অচেনা একটা অনুভূতি হচ্ছে, না অচেনা নয়, অচেনা বলে অগ্রাহ্য করা একটা অনুভূতি। মনের গহীন কোণে যেখানে সমস্ত অযাচিত বোধকে লুকিয়ে রাখি সেখানে দ্বিধা দ্বাররক্ষক হয়ে চরম এক সত্যকে মনে করিয়ে দিচ্ছে, বলছে; বাস্তবে এই সংসারে যত কথাবার্তা হয় তা মানুষের মধ্যে হয় না, তাদের কোনো স্বার্থের মধ্যে হয়। নিজেদের স্বার্থপর কুৎসিত চেহারা কল্পনায়ও কি নিদারুন নির্মম!
শিথিল বিধিনিষেধের সৌজন্য পেরিয়ে স্বীকার করছি, সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে নিজের ইচ্ছাশক্তির সবটুকু ব্যয় করতে হয়েছে আমাকে। আসলে জীবনের 'নিষ্ঠুর অনিশ্চয়তা'র উপলব্ধির কারণে খুব ঘনিষ্ঠ লোকেরা একে অপরের কাছ থেকে অনেক কিছুই লুকায়। যদিও আমরা ঘনিষ্ঠ নই! এবং লোভাতুর যে দিবাস্বপ্ন মনে জায়গা করে নিয়েছে তা আসলেই বিপদজনক।
নিজেকে নিজের কাছ থেকে রক্ষা করার জন্যই ইমারানের সাথে আমার কথা বলা প্রয়োজন। অপরিহার্য এই প্রয়োজনকে এড়িয়ে যাওয়ার সময় প্রতিবার মনে হচ্ছে, আমার ভেতরে ছোট্ট একটা অংশ মরে যাচ্ছে। যদিও ভালোবাসা প্রকাশের চেয়ে সুন্দর আর কিছু নেই। তবু ইমরানের মুখোমুখি হতে হবে ভাবলেই এক ধরনের অস্থিরতা গ্রাস করছে। অস্থিরতা না বলে একে বিহবলতা বলা যায় কি? হয়তো যায়, হয়তো যায় না।
জীবন ক্ষনস্থায়ী, জীবনের বসন্ত তারচেয়েও ক্ষনস্থায়ী। প্রত্যাশার সাথে প্রতারণা করে আর কি হবে? তাই 'কারণে বা অকারণে নাম ধরে কাছে ডাকবার' যে আকাংক্ষা মনে লুকিয়ে রেখেছিলাম তাকে ভাষা খুঁজে দিয়েছি। ফিরতি বার্তা পেতে সময়ের দীর্ঘসূত্রিতা ইতোমধ্যে আমার ক্ষয়িষ্ণু আত্মবিশ্বাসের মূলে আঘাত হেনেছে। অতঃপর...
এককাপ ভালো চায়ের জন্যেও তো অপেক্ষা করতে হয়, নাকি?
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩৮