somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাগল সমাচার (জোকস-নির্মল বিনোদন) B-) ;) :P

০৯ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার গার্লফ্রেন্ড কনা(ছদ্দনাম) থাকে পাবানায়। আমারে অনেকবার বলছে তার বাড়িতে যেতে। কিন্তু শ্বশুর বাড়ি বলে কথা আগেই যাই কেমনে কন?? কিন্তু আমার গার্লফ্রেন্ড নাছোড়বান্দা, না আমাকে যেতেই হবে। কি আর করার বললাম জো হুকুম মহারানী, আপনার সিদ্ধান্ত শিরধার্য।
গত বছর ডিসেম্বর মাসে ১৮ তারিখ রওনা দিব ঠিক করলাম।এই দিন আবার আমার জন্মদিনও।জন্মদিন হওয়াতে একটু এক্ট্রা কিছু পেয়েছিলাম, সেটা অবশ্য বলা যাবে না। তা যাই হোক, যাওয়ার সময় অনেক মজা হল। দুজনে গল্প করতে করতে প্রকৃতি দেখতে দেখতে যেতে লাগলাম। আসলে ওর সাথে এত লম্বা journey তে কখনো যাওয়া হই নি। দুজনে journey তে এত মজা আগে জানলে …………থাক আসল কথায় আসি।

পাবনা দু-একদিন থাকার পর সে বলল, mental hospital এ যাবা। আমি বললাম , চল। দুজনে রওনা দিলাম। ওখানকার এক ডাক্তার আবার আমার gf এর মামা। তাই অনেক আদর-যত্ন পেলাম।আপ্নাদের বলে রাখি পাগলদের সম্পর্কে আমার আগে থেকে আগ্রহ, যদিও তারে বলা হই নি কি মনে করে না করে বলে। তা ডাক্তার uncle আমাদের অনেক পাগল ঘুরে ঘুরে দেখলেন।এক জায়গায় আমি থেমে বললাম, uncle আমি কি এনার(পাগল) সাথে কথা বলতে পারি। ‘অবশ্যই’ আমি ধীরে ধীরে এগিয়ে গেলাম …

জিজ্ঞাস করলাম, ‘আপ্নার নাম??’
-কালাম
-হু… আপ্নি কবে থেকে এখানে আছেন ??
-মনে নাই (মাথা চুল্কাইয়া)
কিছুক্ষনের মধ্যে পাগলটা অনেক সহজ আচরন করতে লাগল।
আমি তৎখনাত তারে একটা প্রশ্ন করে বসলাম,
- আপ্নার মতে সবচেয়ে বড় পাগল কে ?? B-)
সে কিছুক্ষন মাথা চুল টানলো, তারপর বলল- ওই ডাক্তার, ওই শালা পাগল না হয়েও সারাজীবন পাগলা গারদে কাটায়। এই বলে কালাম হি হি করে হাসতে শুরু করলো। :D:D:D
এইসময় ডাক্তার uncle এর মুখখানা দেখার মত হয়েছিল।আমরা সেখান থেকে চলে আসলাম।;);)


বিকেল পর্যন্ত থেকে চলে আসছি, এমন সময় দেখলাম এক ডাক্তার লোহার বল(লৌহগোল্ক যারা খেলেছেন তারা দেখেছেন)নিয়ে মাঠের দিকে যাচ্ছে:|। আমার কৌতুহল হল। কনারে বললাম চলতো দেখি ওটা দিয়ে কি করে?? –চল……

এগিয়ে গিয়ে ডাক্তার সাহেবকে জিজ্ঞাস করলাম, এটা দিয়ে কি করবেন।
বলল- বাবা, একটা পরীক্ষা করব।এই সামনের কয়েকজন পাগলের মধ্যে কেউ কি ভালো হয়েছে কি না দেখব।
-কিভাবে??/:)
-এই লোহার বল মাঠে রেখে তাদেরকে খেলতে বলব। কেউ যদি সুস্থ হয়ে যায় সে লাথি মারবে না। আর মারলেও একবারের বেশি মারবে না।
-এটা তো অনেক ভয়ংকর!!!X(( ওরা তো ব্যাথা পাবে।
-বাবা আমাদের অনেক সময় এর চেয়েও কঠিন পরীক্ষা করতে হয়। তার নির্বিকার উত্তর।/:)
আমি আর কথা বাড়ালাম না। শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতে লাগলাম কি ঘটে।
খেলা শুরু হল। সবাই বলটা তে লাথি মারতে শুরু করল। ব্যাথা পাচ্ছে তবুও লাথি মারছে। দেখলাম একজন দাড়িয়ে বলটার দিকে তাকিয়ে আছে। ডাক্তার সাহেবরে অনেক উচ্ছসিত মনে হল।ওনি destiny public এর মত বলেই ফেল্লেন, yes yes. একটারে তো ভালো করতে পারছি;);)। ছুটে গেল দাড়িয়ে থাকা ছেলেটার দিকে।আমরাও গেলাম।
ডাক্তার সাহেব জিগাইলো, তুমি বলে লাথি মারছো না কেন??:-/
ছেলেটা হেসে হেসে উত্তর দিল,আমি head দেয়ার জন্য দাড়িয়ে আছি, আর হালা সইরা দাড়া, আমি বল দেখতে পারতেছি না।:P:P:P

ডাক্তার সাহেবের মুখের সব হাসি উবে গেল। চুপসে ঠিক বাতাস ভরা বেলুনের মত:D:D। সে অবত্থা দেখে আমরা সেখান থেকে প্রস্থান করলাম।যেই না হাসপাতালের গেট পার হয়েছি, আমার gf হাসতে শুরু করলো, আর বলল, ‘’এখানকার পাগলগুলো ডাক্তারে চেয়ে বুদ্ধিমান”;);)

.।.।.।.।.।.।.।.।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:১১
১৯টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×