বাংলাদেশ আমার দেশ ।হাজারো সপ্ন এই দেশকে নিয়ে আমার ।তবে সপ্ন শব্দটি শুনলে ভয়ে আতকে উঠি । আতকে উঠবনা কেন ? এই সপ্ন পুরনের জালে আজ ১৫ কোটি আদম সন্তান ।মনে হয় কারও পিতা বা কারও স্বামীর সপ্ন পুরনের জন্য প্রান দিয়েছে ৩০ লাখ মানুষ ।মানুষ দেখছে তাদের কল্যান করার সপ্ন বাস্তবায়নের নামে চলছে অবাধ লুটপাত।
সপ্ন পুরনের নামে সবাই ব্যস্ত আজ খাওয়ায় ।যে যেভাবে পারছে খেয়ে চলছে এই দেশটাকে ।এই খাওয়া কিন্তু নতুন নয় ।সভ্যতার শুরু থেকে চলছে ।আজও তা চলমান । হাজার মাইল দূর থেকে আর্যরা এদেশে এসে প্রথম শুরু করল খাওয়া ।খাওয়ার লোভে এখানে আসতে চেয়ে ছিল আলেকজেণ্ডার ।আর্যদের ধারাবাহিকতায় পাল গুপ্ত সেন রাজা চালালো তাদের খাওয়া দাওয়া ।কল্যানের সর্বশেষ বানী যারা পৃথিবীময় ছড়িয়েছে তারা এসে সাময়িকভাবে মুক্তি দিল এদেশবাসীকে ।
কিন্তু কল্যান যেন এজাতির কপালে নেই। লোভে পরে এদেশে আসলো মুঘল আফগান আর তুর্কিরা।তারাও কমবেশী খাওয়া দাওয়া চালালো।এরপর স্বাধীন সালতানাতের নামে নিজেরা শুরু করলাম খাওয়া দাওয়া ।কিছু বিশ্বাসঘাতকের কল্যানে ভিনদেশীরা যোগ দিল খাওয়া দাওয়ায় ।এরপর ব্রিটিশরা এদেশ দখল করে শুরু করলো চরম খাওয়া দাওয়া ।আজ তার রেশ কাটেনি ।২টি বড় দুর্ভিক্ষ আমদের উপর চাপিয়ে তারা নিজেদের খাওয়া বিপুল বেগে চালাতে লাগলো ।এরপর সাময়িক স্বাধীনতা ।পাঞ্জাবী শাসক আর ২২ পরিবার মিলে আরো একবার খাওয়ার উৎসব করলো।এরপর ৩০ লাখ প্রানের বিনিময়ে এলো স্বাধীন বাংলাদেশ ।
সবাই আসায় বুক বেধেছিল এবার বুঝি থামবে খাওয়া দাওয়া ।কিন্তু যে মহান নেতার নেতৃত্বে খাওয়া বন্ধের জন্য এত সংগ্রাম । স্বাধীন দেশে তারই নেতৃত্বে শুরু হলো নতুন খাওয়ার অভ্যাস ।ভাবখানা এমন এতকাল ভীনদেশীরা খেতে দেয়নি তাই নিজের দেশে বাধাবিহীন ভাবে খাব ।সেই শুরু স্বপ্ন পুরনের নামে চলছে সেই খাওয়া আজো।
একটি বার কেউ ভাবলোনা ভিনদেশীরা নিজের দেশকে খায়নি ।কিন্তু আমরা নিজের দেশকে খেয়ে শেষ করছি ।নিজেদের খাওয়ার প্রয়োজনে দেশকে তুলে দিছি অপর দেশের হাতে । যাছে চুলোয় যাক দেশ কিন্তু আমার খাওয়া চাই ।তাই আজ জানতে ইচ্ছা করে খাওয়া রাজ্যে এই বাংলাদেশ কি ময় ?