somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খেলার সমর্থন ও বাজারের নর্তকীর প্রেমে হাবুডুবু খাওয়া

২৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শেষ হতে চলেছে বিশ্বকাপ ক্রিকেট। চমৎকার একটা আয়োজনের চমৎকার একটা অংশ ছিলো আমাদের দেশ। কাল আবার হাই ভোল্টেজ ম্যাচ। ভারত-পাকিস্থান। আমার চারপাশে এই দুটি দেশের মারদাঙ্গা সমর্থকদের উল্লাসে এবং উৎসাহে পাকিস্থান বা ভারত চলে যেতে ইচ্ছে করছে। আমি মোটামুটি নিশ্চিত অন্তত তাদের উল্লাস আমার গায়ে জ্বালা ধরাবে না। কারন তারা যে উদ্দীপনা দেখাবে কালকের ম্যাচ ঘিরে তা তাদের নিজেদের দেশ বলে। আমাদের মত অন্য দেশের জন্যে জান কুরবান সিচু্য়েশনে তারা নেই। আমরা বোধহয় একটু বেশীই সমর্থন পারঙ্গম জাতি। যার প্রমান আমরা রাখি ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হলেও। তখন গোটা দেশ জুড়ে যত আর্জেন্টিনা ব্রাজিলের পতাকা উড়ে আমার দৃঢ় বিশ্বাস খোদ আর্জেন্টিনা ব্রাজিল মিলেও এতো পতাকা ওড়াতে পারে না। এবার আসি আমার লেখার মূল উদ্দেশ্যে। আর সেটা হলো আমরা বোধহয় সমর্থনের যায়গা থেকে একটু বাড়াবাড়িই করে থাকি। কিংবা ক্ষেত্র বিশেষে একটু বেশীই বাড়াবাড়ি করে থাকি। খেলাটা একটা বিনোদনের মত। আমাদের মত দর্শকদের বিনোদিত করার জন্যে খেলা। কেবল মাত্র যদি খেলাটায় অংশগ্রহনকারী দল নিজের দেশের হয়ে থাকে তখনই কেবল উন্মাদনাকে অনুমতি দেয়া যায়। কিংবা এই ক্ষেত্রে উৎসাহ উদ্দিপনা বেশী থাকাই উচিত। কিন্তু এমন যদি হয় খেলায় অংশ নেয়া কোন দেশই আমার নয় সেক্ষেত্রে আমার মনে হয় সমর্থকদের একটা সীমারেখার মধ্যে দাড়িয়ে সমর্থন করা উচিৎ। কেননা খেলাটা তখন শুধুমাত্র তার জন্যে আনন্দ গ্রহন করা বা বিনোদিত হবার একটি উপায় ছাড়া আর কিছুই নয়। মনে রাখতে হবে, আমরা খেলা দেখে বিনোদন গ্রহন করবো। আমরা এমন কিছু করবো না যেটা আক্ষরিক অর্থেই বাড়াবাড়ি। এই বাড়াবাড়ির রকমটা উদাহরন দিয়ে বোঝাতে চাইলে বলতে হয় আমরা পাকিস্থানের ম্যাচটার সময় যা করলাম তাই। অথবা ভারতকে নিয়ে যা করি মাঠে ঘাটে তাই। অখবা ব্রাজিল আর্জেন্টিনাকে নিয়ে যা করি তাই। ব্যাপারটা বাজারের নর্তকীর প্রেমে পড়ার সাথে তুলনা করতে বাধ্য হচ্ছি। কিছুটা নিষ্ঠুরতা আনতেই এই উপমা ব্যাবহার। বাজারের যে নর্তকীটি নাচে তার নাচ দেখে আমোদিত হওয়া যায়, একটু চিৎকার করে উচ্ছাস প্রকাশ করা যায়, কিন্তু তার প্রেমে পড়ে মগ্ন হওয়া যায় না। অন্তত সমাজ তাকে ভালো ভাবে দেখে না। খেলাটাও এমন। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার খেলা আমাদের জন্যে স্রেফ খেলা। আর কিছুই না। এর জন্যে ব্রাজিল আর্জেন্টিনাকে মাথায় তুলে রাখার কোন প্রয়োজন নেই। ভারত পাকিস্থান ও একই। আপনি যদি এই ক্ষেত্রে যুক্তি দেন ভারত পাকিস্থানেরর কথা বলে আমি রাজনীতি আর খেলাকে এক করছি তাহলে আমি বোঝাতে ব্যার্থ। আমার অনুভুতিটি হচ্ছে আমাদের সমর্থনের সীমা সম্পর্কে সচেতনতা। আমরা কেন তাদের পতাকা বুকে একে নিজেকে ছোট করবো। তারা আমদের আনন্দ দেয়ার জন্যে খেলছে। ব্যাস এটুকুই। আমি খেলায় সাময়িক উত্তেজনা পাবার জন্যে যেকোন একদলকে সমর্থন করতে পারি। মাঠে গিয়ে সমর্থনও জানাতে পারি। কিন্তু বুকে-মনে-প্রানে বিশ্বাসে স্থান দেয়ার কোন মানে হয়??? জান প্রান উজার করে ভীনদেশী দলকে সমর্থন করার কি মানে? এই সমর্থন করার সীমাটি একসময় অসুস্থতা পরিনত হয়। নিজের দেশের সাথে পাকিস্থান ভারতের খেলায় আমি এই ধরনের কিছু উগ্র সমর্থককে কষ্ট পেতে দেখেছি বাংলাদেশ জিতে যাওয়ায়!!!! এর মানে কি??? আমরা কি সমর্থন করার জোয়ারে নিজেদের সম্মানটি, নিজ দেশের সম্মানটি ভুলে যাবো????
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×