somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাবার দৃষ্টিতে হতে পারে নাফিস নির্দোষ..কিন্তু মার্কিন সরকারের দৃষ্টিতে ??

১৯ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ধর্মান্ধতা শেষ করে দিল একটি ছেলের জীবন। কবে কখন কিভাবে এই ছেলেটি নিষিদ্ধ পথে পা দিয়েছে এই সম্পর্কে ধারনা করি তার বাবা-মা সম্পূর্ণ অজ্ঞ ছিল না হবে কখনোই বলতো না উনার ছেলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বুঝলাম না এই ভদ্রলোক কিসের ভিত্তিতে এই সময় এমন ধরনের মন্তব্য করলেন ? যেখানে ইতিমধ্যে সমগ্র মার্কিন যুক্তরাষ্টে বাঙালিদের দিকে সন্দেহের চোখে চাওয়া শুরু হয়ে গেছে, সেখানে কে এই নাসিফ ? কেন তার মত একটা নাসিফ কে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হবে ? ঠিক আছে উনার কথা, যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, তাহলে উনি বলছেন না কেন কে ষড়যন্ত্র করছে ? বাঙালি আতেল এটা একটা সুপরিচিত বিষয়, প্রশ্ন করতে চাই এই ভদ্রলোক কে, আপনি তো ন্যাশনাল ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট দেশে যখন আপনার ছেলে কলেজ বা ইউনিভার্সিটিতে অধ্যায়ন করেছে তখন কতক্ষন সময় আপনি আপনার ছেলের কাছে ছিলেন ? বা আপনার ছেলের অর্থনৈতিক চাহিদা ছাড়া আপনি আর কী কী খোজ খবর রেখেছিলেন ? উত্তর হবে খোজ খবর তেমন একটা রাখতে পারেননি আর সেই সুযোগে হতে পারে আপনার ছেলেটি ধর্মান্ধ হয়ে পড়েছিল। যার মূল্য একটা সমগ্র বাঙালি জাতিকে দিতে হতে পারে।



গত কালকের সারা পৃথিবীর একটি আলোচিত খবর গুলোর মধ্যে একটা ছিল যা নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত হয়েছিল Man Is Charged With Plotting to Bomb Federal Reserve Bank in Manhattan শিরোনামে। খবরটি পড়ে খুশি হওয়ার মত তেমন কোন যৌক্তিকতা খুজে পাইনি। কেননা বর্তমান বিশ্বের পরাশক্তি বা আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলোর ভাগ্য বিধাতা বলে যাদের কে আমরা বিশ্বাস করি সেই মার্কিন যুক্তরাষ্টের অন্যতম প্রধান একটি নিউজ পেপারের খবর ছিল এটি।


The man, Quazi Mohammad Rezwanul Ahsan Nafis, who arrived in the United States in January on a student visa, tried to make contacts and recruit people to form a terrorist cell to help him carry out an attack, according to a criminal complaint in the case. But one of these recruits was an F.B.I. informer, who later introduced him to an undercover F.B.I. agent who helped him with the plot.

Mr. Nafis was charged with conspiring to use weapons of mass destruction and providing material support to Al Qaeda. He could face up to life in prison if convicted.


The undercover agent began meeting with Mr. Nafis in July, first in Central Park and later in hotels in Queens, secretly recording Mr. Nafis’s statements. Mr. Nafis had grand but vague plans, according to the indictment. “I don’t want something that’s like, small. I just want something big,” he said, according to the complaint. “Very, very, very, very big, that will shake the whole country.”

He settled on the financial district as a target, hoping to shake the American economy. The original plan was for a suicide mission but that changed when Mr. Nafis said he wanted to go home to Bangladesh first to put his affairs in order. The undercover agent told Mr. Nafis that he could use a remote-control device, so that he could stage the attack and then return to Bangladesh.

নাফিস এর বিরুদ্ধে ফেডারেল কোর্টে জমা দেওয়া একুশ পৃষ্টার রিপোর্ট


দেখুন স্কিনশর্ট
বাকিটা নিচের লিংকে রয়েছে
New York Police Department as part of an elaborate sting operation, according to court papers. যা একুশ পৃষ্টার একটি প্রতিবেদন নিউয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত হয়েছে Criminal Complaint in Federal Reserve Bank Bombing Attempt শিরোনামে। এই সংবাদ রিলেটেড আরো কিছু আর্টিকেল নিউয়র্ক টাইমস প্রকাশ করেছে জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা নিয়ে দেখুন "লিঙ্ক


প্রিয় পাঠক, আমি নাফিস নিয়ে কোনও দলবাজি করছি না, হতে পারে নাফিস যখন বাংলাদেশে ছিল তখন ছাত্রলীগ, ছাত্রদল বা ছাত্রশিবির করেছে। আবার এমন হতে পারে সে কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মী ছিল না, কিন্তু গঠনার প্রাসঙ্গিকতা বুঝে নিয়ে যা মন্তব্য না করলেই নয় তা হলো এখন এমন পরিস্থিতিতে দাড়িয়েছি যে নাফিস এর এই গঠনার সাথে সমগ্র বাঙালি জাতির গায়ে কলঙ্কের কালিমা লেগে গেছে। যদিও এই কেলেঙ্কারি থেকে খুব সহজে আমাদের মুক্তি মিলছে না । এর খেসারত দিতে হতে পারে অনেক দিন ধরে, মার্কিন যুক্তরাস্টে প্রবাসী বাঙালিরা হবে এর প্রথম শিকার, দ্বিতীয় হতে পারে আমাদের অর্থনৈতিক ক্ষতি। যা ধর্মান্ধতা দিয়ে পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব না। এখন প্রশ্ন হল, যদি এমন কিছু সুরক্ষিত করার নিশ্চয়তা না পাওয়া যায় তাহলে এইসব তথাকথিত ধর্মান্ধতা দেখিয়ে লাভ কী ?


পরিশেষে বলতে চাই,একটা সময় আসবে যখন ইসলাম ধর্মের প্রভাব শেষ যাবে ধর্মান্ধতার কল্যাণে। আর তাই ইসলাম ধর্ম কে বাচাতে হলে ধর্মান্ধতা পরিত্যাগ করা ছাড়া বিকল্প নেই।

@সুলতান মির্জা।
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×