মুমীন পুরুষ ও মুমীন নারী একে অপরের বন্ধু । বর্তমান প্রচলিত সমাজে আমরা যে ধরণের বন্ধুত্ব দেখি তেমন না । এরা একে অপরের জন্য দোয়া করে , সম্মান ও শ্রদ্ধা করে , প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করে এবং যা কিছুই করে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করে । আল্লাহ নারী পুরুষ দুজনকেই সম্মানিত করেছেন তবে ভিন্নভাবে । নারী কখনো পুরুষের সম্মান পাবে না আবার পুরুষ কখনো নারীর সম্মান পাবে না । কিন্তু যার যার জায়গায় দুজনই সম্মানিত । এই বিষয়ে আমরা কম বেশী সবাইই জানি তবুও কেন যেন আমরা অনেকেই তা মানতে পারি না । আমরা একে অপরের ছিদ্রান্বেষণে লেগে পড়ি ; যা খুবই অনুচিত । আমরা একে অপরের পরিপূরক , প্রতিযোগী নই । আমরা অনেক সময় একে অপরের বিরুদ্ধে ঝগড়া-ফ্যাসাদ বা বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ি । কিন্তু কেন ? আসলে শয়তান আমাদেরকে ফ্যাসাদে জড়িয়ে পড়ার ওয়াসওয়াসা দেয় যেন আমরা মুখ্য বিষয় থেকে সরে যাই । কখনো কখনো বাক-বিতন্ডা নোংরা ও অকথ্য ভাষায় কথা বলাতে পর্যবসিত করে ।
কারো কোন কথা যদি আমার মনে কষ্টের উদ্রেক করে তাহলে কথাটা আমি বার বার খেয়াল করবো ও একটু সময় নিয়ে চিন্তা করবো ।তাতে এর পজিটিভ কোন একটা দিক আমি খোঁজে পাব ইনশাআল্লাহ ।শয়তান আমাদেরকে খারাপ কাজে জড়াতে চায় ; আমরা তা চাই না তবুও জড়িয়ে পড়ি । কেন ? কারণ আমাদের ধৈর্য্য কম ও ইগো বেশি । শয়তান আমাদের দুর্বলতার সুযোগ নেয় । আমাদের কি শয়তানকে সুযোগ দেয়া উচিত ; যে কিনা আমাদের প্রকাশ্য শত্রু ? আমরা বিভিন্ন বাক-বিতন্ডায় নিজেদেরকে জড়ায়ে আল্লাহর পথ থেকে বিমুখ হয়ে শয়তানকে সন্তুষ্ট করি ।
এখন আপনারাই সিদ্ধান্ত নিন , কাকে সন্তুস্ট করবেন ? আল্লাহকে না শয়তানকে ?
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫৫