চতুর্থ পর্ব:http://www.somewhereinblog.net/blog/nolderchar/30172028
পঞ্চম পর্ব
নির্বাচনী ইশতেহার(যে আইন বিধি-বিধান আমরা রাজনৈতিক দল/সংসদকে দিয়ে করাতে চাই)
আইন ও বিচার
১১. কেউ কাউকে হত্যা চেষ্টা/শারিরীকভাবে আঘাত করার অভিযোগে অভিযুক্ত হলে সেক্ষেত্রে মেশিন নিয়ন্ত্রিত বেত্রাঘাতের শাস্তি চালু করতে হবে অথবা মানসিক হাসপাতালে শাস্তি খাটাতে হবে।
১২. কোর্টের সমন পেয়ে যদি কেউ হাজির না হয়ে পলাতক থাকে, তার সমস্ত সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে। শাস্তি পাওয়া আসামী(মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী এটা পাবে না) বিদেশে চিকিৎসা নিতে গিয়ে ফেরত না আসলে তার বা তার জামিনদারের সমস্ত সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকুলে বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে।
১৩. শাস্তি হিসেবে আর্থিক জরিমানার(বিচার ব্যাবস্থার কমপক্ষে অর্ধেক খরচ অপরাধীদের জরিমানা করে তুলে আনতে হবে) ক্ষেত্রে গাণিতিক সূত্র চালু করা। যেমন গণপরিবহনে ধুমপান করলে মাথাপিছু আয় বর্তমানে ১৩০০ ডলার এর ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন জরিমানা ৫০০/- । যখন মাথাপিছু আয় ৬৫০০ ডলার হবে তখন এটি হবে ২৫০০টাকা হবে। তাহলে আর ঘনঘন সংসদ বা মন্ত্রি পরিষদের বৈঠকে এইসব ক্ষুদ্র বিষয় নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন হবে না। প্রতিটি আইন /বিধি/ধারা তৈরির সময় এর মেয়াদউত্তীর্ণের তারিখ বেঁধে দেওয়া। আইনের জনমত জাচাই এর সময় এর ভূল বা দূর্বলতা বের করতে পারলে পুরষ্কার দেওয়া।
১৪. প্রতিটি বিভাগীয় শহরে হাইকোটের একটি বেঞ্চ চালু করা। জেলা জজ আদালতে কোন মামলার বয়স ৩ মাস হলেই ঐ মামলা বিভাগীয় শহরের হাইকোর্টে চলে আসবে। হাইকোর্টে কোন জামিনের শুনানী চলবে না জেলার আদালতগুলোই এর শুনানী করবে । উচ্চ আদালতের সকল বিচার প্রক্রিয়া বাংলায় চালনা করতে হবে ।প্রতিটি মামলার রায়ের সর্বোচ্চ সময়সীমা নির্ধারণ করা। কোর্টে দাখিল হওয়া মামলার সিরিয়াল প্রধান বিচারপতি অনুমোদন ছাড়া সরকার আগে –পিছে নিতে পারবে না ।
১৫. বিচার ব্যাবস্থার ভূল/ত্রুটির কারনে কোন ব্যক্তি বিনা দোষে সাজা প্রাপ্ত হলে/জেল খাটলে ঐ ব্যাক্তিকে রাষ্ট্র তার যোগ্যতা অনূযায়ী তার নষ্ট হওয়া কর্মঘন্টার মূল্য পরিশোধ করতে বাধ্য থাকবে এবং রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নির্বাহী/প্রধান বিচারপতি ঐ ব্যাক্তির নিকট ক্ষমা চাইবে । বিচার ব্যবস্থা স্বচ্ছ ও গতিশীল হলে এরকম ১/২% ভূল গ্রহণযোগ্য।
১৬. জেলার আদালত গুলোর রায়ের সঠিকতার মাত্রা,বিচারকদের স্বক্ষ্যমতা বিশ্লেষণ করার জন্য আইনের অধ্যাপক/ বিচারপতিদের দিয়ে মূল্যায়ন কমিটি গঠন করা। এই কমিটির রিপোর্টের ভিক্তিতে সুপ্রীমকোর্ট একক ক্ষমতা বলে বিচারকদের নিয়োগ/বদলি/অপসারণ/পদোন্নতি করবে।
১৭. টানা ১/২ মাস কোর্ট বন্ধ রাখার ব্রিটীশ প্রথা বন্ধ করা। একজন বিচারক দীর্ঘ মেয়াদে ছুটিতে যেতেই পারেন কিন্তু পুরো বিচার ব্যাবস্থা নয়। আমেরিকা ও সিংঈাপুর(বেত্রাঘাত শাস্তি আছে এখানে) আমাদের মত ব্রিটীশদের থেকে স্বাধীন হয়েছে তারা কতটা ব্রিটীশ প্রথা/আইন চালু রেখেছে?
১৮. নারী উত্যক্তকারী,পেশাদার চোর, সীমান্তে চোরাচালানে যুক্ত,মাদকসেবী ও বখাটে ইত্যাদি প্রকারের অপরাধ প্রবণ ব্যাক্তিদের(অভিযোগের ভিক্তিতে) সপ্তাহে/মাসে একবার নিকটস্থ থানায় হাজির হয়ে রেজিষ্টারে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা।
১৯. ফৌজদারী/হত্যাকান্ডের মামলায় কোন বিবাদীকে অন্তবর্তী জামিনের শর্তে রেডিও ট্যাগ পরতে বাধ্য করা। যাতে পুলিশের ঐ সন্দেহভাজন ব্যাক্তির উপর নজর রাখা সহজ হয়। ফৌজদারী কোন মামলার সালিস গ্রাম আদালত করতে পারবে না। অন্তবর্তী জামিন পাওয়া কোন ব্যাক্তি বাদীর কোন ক্ষতি করলে এর দায়ভার জামিন দেওয়া বিচারককে নিতে হবে। বিচারকেরা তাদের শপথের বরখেলাপ করলে শাস্তি হবে সাধারন চাকুরীজীবীদের তুলনায় দ্বিগুণ।
২০. মামলার প্রতি শুনানিতে হাজির হওয়া বাদীর ও স্বাক্ষীর সমস্ত খরচ(কর্মঘন্টার মুল্য+যাতায়াত+আপ্যায়ন) রাষ্ট্যকে বহন করতে হবে। এতে রাষ্ট্যের উপর মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির চাপ তেরি হবে। বিবাদী যদি নিরাপরাধ প্রমাণিত হয় সেক্ষেত্রে বিচারক বাদীকে জরিমানা করে বিবাদীর নষ্ট হওয়া কর্মঘন্টার মুল্য পরিশোধ করবে।
২১. খরচ কমাতে এবং দ্রুতগতিতে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতে ফায়ারিং স্কোয়াডে/ইনজেকশনে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা। অবৈধ মাদক চোরাচালান এবং খাদ্যে ভেজালের দায়ে মৃত্যুদন্ড চালু করা। ঘুষ গ্রহণ এবং প্রদানকারী উভয়কে সমান শাস্তির আওতায় আনা। জেলে এস.এস.সি পাসের উপরে ও নিচের কয়েদিদের আলাদা ভাবে রাখতে হবে ।
২২. আইনের ধারাগুলোকে সফটওয়ারের এর আওয়াতায় নিয়ে আসতে হবে। যাতে একজন বিচারক দ্রুতগতিতে ডিকসনারিতে শব্দার্থ খোঁজার মত দ্রুত আইনের বাখ্যা পেতে পারে। এতে একই আইনী ধারার ভিন্ন-ভিন্ন বাখ্যা বন্ধ করা যাবে। ভবিষৎ নাগরিকদের দেশে প্রচলিত আইন সর্ম্পকে ধারণা দেওয়ার জন্য হাইস্কুল/কলেজে ১বছরের একটি বিষয় থকতে পারে।
২৩. দলীয় সরকারের মামলা প্রত্যাহার,সাধারণ ক্ষমার এবং রাষ্ট্যপতির প্রাণভীক্ষ্যার ক্ষমতা বাতিল করা। আয়কর প্রদানকারীদের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি- অবসর নেওয়া প্রধান বিচারপতি ও আইনের অধ্যাপকদের দিয়ে একটি কমিটি(৫/১০জনের) গঠন করবে যারা মামলা প্রত্যাহার,সাধারণ ক্ষমার(এক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের/বাদীর ক্ষমা স্বাপেক্ষ্যে) ও প্রাণভীক্ষ্যার(এক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের/বাদীর ক্ষমা স্বাপেক্ষ্যে) আবেদন পর্যালোচনার করবে। ।শুধুমাত্র আয়কর দাতাদের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি এই কমিটিকে নিয়োগ/বদলি/অপসারণ/পদোন্নতি /পূর্ণগঠন করতে পারবে।
২৪. বাদী যদি ই-মেল/চিঠির মাধ্যমে বিবাদীকে মামলা করার কারন অবহিত করে এবং সে সংক্রান্ত প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করে সেটা প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করা। উকিল নোটিশ পাঠানোর প্রথা বাতিল করা।
২৫. রাষ্ট্যপতি ,প্রধান বিচারপতি/বিচারপতি,সিনিয়র সচিব/সচিব,নিরাপত্তা বাহিনী গুলোর প্রধানের পদ থেকে অবসর নেত্তয়া কোন ব্যাক্তিকে রাষ্ট্রপতির অনুমতি ছাড়া সরকার অবসর নেওয়ার ৫ বছরের মধ্যে কোন পদে বসাতে পারবে না ।
২৬. বিচারকেরা তত্বাবধায়ক সরকারের মত রাজনৈতিক বিষয়ে এবং নিজেদের বেতন-ভাতা-আবাসন –পদমর্যাদা বা নিজেদের স্বার্থ জড়িত এরকম বিষয়ে কোন মামলা পরিচালনা করবে না। এসব বিষয়ে তারা রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হবেন।
২৭. প্রতি বছর কমপক্ষে ২০ লাখ মামলা নিষ্পত্তি করা। বাদী প্রমাণ করবে না যে সে ক্ষতিগ্রস্থ বা অন্যায়ের শিকার বরং বিবাদীকে প্রমাণ করতে হবে সে নিরপরাধ। মামলাজট ১ লাখের নিচে না আসা পর্যন্ত সপ্তাহে ছয়দিন সরকারী অফিস চালু রাখা।
এতে সদস্য হওয়ার ঠিকানা:https://www.facebook.com/groups/304183119755619/ এখানে আপনার ফেসবুক বন্ধুদের যুক্ত করার সহজ পদ্ধতি: Click This Link
চলবে..........................