আসছে ডিসেম্বরের শেষ তারিখ রাত। বেশ আনন্দের সাথে প্রজন্মের ইউংরা উজ্জাপন করবে। সুশীল রা বলবে, 'সমস্যা কি? একটা দিবস পেলেই তা উজ্জাপন করা দরকার। কপোত কপোতী দের বিনোদনের প্রয়োজন আছে। যুবক দের মনন বিকাশে বিনোদন বৃদ্ধির দরকার বা বিনোদন দিবস বৃদ্ধির দরকার ভেবে অনেকে এর সাপর্ট করে যায়। দেখা যায় পরিবার থেকেও অনেক বাবা মা একে এন্টারটেনমেন্ট ভেবে নেন।
কিন্তু ইসলামী কালচারে এর অবস্থান কি, কিংবা বাস্তবে এই প্রতিক্রিয়া কি সৃষ্টি হয় তার দিকে ভ্রুক্ষেপ করার প্রয়োজন মনে করেন না কেউ।
বলছি…
৩১ ডিসেম্বর রাতটাকেই
(১২.১মিনিট থেকে) ইহুদী খৃষ্টান দের ভাষায় বলা হয়
থার্ষ্টি ফাষ্ট নাইট!! আসলে থার্টি ফাষ্ট নাইট না বলে; 'নগ্নতায় ফাষ্ট নাইট বলা
উচিত্' এই রাতটি সম্পর্কে আমার তেমন কোন ধারনা ছিলনা॥ কিন্তু ২০১২ সালের পহেলা জানুয়ারীতে
আমি ঢাকাতে ছিলাম (এক বন্ধুর আমন্ত্রনে
গিয়েছিলাম) ঐ রাতে আমি দেখলাম আসলে থার্টি ফাষ্ট নাইটটা কি!
নিজেকে আবিস্কার করতে পারছিলাম না, যে এটা কি মুসলীম রাষ্ট? নাকি আমেরিকা ইসরাইলের অঙ্গরাজ্য!! ফ্রি সেক্সের
নির্লজ্জ কালচার সেদিন বাস্তবায়ীত হতে দেখা যায়॥ এই কালচারকে একজন মুছলীম মায়ের সন্তান মানতে পারে!!? ভাবতেও ঘৃনায় সারা অঙ্গ রি-রি করে উঠে॥
এটা বছরের প্রথম দিন পালনের নিয়ম হল?!! ৩৬৫ দিনের জন্য কমপক্ষে ৩৬৫ জন মেয়ের আকাশ চুম্বী ইজ্জত ঐ দিন বিসর্জন দেয়া হবে! এর একমাত্র কারন হল ধর্মীয় ঞ্জান না
জানা। ইহুদী খৃষ্টান প্রনীত
শিক্ষা অর্জনের কারনেই আজকে মুসলীম জাতীর এই অবক্ষয়¿
তাই আসুন আমরা এই নীতি বিবর্জীত কাজটিকে বর্জন করি। ১২.১মিনিটে দুই রাকায়াত নফল নামাজ আদায় করে দোয়া করি, হে আল্লাহ সামনের
সারা বছরটি তুমি দ্বীনের পথে চলার তৌফিক দান করো। দেখবেন এই উদযাপনটি অন্য বছরের চেয়ে অনেক প্রশান্তি
দায়ক হবে॥ —
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫২