আমি এখানে ধারাবাহিক ভাবে ৩৫৯ টি আমের বর্ননা বিশদভাবে (জন্ম কথা, খাদ্যমান, রং, আকার, চামড়া, আঠিঁ, গাছ, পাতা, গড় ওজন, পাকার সময় ইত্যাদি) তুলে ধরবো। সাথেই থকুন আর নো মেন্ট প্লিজ বাট সাজেশন।
আজকের বিষয়ঃ ক্ষিরসাপাত
এই আমটিও বাংলাদেশের অতি উৎকৃষ্ট শ্রেনীর আমের জাতসমূহের একটি। অভিজাত শ্রেণীর এই আমটি আশু বা আগাম জাতের। স্বাদে ও গন্ধে অতুলনীয় এই ক্ষিরসাপাত।
মে মাসের শেষ সপ্তাহে থেকে পাকা শুরু হয় এবং দীর্ঘ দেড় মাস পর্যন্ত বাজারে পাওয়া যায়। আমটির আকৃতি মাঝারি, গোলাকার দেখতে। ফলটির গড় ওজন ২৬৩.৯ গ্রাম। আমটির বোটা মোটা এবং শক্ত। গা মসৃণ, পাকার পর নিন্মাংশ সবুজ থেকে যায়। বোটার আশেপাশে হলুদ রাং ধারণ করে। আশবিহীন এই আমটির শাসের রং হলুদ। ফলটির খোসা সামান্য মোটা। খোসা ছাড়ালে এমনিতেই শাস আটি থেকে বেড়িয়ে আসে। ফলটি সুগন্ধযুক্ত ও রসাল, বেশ মিষ্টি। গড় মিষ্টতা ১৮.৪ %। এর আহারোপযোগী অংশ শতকরা ৬৭.২ খাড়। ফলটি গাছ থেকে সংগ্রহের পর পাকতে ৬-৮ দিন সময় লাগে। ক্ষিরাসাপাতরে ফলন খুবই ভাল, তবে অনিয়মিত। ফল পাকতে (মুকুল আসা থেকে) প্রায় চার মাস সময় নেয়। ক্ষিরসাপাত বাণিজ্যিকভাবে অত্যন্ত সফল একটি আম। পাবনা অঞ্চলে এই আমটির নাম ভতোবোম্বাই। ঢাকা অঞ্চলে এই আমটি হিমসাগর নামে অত্যন্ত সুপরিচিত। যদিও হিমসাগর নামে আমের একটি উৎকৃষ্ট জাত রয়েছে। বৃহত্তর রাজশাহী জেলার সব অঞ্চলেই ক্ষিরাসাপাত প্রচুর পরিমণে জন্মে থাকে। ২০১০ সালের ভরা মৌসুমে রাজশাহীতে ক্ষিরসাপাত প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বাংলাদেশের প্রায় সকল জেলাতেই আমটির প্রচুর চাহিদা রয়েছে। রাজশাহী শহরে এক সমীক্ষঅয় দেখা গেছে মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা এই আমটি বেশি পছন্দ করে থাকে।
তথ্য গুলো "ফজলি.কম " খেকে সংগ্রহ করা । পোষ্ট টি ছবি ও ভিডিও সহকারে জানতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন
বিষয় ভিত্তিক ট্যাগ: আম , Mango , Mango Rajshahi, Mango Bd
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:০৭