ করুমনা।”
আমি একটু ঘাবড়িয়ে যাই তারপরেও বলি, “দেখ এর চেয়েও ভাল বন্দুক ও আমি দেব। টাকাও দিব। আর তোমাদের কাজটি কঠিন হবেনা। শুধু মাত্র ভয় দেখাতে হবে। আমার অপসিট পার্টির ব্যবসায়ীদের আর আমার তিনটা দশতালার বাড়ি আছে সেখানে ভয় দেখাতে হবে। কি হবে মাত্র পাচহাজারে, আমার সাথে চল। আমার কাজে রাজি না হলেও তোমরা প্রতিজনে বিশ হাজার টাকা নিয়ে ফিরে যাবে। এখন এটা তোমাদের চিন্তা তোমরা কি করবে।”
আমি দেখলাম তারা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া বাধিয়ে দিয়েছে। কেও রাজি কেও রাজি না। আমি আবার বলি,
”দেখ তোমরা কিন্তু ভেবনা যে আমার আর মানুষ নেই। অনেক সাঙ্গপাঙ্গ আমার আছে। আমি নতুন আরো কয়েকজন চাই। ব্যবসা বৃদ্ধির সাথে সাথে আমি নতুন সাঙ্গপাঙ্গও যোগ করি। আর আমার কথায় রাজি থাকলে প্রতি মাসে তোমরা পঞ্চাশ হাজার টাকা পাবে। এমন কি আমি তোমদের বাসাও দিব। বুঝে দেখ আমার ব্যবসার ভাব কেমন হলে আমি তোমদের এমন একটা অফার দেই। তোমরা তো কিছুই না। আমার কাছে এমন মানুষও আছে যার কাছে খুন মামুলি ব্যপার।”
তাদের মধ্যে কিহল, কিছু বুঝলামনা। তারা ফিসফিস করে কথা বলছে। এরপর একজন বল্ল,
“আচ্ছা আমরা কাল আপনার ওখানে আসব। আপনি এখন পাচই দেন।”
“বুচ্ছি তোমরা এতেই খুশি থাক তোমাদের আর লাগবেনা। এত ভিতু হলে দেখা যাবে বাসার ভাড়ায়টিয়ারা তোমাদের উল্টো ভয় দেখাচ্ছে।” -আমি বলি।
কে জানি বলে উঠল “চলেন।”
আমার গাড়িতে পিছনে চারজন উঠল। গাড়ির মধ্যে বসে আমার বাসার দারওয়ান কিউন কে বলি কিছু বিদেশী আর দেশি মদ কিনে রাখতে। রাত বেশি হয়েছিল, কেমন করে মদ পেল বুঝলামনা। গাড়ির মধ্যে একজন বলে, “বস এমন একটা গাড়ি কি সবার জন্য হবে।” আমি বলি, “আস্তে আস্তে সবই হবে, আগে দেখি, তোমরা কাজটি কেমন করতে পার।”
বাসায় ফিরে তাদের থাকার জন্য আমার গেস্ট হাউসের দুটো ঘর দিলাম। আর দুই ঘরে বিদেশী একটা, দেশি দুইটা মদের বোতল দিলাম। আর প্রতিজনের হাতে বাইশ হাজার টাকা দিলাম।
পরের পর্ব Click This Link