somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভাংগাদেশ

০১ লা মার্চ, ২০১২ ভোর ৪:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

"যদি ভেস্তে যাইতে চাও গো,
অন্তোরেতে রাইখো আল্লাহর নাম"

আমরা যারা বিদেশে থাকি,তাদের দেশে যাবার জন্যে যে কি পরিমানে সেই ফেলে আসা পিছুটান পিছু ডাকে-সেটা একমাত্র এই প্রবাসীরাই বলতে পারবো ।বুকের ভেতরে পাহাড়সম যন্ত্রনা নিয়ে প্রতিটা মুহুর্তের সাথে বসবাস ।এ যন্ত্রনা কিসের? কেউ হয়তো ফেলে এসেছে তার প্রিয় পরিবার।সেখানে আছে বাবা,মা,ভাই,বোন ।কেউ ফেলে এসেছে তার প্রিয় সবচেয়ে কাছের কোন এ বন্ধুকে,যার সাথে হয়তো কোন এক বটতলায় চা খেতে খেতে জীবনের সবচেয়ে গভীরতম বিষয় নিয়ে আলোচনা হত ।সেই মানুষটার অভাব কে পুরণ করবে,তাকে কাছে না পাবার শূন্যতায় ।আর জীবন নিয়েই বা সে আলোচনা করবে কার সাথে ?একটি সেলফোনই ভরসা ।ফোন রাখার শেষ মুহুর্তটায়-মায়ের শেষ কথাটা ....ভালো থাকিস বাবা?ভাই,বোনের শেষ কথাটা ....এই ঠিকমত খাওয়া দাওয়া করিস রে?আর প্রিযতম কিংবা প্রিযতমা? সে যে কি জ্বালা?শেষ কথাটা.... ভালো থেকো?আর বন্ধুর শেষ কথাটা,আর কি হে হবে দেখা?

দুর আকাশে দেখা যায় উড়ে স্বাধীন কোন পাখী কিংবা কখনও আলোর জলরাশিতে ছুড়ে ফেলা শুন্যতায় এই প্রবাসীর চোখের জলে সবকিছুকে বিদায় জানিয়ে শেষ কথাটা এ রকমই হয়,তোমরাও ভালো থেকো?
মা,বাবা,ভাই,বোন, বন্ধু,প্রিযতম কিংবা প্রিযতমা? আর সবমিলিয়ে বাকি থাকে দেশ।কারণ সবার অনুপস্হিতে তখন তার কাছে দেশটাই ভুমিকা পালন কবে কখনও মায়ের ,কখনও বাবার,কখনও ভাই আর বোনের ,কখনও বন্ধুর,কখনও প্রিযতম কিংবা প্রিযতমার ।সবকিছুর উর্ধ্বে চলে যায় দেশ ।
এমনিতেই অনিশ্চয়তায় প্রত্যেকটা মুহুর্ত ।তবুও ভাবা হয়, হয়তো সমস্ত কষ্টের পর পাওয়া শেষ ডলারটাই কোন না কোন ভাবে লেগে যাবে কারও না কারও কাছে ,সেটা যে কেউ হতে পারে-মা,বাবা,ভাই,বোন, বন্ধু,প্রিযতম কিংবা প্রিযতমা অথবা র্সবপরি দেশ ।

এর থেকে আর কিভাবে ভালোবাসা যায়,প্রবাসী কাররিই জানা নাই ।একটা চিত্র কল্পনা করা যেতে পারে,কোন একজন ডুকরে ডুকরে কাঁদছে,কিন্তু তার চোখ দিয়ে কোন জল পড়ছে না-গড়ে পড়ছে টপটপ করে রক্তবিন্দু ।

র্সবপরি দেশ ?কিন্তু এই কি প্রেমের পরিচয়?শেষ করে দেব একটা ফোন কলের শেষ কথা দিয়ে,সেখানে ভালো থাকা কিংবা ভালো করে খাওয়া দাওয়া করিস-এরকম কোন কথা হয়নি ।শেষ কথা ছিল,সাগর আর রুনির হত্যার রহস্য অজানাই থেকে যাবে ।আমার বুকটা আবার ফেটে যায় ।
খুব কষ্টে সময় বের করে টেলিভিশন সেটের সামনে বসি,না -বিশ্বাস করিনা?কিন্তু বিশ্বাস ক্রমশই ছোট হয়ে আসে ।অবিশ্বাসে অবাক হয়ে দেখি আসোলেই-শিরোনামে অন্যকিছু -সাগর আর রুনি আংশিক হয়ে গিয়েছে ।অনলাইন এ বসি ,পাগল হয়ে খুঁজতে থাকি সর্বশেষ "সাগর আর রুনি" দেখি ,ই-পেপারে হেডলাইন দখল করে নিয়েছে অতি সামান্যই অপ্রাসাংগিক অন্যকিছু ।সেখানেও সাগর আর রুনির অসামান্য বিচ্ছেদ ।

হায়রে দেশ! হায়রে সংবাদপত্র!হায়রে মিডিয়া!হায়রে সমস্ত অশিক্ষিত সাংবাদিক সমুহ!হায়রে সুশিল সমাজ!ধিক্কার তোমাদের।

ভাবছি আর দেশে যাবো না ।কেন যাবো?আরও ভাবছি ,কোথাও না কোথাও তো শেষ পর্যন্ত যেতেই হবে।তাই অনিশ্চয়তায় শেষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি ,এবার অন্য কোন বিদেশে গিয়ে অন্যরকম পরবাসি হয়ে যাবো।
সাগর আর রুনি-দেখা হচ্ছে বন্ধু,খুব শিঘ্রই ।আমরা একসাথে কোন এক বটতলায় চা খেতে খেতে জীবনের সবচেয়ে গভীরতম বিষয় নিয়ে আলোচনা করব ।

ভেস্তে যাবার মধ্যেই বুঝি সমস্ত আনন্দ ।সেটার প্রমান হয়ে গিয়েছে এই ভাংগাদেশে।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×