নতুনদেশ ডটকম
একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পূণরায় ক্ষমতাসীন হওয়া স্টিফেন হারপারের নতুন যাত্রার শুরুতেই পথে কাটা ছড়িয়ে দিলেন একদল বিক্ষোভকারী।‘স্টপ হারপার’ ‘হুজ স্ট্রিট,আওয়ারস স্ট্রিট’ শ্লোগানে নগরী কাঁপিয়ে তারা জানিয়ে দিলেন নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও তাঁর ক্ষমতার গাড়ীটি ‘ব্রেকহীন’ চলতে পারে না। তাঁরা তাঁকে স্মরণ করিয়ে দেন, হারপারের কনজারভেটিভ পার্টি সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেলেও ৬০ শতাংশ কানাডীয়ান অন্যান্য দলকে ভোট দিয়েছে।
ঘটনাটা শুরু হয় আরো আগে। নতুন সরকার গঠিত হবার পর প্রথম সিনেট বৈঠকে ‘থর্ণ স্পিচ’ দিতে আসেন কানাডার গভর্ণর জেনারেল । তিনি যখন জাতির উদ্দেশ্যে বক্তৃতা শুরু করেন, অকস্মাৎ এক তরুনী অধিবেধনের মাঝখানে দাড়িয়ে পড়েন হাতে একটি প্ল্যাকার্ড নিয়ে । রাস্তার স্টপ সাইনের আদলে বানানো প্ল্যাকার্ডটিতে লেখা ছিলো - ‘স্টপ হারপার’ । হাউজ অব কমন্সের কর্মচারী ওই তরুনীটিকে অবশ্য সঙ্গে সঙ্গে চাকরিচ্যূত করা হয়।
কিন্তু সেই থেকে ধীরে ধীরে দানা বেধে উঠে ‘‘স্টপ হারপার’ আন্দোলন। গত সপ্তাহে হারপার যখন কনজারভেটিভ পার্টির কনভেনশন ডাকেন অটোয়ার কনভেনশন সেন্টারে ,তখন বিক্ষোভকারীরাও সমবেত হন কনভেনশন সেন্টারের বাইরে। নির্বাচনে ব্যাপক বিজয়ের পর প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হারপারের এটিই ছিলো দলের প্রথম কনভেনশন। সারাদেশ থেকে সমবেত হওয়া দলীয় নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে নীতি নির্ধারনী বক্ত্ব্য দেন তিনি। আর একই সময়ে বিক্ষোভকারীরা সমবেত হন কনভেনশন সেন্টারের বাইরে। তাদের হাতে হাতে স্টপ সাইনের আদলে বানানো ‘স্টপ হারপার’ প্লেকার্ড। ‘স্টপ সাইন’ কেন- এমন কৌতূহল ও প্রশ্নের জবাবে উদ্যোক্তারা বলেছেন, এটি হচ্ছে রাস্তার সতর্ক বার্তা, রাস্তার জনগনের সম্মিলিত শক্তির সতর্ক বার্তা। এটি হচ্ছে দেশের করদাতা জনগোষ্ঠীর তৈরি করা একটি ‘ব্রেক’ যা স্টিফেন হারপারের গতিকে থামিয়ে দিতে চায়। কেন গতি থামাতে চান তারা তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। সংখ্যাগরিষ্ঠতার ম্যাণ্ডেট স্টিফেন হারপারকে ‘ডেম কেয়ার’ করে তুলেছে। অতিমাত্রায় ডান দিকে ঝুঁকে পড়ছেন তিনি। সে জন্যেই তার জন্যে একটি গতিরোধক দরকার। এই বিক্ষোভ সমাবেশ হচ্ছে সেই গতিরোধের সতর্ক বার্তা।
বিক্ষোভকারীরা কনভেনশন সেন্টারের সামনে সমবেত হলেও সেখানে ই বসে থাকেন নি। মিছিল করে রাজধানী অটোয়ার ব্যস্ততম ডাউনটাউনের বিভিন্ন সড়ত প্রদক্ষিন করেছেন্। গলা ফাটিয়ে শ্লোগান দিয়েছেন ‘স্টপ হারপার’ । অটোয়া ছাড়াও মন্ট্রিয়ল, টরন্টোসহ বিভিন্ন শহর থেকে নাগরিকরা অংশ নিয়েছেন এই বিক্ষোভে
http://notundesh.com/shirshokhobor.html