তারা বললো, ১৮ বছরের নিচে বিয়ে করা যাবে না ৷ আমরা বললাম, ইসলামে বিয়ের কোন বয়স নাই ৷ তারা বললো, তোমরা অল্প বয়সে প্রেম কর, জীবনকে উপভোগ কর ৷ বিয়ে করে জনসংখ্যা বাড়াইও না ৷ জনসংখ্যা যেন না বাড়ে, সেজন্য আফগানিস্তানের কেজিবি শাসনামলের মত আমরা বিনামূল্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী প্রদান করব ৷ পশ্চাৎপদ মোল্লাদের কথা না শোনে, মানবতার কথা চিন্তা কর মা ও শিশুর কথা চিন্তা কর ৷
আমরা মা ও শিশুর কথা চিন্তা করে বিজ্ঞানের ভাষায় ব্যাখ্যা দিয়ে বললাম, নর নারীর যৌন জীবনকে এক করে দেখার কোনো সুযোগ নেই । মেয়েদের প্রজনন ক্ষমতা ৪৫ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে শেষ হয়ে যায় । পৃথিবীতে বৃদ্ধের চেয়ে বৃদ্ধার সংখ্যাই বেশি । মেয়েরা সংসার সম্পর্কে অভিজ্ঞ হয় ছেলেদের চেয়ে আগে । বেশি বয়সের মেয়েরা সন্তান ধারণে কষ্ট পায় অনেক বেশি । অনেক ক্ষেত্রে তাদের জরায়ুতে ভ্রূণ যথাযথভাবে বাড়তে পারে না । ভ্রুণের মাথার ওপর পড়ে জরায়ুর প্রাচীরের চাপ; যার ফলে বেশি বয়সের মায়েদের প্রথম সন্তান হাবাগোবা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যথেষ্ট বেশি । বেশি বয়সের মেয়েরা অনেক ক্ষেত্রে পারেন না স্বামীর সাথে খাপ খাইয়ে চলতে ৷ ফলে বেশি বয়সে মেয়েদের বিয়ে হলে বিচ্ছেদ হতে দেখা দেয় বেশি ৷ সুতরাং ইসলামই সর্বোকৃষ্ট পন্থা ৷
তারা বললো, বাংলাদেশ একটি বিজ্ঞান ভিত্তিক রাষ্ট্র এখানে ইসলাম অচল ৷ মাদ্রাসাগুলো সন্ত্রাসী তৈরির কারখানা ৷ তাই, আমরা জনগণকে তাদের ফিতরা, যাকাত, দান, সদকা, কোরবানীর পশুর চামড়া মাদ্রাসায় না দিয়ে রবী ঠাকুরের শান্তি নিকেতনে দান করার নির্দেশ দিচ্ছি ৷
আমরা বললাম, কোরআনই সকল জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎস ৷ ইবনে সীনা, জাবির ইবনে হাইয়ান, হাসান ইবনে হাইসাম, আল বিরুনী, আল ফারাবী, ইবনে জারির তাবারী প্রমুখ মুসলিম বিজ্ঞানীর হাত ধরেই বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা ৷ আজ পর্যন্ত্য বাংলাদেশের কোন মাদ্রাসায় গোলাগুলি হয় নাই ৷ কোন মাদ্রাসার ছাত্র চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কার্যকালাপে জড়িত নাই ৷ মাদ্রাসাগুলোইতো এদেশে সু নাগরিক গড়ে তুলছে ৷ এ দেশের তের নাম্বার আউলিয়া যত দিন তাহাজ্জুদ আর কোরআন পড়ে সকাল শুরু করেছেন তত দিন দেশের মানুষ শান্তিতে ছিলো ৷ যখনই রবী ঠাকুরের গান শোনা শুরু করলো তখন থেকেইতো অশান্তির শুরু ৷ সুতরাং রবি ঠাকুরের শান্তি নিকেতনের ভক্তরাইতো দেশে অশান্তি সৃষ্টির জন্য দায়ী ৷
তারা বললো, এখন সন্ত্রাসী হয় নাই তো কি হয়েছে? যে শিশুরা শুক্রবারে বাবার হাত ধরে জুমার খুতবা শোনে, কোরবানীর গরু জবাই করার দৃশ্য দেখে তারা বড় হয়ে সন্ত্রাসী হবে ৷ তাই ১৮ বছরের আগে কেউ মসজিদে যেতে পারবে না, কোরবানীর গরু জবাই করতে পারবে না ৷
আমরা বললাম, ছোট বেলার যে স্মৃতিগুলো এখনো আমাদেরকে আনন্দ দেয় তার একটি হলো বাবার হাত ধরে জুমার নামায পড়তে যাওয়া, আরেকটি হলো সবার সাথে কোরবানীর গরুর কাটাকাটিতে অংশ গ্রহণ করা ৷ সপ্তাহে একদিন মসজিদে যাওয়া আর বছরে একদিন গরুর জবাইয়ের দৃশ্য দেখে কোন শিশু যদি বিগড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে প্রতিদিন টেলিভিশনে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী, মেয়েলী প্রসাধনী, যৌন মেডিসিন, খুন, ধর্ষণ সহ বিভিন্ন অসামাজিক বিষয় দেখে কত লক্ষ লক্ষ শিশু বিগড়ে যাচ্ছে!!! ১৮ বছরের নিচে টেলিভিশন দেখা বন্ধ করার পাশাপাশি, ১৮ বছরের নিচে কেউ মায়ের পেট থেকে জন্ম গ্রহণ করতে পারবে না জাতীয় আইন করলেই সব ল্যাঠা চুকে যায় ৷
তারা বললো, বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ৷ এখানে সব আইনই, থাকবে শুধু ইসলামী আইন ছাড়া ৷ যে সব মৌলবাদী, রাজাকারদের আমাদের আইন ভালো লাগে না, তারা তুর্কিস্তান চলিয়া যাক ৷
পাকিস্তানের সহায়তায় সৌদী আর তুরষ্ক যৌথভাবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে ৷ জোড়িদার তো চালে গায়ে, আব তেরা কেয়া হোগা, বাঙ্গালী মুসলমান?
ফেইসবুক থেকে নেওয়া
ক্রেডিট:-সৈয়দুর রহমান
১১ আগষ্ট ২০১৬