কাঁদো বাঙ্গালী কাঁদো... কথাটা পুরো ঢাকা (তবে সম্ভবত পুরো দেশ) জুড়ে দেখা যাচ্ছে। কথাটা পড়ার পর প্রথম চোটেই ১৫ই আগষ্টের কথা মনে পড়েনি আমার। আমার মনে পড়েছে আসছে রমাদান/রমজান মাসের কথা। সত্যিই আমাদের কাঁদতে হবে অনেক কারনে। তার মধ্যে একটি কারন মূল্যবৃদ্ধি। হ্যাঁ, রমাদান/রমজান মাসে সকল প্রয়োজনীয় জিনিষের দাম বাড়বে। আর সেই কারনে আমরা কাঁদবো, সেই কান্না কেউ শুনতে পাবেনা, কেউনা।
আমার ৩০+ জীবনে খুব কমই জুম্মার নামাজ মিস করেছি। এই প্রথম মসজিদে শুনলাম ১৫ই আগষ্টের কথা। জাতীয় শোক দিবসের কথা। মসজিদের ভেতর কখনই আমি বঙ্গবন্ধু, জাতীর পিতা, শেখ মুজিব, আওয়ামীলিগ, এই সকল শব্দ ইমামের মুখে জীবনে শুনিনি। সঠিক হয়েছে নাকি বেঠিক হয়েছে জানিনা। তবে জীবনে শুনিনি তো তাই কেমন জানি লাগছিল।
আমার এলাকার (শুনেছি আরো অনেক এলাকাতেই) সকল বাড়ীওয়ালাকে আওয়ামীলিগ কর্মীরা স্লীপ্ দরজার নিচ দিয়ে দিয়ে যায়, চাঁদার জন্য। ১৫ই আগষ্টে গরীব দুখিদের খিচুড়ী খাবার জন্য। সেখানে হুমকি আর বাজে কথাও শুনতে হয় সেই সকল নিবেদিত কর্মীদের কাছ থেকে (চাঁদার পরিমান কম হলে)।
তাই আমার কাছে মনে হয়েছে, কথাটা ঠিকই, 'কাঁদো বাঙ্গালী কাঁদো...' আজীবন কাঁদো...

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


