somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পিশাচ কাহিনী/ সাধনপুরের সাধু -বড় গল্প

১৬ ই জুন, ২০১৫ রাত ১:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সাধনপুর গ্রাম।
গ্রামের শেষ প্রান্ত থেকে শুরু হয়েছে বিশাল এক মাঠ। মাঠের মাঝামাঝিতেই পুকুরটি। পুকুরের পূর্ব পাশে যে বিরাট বট গাছটা রয়েছে, তার তলায় আস্তানা গেড়েছে এক সাধু বাবা। ইয়া লম্বা লম্বা চুল আর দাড়ি গোফের জঙ্গল। হাত পায়ের নখগুলো বড় বড়। পরনে গেরুয়া বসন, উর্ধাঙ্গ খালি। গলায় রুদ্রাক্ষের মালা। একটা বাঘের চামড়ার উপর বসে থাকে। একপাশে খাড়া করে রাখা একটা ত্রিশুল। আর একটা লোটায় বিভিন্ন গাছের পাতা ও ফুল রাখা।

দেখলেই ভক্তি জন্মে সাধু বাবার উপর। গ্রামের লোকজন খুব খুশি। এমন একজন মানুষ তাদের গ্রামে হাজির হয়েছে। গ্রামের লোকজন প্রতিদিন সকালে সাধুবাবার নিকট বিভিন্ন ফলমুল খাদ্যদ্রব্য নিয়ে হাজির হন। সাধুবাবা সবসময় চোখ বুজে থাকেন। কারো সাথে কথা বলেননা। সবগুলো জিনিষ যেভাবেই দেয়া হয় সেভাবেই পড়ে থাকে। পরে লোকেরা তা সরিয়ে নেয়। এভাবে কেটে গেল কয়েকটা দিন।

গ্রামের উত্তর প্রান্তে রফিক মিয়ার বাড়ি। তার দুধেল গাইটি সন্ধ্যা থেকে পাওয়া যাচ্ছেনা। সারা গ্রাম আঁতিপাতি করে খোঁজ করেও পাওয়া গেলনা গরুটি। তারপর হাল ছেড়ে দিয়ে রফিক মিয়ে ভাবতে লাগলো কোথায় গেল গরুটি।

পরদিন গোয়াল ঘরের পেছনেই পাওয়া যায় গরুটিকে। মৃত। বিভৎস। কিসে জানি পুরো মাথাটা ধড় থেকে টেনে ছিড়ে ফেলেছে এমন অবস্থা। তারপর পেট ফেড়ে কলিজা বের করে ফেলেছে। গ্রামের ছেলেবুড়ো সকলে জড়ো হয়ে যায় সেখানে। এমন কাজ কার দ্বারা সম্ভব। এত বড় একটা গরুর মাথা টেনে ছিড়ে ফেলে এমন শক্তি কোন জন্তুর আছে?

গ্রামের সবখানেই এনিয়ে আলোচনা চলছে? কেউ বলছে বড়সড় কোন বাঘের হামলা। কেউ বলছে বাঘ হওয়ার প্রশ্নই আসেনা। যেভাবে রাক্ষসের মত টেনে ছিড়ো ফেলেছে। কেউ বললো জ্বিনের কাজ। সবার মনেই এ নিয়ে জল্পনা কল্পনা ও আতংক ভর করেছে।

পরদিন নিয়মমাফিক সাধু বাবার নিকট ফলমুল নিয়ে গেল গ্রামের লোকজন। বাবা আগের মতই আছে। নির্মিলীত চোখ। সামনে আগুন জ্বালানো রয়েছে আজ। বাবা মাঝে মধ্যে সুর করে কি যেন পড়ছে। আর আগুনের দিকে কিসব ছিটিয়ে দিচ্ছে। সাথে সাথে আগুন জ্বলে উঠছে আরো দ্বিগুন হারে। বাবার কাছাকাছি যেতে লোকগুলো টের পেল বাবার আশেপাশে আগুনের তেজ বেশি। ফোস্কা পড়ে যাওয়ার অবস্থা। লোকের ভয় পেয়ে সেখান থেকে সরে এলো।

প্রতিদিনই ঘটছে নতুন নতুন অঘটন। কোন না কোন প্রানীকে বিভৎস ভাবে হত্যা করে ফেলে রাখা হচ্ছে প্রতিদিন। হাঁস মুরগী, বিড়াল কুকুর কোন কিছুই রেহাই পাচ্ছেনা। এ কী ধরনের উৎপাত শুরু হলো গ্রামে? সবার মনেই আতংক। এভাবে কতদিন চলবে?

গ্রামের দক্ষিন দিকের হিন্দু পাড়ার সমীর সেনের মেজো ছেলে শুভটা ভীষন দুষ্টু। মাত্র ক্লাস ফোরে পড়ে। অথচ শয়তানী বুদ্ধিতে সে সবার চেয়ে এগিয়ে। সন্ধ্যায় ঘরে পড়তে না বসে সে দুষ্টুমী করতে লাগল। একসময় খেলতে খেলতে টেবিলের উপর রাখা কাঁচের জগটি সে ফেলে দিলো মেঝেতে। ঝনঝন করে ভাংগল সেটি। তার মা রান্নাঘর থেকে বেত হাতে দৌড়ে এল। মারের ভয়ে ঘরের বাইরে দৌড় দিলো শুভ। মা ভাবল বাইরে আর কোথায় যাবে, একটু পর ফিরে আসবে সে। মা রান্নাঘরে চলে গেল।

রাত নয়টা বাজে, শুভ এখনো ঘরে ফেরেনি। টনক নড়ল মায়ের। গেল কোথায় ছেলেটা। সমীর সেন মানে শুভর বাবাকে জিজ্ঞেস করলো, তিনিও দেখেননি। শুভর বড়ভাই ধ্রুব বললো, শুভ সন্ধ্যায় মারের ভয়ে দৌড়ে বের হয়ে গিয়েছিল, এখনও আসেনি।

সবাই মিলে আশেপাশের ঘরে খোঁজ নিল। না শুভ কোথাও যায়নি। সারা গ্রামের লোকজন মিলেমিশে খোঁজ নিল শুভর। শুভ কোথাও নেই। অজানা আশংকায় কালো হয়ে উঠল সবার মুখ।

সকালে মাঠে গরু চরাতে নিয়ে যাচ্ছিল গ্রামের এক রাখাল। পুকুরের উত্তর পাড়ের দিক দিয়ে যেতে যেতে দেখলো পুকুর পাড়ে কে যেন মড়ার মত শুয়ে আছে। কাছে গিয়ে দেখল - শুভ। মৃত। ভয়ানক বিভৎস সে লাশ। চেনাই যায়না। প্রচন্ড শক্তিতে কে যেন তার মাথাটি ধড় থেকে টেনে ছিড়ে ফেলেছে। বুক ফেড়ে কলিজা বের করে ফেলা হয়েছে। সারা শরীরে খামচির দাগ। লাশ দেখে বমি করে দিল সে। তারপর ভয়ে গ্রামের দিকে দৌড় দিল রাখালটি। সারা গ্রামে ছড়িয়ে পড়লো শুভর অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা।


সাধনপুর গ্রামের পাশেই সরল ইউনিয়ন। সেই গ্রামের সবচেয়ে ধনী পরিবার মিয়া বাড়ির হোসেন মিয়ার একমাত্র ছেলে শোভন। পড়ালেখা করতে শহরে গিয়েছিল সে। প্রথম প্রথম বাড়িতে আসা যাওয়া করলেও বেশ ক'বছর হয়ে গেল বাড়ির সাথে কোন যোগাযোগই রাখেনি সে। তার পরিবারের লোকেরা শহরে তার কলেজ সহ অনেক যায়গায় খোঁজ করেও তার সন্ধান পায়নি। পত্রিকায় নিঁখোজ সংবাদও ছাপা হয়েছিল। থানায় গিয়েও কোন লাভ হয়নি। শোভনের কোন খোঁজ খবর না পেয়ে একসময় হাল ছেড়ে দেয় তারা বাবা-মা।

সেদিন সকাল বেলা হুট করে শোভন বাড়ি ফেরে। চেহারা সুরত কাপড় চোপড়ে অনেক পরিবর্তন। চেনার উপায় নাই। সাথে বড় বড় তিনটি ব্যাগ। বাড়িতে প্রবেশ করে প্রথমেই সে বাবার সামনে পড়ল। হোসেন মিয়া নিজ পুত্রকে প্রথমে চিনতেই পারলেননা। শোভনই বলল, "বাবা আমি শোভন। তোমাদের কাছে ফিরে এসেছি"। এতদিন পর হারানো পুত্রকে ফিরে পেয়ে বাকরুদ্ধ বাবা। "আমার শোভন রে " - বলে পুত্রকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে উঠলেন তিনি।

বসার ঘরে কান্নাকাটির শব্দ শুনে ছুটে এলেন শোভনের মা। শোভনকে দেখেই চিনতে পারলেন। তিনি একবার দেখেই চিনতে পারলেন শোভনকে। শোভনকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলেন তিনি।

বিকালে শোভনকে দেখতে উঠানে জড়ো হলো গ্রামের অনেকেই। এতদিন কোথায় ছিল, কী করছিল, বাড়ির সাথে যোগাযোগ কেন রাখেনি এসব জানতে আগ্রহ সবার। সংক্ষেপে শোভন যা বলল তা হল-
ড. আমজাদ আলী নামে এক বিজ্ঞান সাধকের সাথে বিজ্ঞান বিষয়ক গবেষনা করছিল শোভন। তার সাথেই চলে যায় হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে। সেখানে বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষনা করছিল দুজনে। তাদের বিজ্ঞান সাধনার বিষয় ছিল সারা দেশে ছড়িয়ে পরা প্রেত সাধকদের প্রতিরোধের উপায় বের করা। বিজ্ঞানী আমজাদ আলীর সাথে কাজ করে এ বিষয়ে অনেকদুর এগিয়ে গেছে শোভন।

শোভন ফিরে আসার পর তার সাথে পুরোনো বন্ধুদের অনেকের দেখা হলো। বন্ধুরাও খুব খুশি। নদীর পারে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে গিয়ে কথায় কথায় উঠল সাধনপুর গ্রামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ভয়ানক ঘটনাগুলোর কথা।

শোভন খুব মনোযোগ দিয়েই শুনল সম্পূর্ণ ঘটনা। তারপর বন্ধুদের বললো সাধনপুর গ্রামের কাউকে নিয়ে আসতে। সে যা সন্দেহ করছে সেটা ঐ গ্রামের কাউকে পেলেই তার সাথে কথা বলে পুরোপুরি বোঝা যাবে।

সেদিন রাতেই শোভনদের বাড়িতে এলো সাধনপুর গ্রামের কলিমদ্দিন। কলিমদ্দি শোভনদের বসার ঘরে ঢুকতেই ঝট করে দাড়িয়ে গেল শোভন। তার মুখ থমথমে। ইশারায় কলিমদ্দিকে দাড়িয়ে থাকতে বললো।শোভনের হুট করে দাড়িয়ে যাওয়ায় কলিমদ্দি সহ অন্যরাও হতচকিয়ে গেছে। ব্যাপার কী? শোভন তার ব্যাগ থেকে একটি পানির বোতল বের করলো। তারপর কলিমদ্দি সহ ঘরে উপস্থিত সবার গায়ে বোতল থেকে পানি নিয়ে ছিটিয়ে দিল।
কলিমদ্দিকে উদ্দেশ্যে করে বললো- এটা পবিত্র পানি। তুমি ঘরে ঢোকার সাথে সাথেই বুঝতে পেরেছি তোমার উপর কোন প্রেত সাধকের আছর রয়েছে। সম্ভবত তোমাদের গ্রামে কোন প্রেত সাধক এসে আস্তানা গেড়েছে। তোমাদের গ্রামে সমস্ত অঘটনের জন্য দায়ী সেই প্রেত সাধক।

প্রেত সাধকের কথা শুনে সবাই ভয় পেয়ে গেল। শোভন জিজ্ঞেস করলো - তোমাদের গ্রামে নতুন কোন লোক সম্প্রতি বসবাস করছে কিনা?
- কলিমদ্দি বললো, গ্রামে তো নতুন কোন লোক আসেনি। তবে গ্রামের বাইরের পুকুরে এক সাধুবাবা এসে বাস করছে। বাবা দিনরাত ধ্যান করেন। কারো সাতে পাঁচে নেই। কারও সাথে কথাও বলেননা। বাবাকে দিয়ে কারও ক্ষতি হওয়ার আশংকা নেই।
শোভন বললো- আমি নিশ্চিত এই বাবাই যত অঘটনের মুল। সে একজন প্রেত সাধক। আমি রাতে ব্যাপারটা আরো নিশ্চিত হতে পারবো। তুমি আজ গ্রামে যেয়োনা। তোমার শরীরে পবিত্র পানির স্পর্শ আছে। তুমি গ্রামে গেলেই প্রেত সাধকটি তা টের পেয়ে যাবে।

প্রেত সাধক বিষয়টি গ্রামের লোকদের জন্য নতুন বিষয়। তারা জানেনা প্রেত সাধক কী? তারা কী জন্য প্রেত সাধনা করে? তারা মানুষের ক্ষতি করে কেন? গ্রামের লোকজন এ বিষয়ে জানার জন্য কৌতুহল প্রকাশ করল শোভনের কাছে।

শোভন বলতে লাগল- প্রেত সাধকরা মুলত শয়তানের উপাসনা করে। তারা শয়তানের উপাসনার মধ্যে দিয়ে অসীম ক্ষমতার মালিক হতে চায়। শয়তানকে খুশি করতে তারা বিভিন্ন জীবজন্তুর পাশাপাশি মানুষও বলি দিয়ে থাকে। এই সাধুটি কতটুকু শক্তির মালিক হতে পেরেছে আমি জানিনা। শুভকে যেভাবে খুন করেছে তাতে মনে হচ্ছে চুড়ান্ত ক্ষমতা পেতে তার বেশি দেরি নেই। তবে তাকে প্রতিরোধ করতে না পারলে সে অসীম ক্ষমতার মালিক হয়ে মানুষের ক্ষতি করবে।

একজন বললো- পুলিশের কাছে গেলে কেমন হয়?
শোভন বললো- পুলিশ না, সেনাবাহিনী আসলেও প্রেতসাধকটিকে ঠেকানো সম্ভব হবেনা। সে কোনভাবে যদি টের পায় আমরা তার উদ্দেশ্য বুঝতে পেরেছি সে পুরো গ্রাম জ্বালিয়ে ছারখার করে দেবে।

তাহলে এখন উপায় কী? গ্রামবাসীরা জানতে চাইলো। শোভন বললো উপায় তো একটা আছে। তবে সেটা সবার সামনে বলা যাবেনা। আমি এলাকার তরুনদের নিয়ে বসবো। তাদের সাথে নিয়েই প্রেত সাধক সাধু বাবাকে প্রতিরোধের পরিকল্পনা করবো।

এদিকে সাধনপুরের কলিমদ্দিকে সেরাতে গ্রামে যেতে মানা করলেও তা শোনেনি কলিমদ্দি। রাতেই সে সাধনপুর ফিরে গিয়ে গ্রামবাসীকে জানালো সবকথা। শোভন যা যা বলেছে সবকিছু খুলে বললো।

সাধুবাবার কারণেই এসব হচ্ছে জানতে পেরে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠলো গ্রামবাসী। সবারই কোন না কোন প্রানী হত্যা করেছে সাধুটি। সবচেয়ে বেশি উত্তেজিত দেখা গেল শুভর বাবা সমীর সেনকে । পুত্র হারিয়ে শোকে মূহ্যমান হয়ে পড়েছিল সে।

উত্তেজিত জনতা সেরাতেই লাটি সোটা, সড়কি বল্লম ও মশাল নিয়ে সাধুবাবার আস্তানায় হামলা করার জন্য প্রস্তুত হতে লাগলো। সাধুবাবাকে সামনে পেলেই খুন করে ফেলবে। গ্রামের লোকজন সাধুবাবার আস্তানা পুকুরপাড়ের বটগাছের কাছাকাছি আসতে আসতে হঠাৎ প্রচন্ড বেগে বাতাস বইতে শুরু করলো। বাতাসের তোড়ে গ্রামবাসীদের হাতে থাকা মশাল নিভে গেল। দুয়েকজনের হাতে টর্চলাইট ছিল। সেটার আলোতে সামনে অগ্রসর হচ্ছিল তারা। বাতাসের বেগ ধীরে ধীরে বাড়ছে। এবার শুরু হলো বজ্রপাত। এমন জোরে বাজ পড়ছে মনে হলো কানের পর্দা ফেটে যাবে। আকাশে বজ্রের লেলিহান শিখা লকলক করছে সাপের জিহ্বার মত। হঠাৎ করে পরিস্কার আকাশে দমকা হাওয়া ও বজ্রপাতের কারণে ভয় পেয়ে গেল লোকজন। তবুও তারা সাধুবাবার দিকে এগিয়ে যেতে থাকল। প্রচন্ড ক্রোধ চেপে গেছে সবার।
সাধুবাবার আস্তানার কাছাকাছি পৌছতে হঠাৎ কোত্থেকে এক ঝাক বৃহদাকৃতির কুকুর গ্রামবাসীদের ঘিরে ধরে ঘেউ ঘেউ করা শুরু করলো।

হঠাৎ কুকুরের আক্রমনে ভীত হয়ে পড়লো সবাই। কোথা থেকে কুকুরগুলি আসলো কেউ বুঝতে পারলোনা। এতবড় বড় কুকুর কেউ কোনদিন দেখেনি। সবাই একজায়গায় জড়ো হয়ে ঠকঠক করে কাপতে লাগল। এদিকে প্রচন্ড বাতাসের মাঝেও সাধুবাবার সামনে জ্বালানো আগুন আরো দাউদাউ করে জ্বলছে। আগুনের শিখা লকলকিয়ে বটগাছের ডাল স্পর্শ করতে চাইছে যেন। সাধুবাবা নিজ আসন থেকে উঠে দাড়ালো। তারপর সমাগত জনতার দিকে ফিরে আকাশ বাতাস কাপিয়ে ভয়ানক স্বরে হা হা হা করে হাসতে লাগলো সে। তার হাসির দমকে বাতাসের গতিবেগ যেন আরো বেড়ে উঠছে। তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বজ্রপাতের উজ্জ্বলতা ও শব্দ। মনে হলো দুনিয়ার বুকে যেন কেয়ামত নেমে এসেছে।

সাধুবাবা চিৎকার করে বলতে লাগলো- তোরা আমাকে মারতে এসেছিস তাইনা। আমি প্রেত সাধনার সব্বোর্চ শিখড়ে উঠতে যাচ্ছি। আমি এখন ম্যাগাস স্থরে আছি। আগামীকাল অমাবস্যার রাত্রে আমি শয়তানের প্রিয়পাত্র হয়ে উঠে যাবো ইপসিসিমাস স্থরে। দুনিয়ার কোন শক্তিই তখন আমাকে ঠেকাতে পারবেনা। আর যে পুঁচকে ছোকরা আমাকে ঠেকানোর পরিকল্পনা করছে তার শক্তি কতটুকু আমি জানি। সে একজন সাধারণ ম্যাজিস্টার টেম্পলি। তার সাধ্য নেই আমাকে রুখতে পারে। আমি তাকে ধ্বংস করে দেব। তারপর তোদের এই গ্রাম জ্বালিয়ে পুড়িয়ে খাক করে দেব। তোদের আজ শেষবারের মত ছেড়ে দিচ্ছি। এটাই তোদের শেষ দিন। যা মুত্যুর জন্য প্রস্তুত হ।
এই বলে হা হা হা করে হাসতে লাগলো সাধুরুপী প্রেত সাধক।

সাধুর কথার মাথামুন্ডু বুঝতে পারলোনা কেউ। তবে সবাই এটা বুঝল তাদের উপর মারাত্মক কোন বিপদ ঘনিয়ে আসছে। সাধু আবার ধ্যানে বসে গেল। কুকুরগুলি সাধুর চারপাশে গিয়ে দাড়ালো। বাতাসের গতিবেগ আরো বাড়ছে। বড় বড় গাছের ডালপালা মটমট করে ভাঙ্গতে লাগলো। সুপারী গাছগুলো নুয়ে পড়ে মাটির সাথে লেগে লেগে যাচ্ছে। কয়েকটা গাছ একেবারে গোড়া থেকে শিকড় শুদ্ধ উপড়ে এলো। এমন ভয়ংকর বজ্রপাত আর তুফান এই এলাকার লোকজন জীবনেও দেখেনি।

অবস্থা বেগতিক দেখে লোকজন বাড়ির পথ ধরল। সবাই যার যার খোদাকেই ডাকছে। বাড়ি ফিরে গ্রামের পুরুষেরা শোভনের বাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। শোভনের কথা না শুনেই তাদের এই অবস্থা হয়েছে। এখন শোভনই পারে তাদের এই বিপদদ থেকে উদ্ধার করতে।

সাধনপুরে প্রচন্ড বেগে বাতাস ও বজ্রপাত হলেও শোভনদের সরল গ্রামে তার কিছুই হচ্ছেনা। তবে তারা দেখতে পাচ্ছে বাতাসের তান্ডব। শোভন বুঝতে পারলো সাধুবাবাই এসব ঘটাচ্ছে। শোভনদের বসার ঘরে অনেক লোকজন। তারা ভাবছে কী থেকে কী হয়ে গেল। কলিমদ্দিকে নিষেধ করার পরও সে শোভনের কথা শোনেনি। গ্রামবাসীরা নিজেদের মধ্যে এ নিয়ে আলাপ করছে। শোভনও ভাবছে কিভাবে এই প্রেতসাধককে ঠেকানো যায়। এসময় সাধনপুরের লোকজন প্রবেশ করলো সেখানে। সবার ভয়ার্ত চেহেরা। কয়েকজন থরথর করে কাঁপছে এখনও। কারও মুখে কোন কথা নেই। ভয়ে আতংকে সবাই বাকরুদ্ধ। শোভন তার সেই পবিত্র পানির বোতলটি বের করল। তারপর ছিটিয়ে দিল সবার গায়ে। পবিত্র পানির ছিটা গায়ে লাগতে লোকগুলোর যেন হুঁশ ফিরে এল। কেউ কেউ হিস্টিরিয়াগ্রস্থ লোকের মত চিৎকার দিয়ে উঠলো। কেউ কান্না করছে। সরল গ্রামের লোকদের মুখেও কথা নেই।

শোভনই প্রথম কথা বলল-
আমি সব বুঝতে পেরেছি। যা হওয়ার হয়েছে। তোমরা কেউ আমাকে পুরো ঘটনা বল। কলিমদ্দি এগিয়ে আসল। সেই বলল সবকিছু। সাধুর ভয়ানক আচরণ আর হুমকির কথা শুনে শোভনের মুখও কালো হয়ে গেল।

তারমানে সে আমার সম্পর্কেও সবকিছু জানে। তাকে আমি ম্যাজিষ্টার টেম্পলি মনে করেছিলাম। কিন্তু শুভকে শয়তানের উদ্দেশ্যে বলি দিয়ে সে ম্যাগাস স্তরে উঠে গেছে। আমি যে ম্যাজিষ্টার টেম্পলি সেটা সে কিভাবে জানল আমি জানিনা। তার সাথে থাকা দুষ্ট আত্মারা হয়তো তাকে আমার ব্যাপারে জানিয়েছে। চাইলে আমিও ম্যাগাস স্তরে উঠতে পারতাম। তবে নরবলী দিতে চাইনি বলে আমি সে স্তরে উঠতে পারিনি। যা হোক সে এখন সর্ব্বোচ্চ ক্ষমতার চুড়ায় উঠতে চায়। একজন কুমারী মেয়েকে শয়তানের উদ্দেশ্যে বলী দিতে পারলে সে সর্ব্বোচ্চ ক্ষমতার মালিক বনে যাবে। তখন আমি দুরেরে থাক, দুনিয়ার কেউ তার সাথে লড়াই করে জিততে পারবেনা।

সাধুর কথার মত শোভনের কথাগুলোও কেউ বুঝতে পারলোনা। তারা জানতেও চাইলোনা ম্যাগাস, ইপসিসিমাস এসব কী! গ্রামের সবচেয়ে প্রবীন ব্যাক্তি নুরুজ্জমা এগিয়ে এলেরন শোভনের কাছে। বললেন- বাবা আমরা এসব বুঝিনা, বুঝতেও চাইনা। তুমি যেভাবে পারো আমাদেরকে ঐ শয়তানটার হাত থেকে বাচাও।

শোভন বললো- সে গ্রামের কোন কুমারী মেয়েকে অপহরণ করতে পারে শয়তানের নিকট বলী দেয়ার জন্য। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সে যেন কোন কুমারী মেয়েকে তুলে নিয়ে যেতে না পারে। আমি সবাইকে পবিত্র পানি দিচ্ছি। আগামীকাল সূর্য ডোবার আগে এই পানিগুলো অারো পানির সাথে মিশিয়ে আপনারা ঘরের ভিতরে, চারপাশে এবং উঠানে ছিটাবেন। আর সবাইকে চারটা করে পেরেক দেব। এই পেরেকগুলো ঘরের চারপাশে পুতে দেবেন। তারপর সবাইকে মন্ত্রপুত সুতা দেব। সন্ধ্যা হওয়ার আগেই সবাই যারা যার ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দরজার হুকের সাথে মন্ত্রপুত সুতা জড়িয়ে দেবেন। বাইরে ঝড় ঝঞ্জা যাই হোক সকাল হওয়ার আগে কেউ ঘর থেকে বের হবেননা। কেউ ডাকলেও না। এমনকি আমি ডাকলেও না। বাইরে অনেক শব্দ শুনতে পাবেন। যাই ঘটুকনা কেন, কেউই দরজা খুলে বের হবেননা। সবাই যার যার ধর্মীয় রীতি অনুসারে সৃষ্টিকর্তাকে ডাকবেন। নামাজ পড়বেন। কোরআন পড়বেন। হিন্দুরা পুজা অর্চনা করবেন। সবাই সাবধান থাকবেন। বাকি যা করার আমি করবো।

পরের দিন সূর্য ডোবার আগে সবাই শোভনের কথামত ঘরে ঢুকে গেল। শোভন প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রেত সাধকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের তার গুরুর কাছ থেকে সে এই বিষয়ে অনেক কিছুই শিখেছে। তার সাথে নিয়ে আনা ব্যাগে অনেক কিছুই রয়েছে। সে তার ব্যাগগুলো থেকে একটা বড় ব্যাগ নিয়ে উঠানে গেল। সেখানে বিরাট এক পেন্টাকল আঁকলো। তার প্রতিটি কোনায় জ্বালিয়ে দিল একটা করে মোমবাতি। ভিতরে ছোট ছোট বাটিতে রাখলো পবিত্র পানি। তারপর পেন্টাকলের প্রতিটি ঘরে রাখলো ঘোড়ার নাল, রসুন এবং হিং। তারপর সে একহাতে একটা পবিত্র ছুরি নিয়ে বসে পড়লো পেন্টাকলের ঠিক মাঝখানে।

এদিকে সাধুরুপী প্রেত সাধু তার আস্তানা ছেড়ে বেড়িয়ে পড়লো। সে প্রচন্ড দ্রুততায় ঘুরে বেড়াচ্ছে সারা গ্রামে। কিন্তু গ্রামবাসীদের গড়ে তোলা প্রতিরোধের কারণে সে কারও ঘরে ঢুকতে পারলোনা। সাধু একে একে প্রত্যেকের দরজায় গেল। তাদের নাম ধরে ডাকল। এমনকি অবিকল শোভনের গলার স্বর নকল করে ডাকলো। কিন্তু কেউই দরজা খুললনা। উম্মাদ হয়ে পড়লো প্রেত সাধক। আজ কুমারী মেয়ে বলী দিতে না পারলে তার লক্ষ্য পূরণ হবেনা। যে করেই হোক একটা কুমারী মেয়ে তার চাইই চাই। সাধু এখন মাটি ছেড়ে উঠে পড়েছে আকাশে। উড়ে বেড়াতে লাগলো গ্রামের উপর দিয়ে। সারা গ্রামে শুরু হলো গতকালের মতই তান্ডবলীলা। সাধুর ইশারায় তার জ্বালানো আগুন ছড়িয়ে পড়তে লাগলো চারদিকে। পুড়তে লাগল গাছপালা। তবে কারও বাড়িঘরে সেই আগুন স্পর্শ করলোনা।

সাধু কুমারী মেয়ে পেতে ব্যর্থ হয়ে এবার ছুটে এলো সরল গ্রামে। সেখানেও শুরু হলো একই রকম তান্ডব। আকাশে উড়তে উড়তে সে নিচে তাকিয়ে দেখতে পেল শোভনকে। নিমেষেই সে নিচে নেমে এল।

সাধুর আগমন টের পেয়ে শোভন জোরে জোরে দোয়া দরুদ পড়তে শুরু করলো। ছুরিটা বুকে চেপে ধরে আছে। এটা তার গুরুর পক্ষ থেকে উপহার দেয়া ছুরি। যুগে যুগে বহু প্রেত সাধকের বিনাশ সাধন করে ছুরিটি আজ শোভনের হাতে এসে পৌঁছেচে। সাধু শোভনের সামনে পেন্টাকলের বাইরে এসে দাড়ালো। শোভন তার দিকে তাকাচ্ছেনা। জানে একবার তাকালেই তার আত্মা চুরি করে নেবে প্রেত সাধক। সেক্ষেত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা কোন কাজে আসবেনা।

প্রেতসাধক ডাক দিলো- শোভন, আমার দিকে তাকাও, আমাকে চিনতে পারো? গলার আওয়াজ শুনে অবাক হলো শোভন। এটা তার খুব প্রিয় একজন মানুষের গলা। এটা কিভাবে হয়। না, এটা হতে পারেনা। আবার গমগমে গলায় ডাক দিল প্রেত সাধক- তুমি আমার সাধনা বানচাল করার চেষ্টা করছো। আগে আমি তোমাকে শেষ করবো। তারপর অন্য গ্রাম থেকে কুমারী মেয়ে এনে শয়তানের উদ্দেশ্যে বলী দিয়ে আমি এই পৃথিবীর সবচাইতে শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান মানুষে পরিণত হবো।

সাধু নিজ জায়গায় দাড়িয়ে ঘুরতে ঘুরতে লাগলো। ঘুরতে ঘুরতে সাধু এক প্রচন্ড ঘূর্নিতে রুপ লাভ করলো। সে পেন্টাকলের চারদিকে ঘুরছে। এদিকে প্রচন্ড বেগে বয়ে যাচ্ছে বাতাস আর আগুনের হল্কা। পেন্টাকলের চারদিকে জড়ো হলো অসংখ্য কুকুর। তারাও চাইছে পেন্টাকলের ভিতর ঢুকে শোভনকে আক্রমন করতে। শোভন জোরে জোরে দোয়া ও কোরআনের আয়াত পড়তে লাগলো। এ দিকে সাধু ঘূর্নি হয়ে আরো জোরে ঘুরে ঘুরে পেন্টাকলে ঢুকতে চাইছে। পেন্টাকলের মোমবাতিগুলো নিভু নিভু অবস্থা। শোভনের এবার ভয় করতে লাগলো। সে মাথা উচু করে চাইলো সাধুর দিকে। এতক্ষন বাইরের অবস্থা দেখেনি সে। পেন্টাকলের বাইরের লন্ডভন্ড অবস্থা দেখে তার অন্তরাত্মা কেঁপে গেল। সে প্রচন্ড ভয় পেয়ে পিছু হঠতে গিয়ে একটা পবিত্র পানির পেয়ালা উল্টিয়ে ফেলল। মুছে গেল। পেন্টাকলের একাংশ। সেটা দেখেই হা হা হা করে ভয়ংকর শব্দে হেসে উঠলো সাধু। তারপর তার নিজ রুপে ফিরে এসে ঢুকে পড়লো পেন্টাকলের ভেতর।

সাধু পেন্টাকলে ঢুকে শোভনকে ধরতে উদ্যত হলো। শোভনও কাল বিলম্ব না করে হাতের পবিত্র ছুরি বসিয়ে দিলে প্রেত সাধকের বুকে।
এক ভয়ংকর চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লো সাধু। তারপর ছটফট করতে করতে মারা গেল।

শান্ত হয়ে এলো পরিবেশ। সবকিছুই এখন স্বাভাবিক। পুবাকাশে সূর্য উঠছে। নতুন দিনের নতুর সূর্য। তার আলোয় দুর হয়ে যাবে অশুভ অন্ধকার।

লোকজন বের হয়ে আসছে ঘর থেকে। শোভনকে সবাই ধন্যবাদ জানাতে লাগলো এতবড় বিপদ থেকে সবাইকে বাচানোর জন্য।

শোভন উপুড় হয়ে থাকা সাধুকে চিৎ করলো। সাধুর চেহারা দেখে চমকে উঠলো সে। রাতেই সাধুর গলার আওয়াজ শুনে তার সন্দেহ হয়েছিল। সাধুরুপে এ যে তার প্রিয় ড. আমজাদ আলী স্যার।
]
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৫৬
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×