আমার এই পোস্ট কোন ভাবেই ফান পোস্ট ভাব্বেনা।দেশের বাইরে এসে অনেকেই রান্না বান্না নিয়ে খুবই ঝামেলায় পড়েন।তাদের সুবিধার কথা ভেবেই এই পোস্ট টা করা হোলো।এখানে আমি রান্না করার সবচেয়ে বেসিক কিছু রুলস বলব।
১।রান্না করা হয় কিসের জন্য? খাওয়ার জন্য।তাই রান্না করার সময় কিছু সময় পর পর ই খাবারের টেস্ট গ্রহন করুন।(ঝোল টেস্ট করার কথা বলা হইসে,মাংশ না)
২।রান্না করার সময় সব মনোযোগ রান্না দিকে রাখুন।অন্য কোথাও গেলেই রান্না পুড়ে যাবার সম্ভবনা ১০০%
৩।চিনির বোতল আর লবনের বোতল অবশ্যই আলাদা ভাবে ট্যাগ করে রাখুন।(এই বান্দা এক মাস তরকারিতে লবনের বদলে চিনি ইউজ করেছিলেন)
৪।খুব ই দ্রুততার সাথে রান্না করুন।সময় বাচবে,কিচেন কম ময়লা হবে।
এবার আসুন রান্না করা শিখি-
মাংশ রান্না-
১।চুলায় হাড়ি চাপান।
২।২-৩ টা পেয়াজ কেটে হাড়িতে ফেলুন।
৩।এরপর তেল দিন।(আগে তেল দিতে বলিনি কেন জানেন?কারন বাঙালি তেল চুলায় দিয়ে পেয়াজ কাটতে বসে। ফলাফল পেয়াজ পুড়ে ছারখার)
৪।আদা আর রসুন বাটা দিন ২ চামচ।
৫।কাচা মরিচ কেটে দিন, ঝামেলা হলে গুড়া মরিচ তো আছেই।৫ মিনিট থাক ওভাবে।এর মধ্যে মাংশ ধুয়ে ফেলুন।
৬।বাজার থেকে যে মাংশের মসলা আর গরম মসলা কিনে নিয়ে আসছেন ওইটা দিয়ে দেন হাড়িতে।
৭।এরপর মাংশ হাড়িতে দিয়ে নাড়তে থাকুন।
৮।মাংশ কশানোর কোনো দরকার নাই।হাড়ি ভরতি করে পানি ধালুন।
চুলার জ্বাল ফুল ভলিউম এ দিয়ে দেশের বাড়িতে ফোনে কথা বলুন ১ আওয়ার।
৯।এখন রান্না লবন দিন।২ চামচ দিয়ে দেখুন।না হলে আধা চামচ করে বাড়াতে থাকুন।
১০।আলু দিন।
১১।আলু দেয়ার পর ২০ মিনিট পর রান্না নামায় ফেলুন
এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে আমি কেন কোনো পরিমান উল্লেখ করি নাই।খাওয়া শুরু করুন।খেতে গেলেই বুঝবেন সঠিক পরিমান টা কি?
আরেকটা ব্যাপার কারও যদি এরপরো বুঝতে সমস্যা হয়,তাহলে ওই যে মাংশের মসলা টা নিয়ে আসছেন না ওটার পেছনের দিকে খেয়াল করুন।দেখবেন সমস্ত পরিমান উল্লেখ করা আসে।
আজকে এই টুকুই।মাছ বিষয়ে পরে লেখব।
(এটা আমার প্রথম পোস্ট )